নিষিদ্ধ রাসায়নিক সনাক্তে কাস্টমসে স্পেকটোমিটার

বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিঃ

মাত্র ৩০ সেকেন্ডে প্রায় ১২ হাজার রাসায়নিক পদার্থের তাৎক্ষণিক ও নিখুঁতভাবে রিপোর্ট দিতে সক্ষম এ আধুনিক যন্ত্রটি।

মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা হ্রাস করতে বাংলাদেশ কাস্টমসে যোগ হয়েছে রামান স্পেকটোমিটার।

ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশন (ডব্লিউসিও) এর বিশেষ অনুদানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ ধরনের যন্ত্র সংযুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমস আধুনিকতার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩টি ডিভাইস হস্তান্তর করা হয়েছে। এই হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কেমিক্যালের উপাদানের পার্সেন্টিস ও জেনেরিক নাম বলে দিবে।

প্রথমে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টম হাউসে এগুলো ব্যবহার হবে। বাকি শুল্ক ভবন ও স্টেশনে পর্যায়ক্রমে বসানো হবে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এনবিআর সূত্র আরো জানা যায়, রামান স্পেকটোমিটার ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশেনের সিকিউরিটি প্রজেক্ট বাংলাদেশ সরকারকে অনুদান হিসেবে দিয়েছে।

এতে প্রায় ১২ হাজার কেমিক্যালসের নমুনা তাৎক্ষণিক (মাত্র ৩০ সেকেন্ড) এবং নিখুঁতভাবে রিপোর্ট প্রদান করতে সক্ষম। ফলে মিথ্যা ঘোষণায় নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল আমদানির প্রবণতা হ্রাস পাবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কেমিক্যালের নামে মাদক ও বিষ্ফোরক দ্রব্যে আরো নিয়ন্ত্রণ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আনীত ভোজ্যতেলের ১০৫টি ড্রামের ভেতর কোকেন আমদানির মতো বড় চালান শনাক্তে আরো সহায়ক হবে।

সূত্রঃডিএমপি

-আরবি

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter