অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এএসপি সুমিত চৌধুরী বরখাস্ত

অপ্রত্যাশিত ঘটনায় এএসপি সুমিত চৌধুরী বরখাস্ত

প্রশাসনঃ
ফরিদপুরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে নৌ-পুলিশের একজন অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপারকে (এএসপি) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বরখাস্ত হওয়া ওই কর্মকর্তা হলেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী।

গতকাল ১ জুলাই, বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ শৃঙ্খলা ২ শাখা হতে রাষ্ট্রপতির পক্ষে সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তাকে বরখাস্তের এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “জনাব সুমিত চৌধুরী (বিপি-৭৪০৬১১৯৭৪৪) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) অনুযায়ী চাকুরী হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় এতদ্বারা তাকে চাকুরী হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।”

জানা গেছে, গত ৩০ জুন, মঙ্গলবার বিকালে শহরের গোয়ালচামট ১নং সড়ক সংলগ্ন পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে যান নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী। এসময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। প্রথমে তিনি হিসাবরক্ষণ হানিফ মোঃ উজ্জলকে গালিগালাজ করেন ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন।

পরে পরিদর্শক তুহিন আলম ও সদ্য যোগদানকৃত মহিলা কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক গীতা রানী দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় তাকে বাধা দিতে উপ পরিচালক ড. মোঃ লুৎফর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সুমিত চৌধুরী। এর এক পর্যায়ে তিনি সিসিটিভি ফুটেজের আলামতসহ অফিসের অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুরের চেষ্টাও চালান।

এ সময় নিজের সম্মান রক্ষার্থে ডঃ লুৎফর রহমান অফিস থেকে বের হয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আলীমুজ্জামানের কাছে অভিযোগ জানান। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর নৌ-পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরিফ বলেন, ‘অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। তা না হলে সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে।’

বিষয়টি এখন তদন্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালের ১ জুন রাজশাহীতে কর্মরত অবস্থায় মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি করায় তাকে আটকে গণপিটুনি দিয়েছিলো জনতা। তিনি তখন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সুমিত চৌধুরী। পরে এর পরদিনই তাকে নৌ-পুলিশে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter