অনলাইন রিপোর্টঃ
দিনাজপুরের পাশ্ববর্তী বীরগঞ্জ থানার সুরুজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে রবিউল নামে এক সন্ত্রাসী।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা খুনী রবিউলকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সুরুজ মিয়াকে হত্যার সময় শরিফ শহিদ নামে একজন নৈশ্য প্রহরি এবং তার শিশু পুত্র একরামুল হক শামিমকে কুপিয়ে আহত করেছে রবিউল।
নিহত সুরুজ মিয়া বীরগঞ্জ জগদল হাটপুকুর জেলগেট এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। আর হত্যাকারী রবিউল ইসলাম একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় শালবাগান জেলখানা গেট নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিলা পারভীন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় রবিউল ইসলাম ভ্যান চালক সুরজ মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এঘটনার পর পরই একই এলাকার একটি মুরগী ফার্মের নৈশ্য প্রহরি শহিদ এবং তার ৩ বছরের শিশু পুত্র একরামূল হক শামিমকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম।
খবর পেয়ে বিক্ষুদ্ধ জনতা গাছ ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে দিনাজপুর-পঞ্চগড় মহাসড়কে অবরোধ করে রাখে। এর মধ্যে সকাল ৮টার দিকে পলাতক রবিউল ইসলামকে কবিরাজহাট এলাকা থেকে আটক করে ঘটনাস্থলে এনে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে রবিউলের পুড়ন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রায় ৩ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে ঘাতক রবিউল ইসলামের বসতবাড়ী গুড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসি। এসময় বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে রক্ষা পিয়েছে তার পিতামাতাসহ স্বজনরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম সাম্প্রতিক সময়ে সুরজ মিয়ার ভাতিজা চা দোকানদার বসির উদ্দিনকেও কুপিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়াও আরো কয়েক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।
-ডিকে