আইয়ুব বাচ্চুর ঘরে এলো ৫ হাজার ডলার, কিন্ত কিভাবে

আইয়ুব বাচ্চুর ঘরে এলো ৫ হাজার ডলার, কিন্ত কিভাবে

বিনোদনঃ
প্রয়াত কিংবদন্তী ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চুর ঘরে এলো ৫ হাজার ডলার। দেশে (৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা)। আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌসী চন্দনার হাতে এ চেক তুলে দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এ রয়্যালিটি প্রদান করেছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) কপিরাইট অফিস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীত জীবনের মেধাস্বত্ত্ব সংরক্ষণ ও ডিজিটাল আর্কাইভিং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত হতে পারে তা আমাদের দেশে নতুন ধারণা।

এখনো দেশের অধিকাংশ মানুষ জানেন না এটা, তা অবিশ্বাস্যও বটে। তবে আমরা কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে আরও অনেক শিল্পী, গীতিকার, সুরকার সবার জন্য রয়্যালিটি প্রদান করব।

আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌসী চন্দনা বলেন, আমাদের গানগুলো অনেক জায়গায় অনেকে অন্যায়ভাবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু আমরা কোনো রয়্যালিটি পাইনি। এবার কপিরাইট অফিস আমাদের কপিরাইট করা গানগুলোর ডিজিটালভাবে অর্জিত অর্থ প্রদান করলো।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিকের নন্দিত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। তিনিই ছিলেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কপিরাইট রেজিস্ট্রেশনের প্রথম আবেদনকারী। এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্ব স্ব স্বার্থ সুরক্ষায় সচেষ্ট হবেন বলে আশা করি। এজন্য সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টা করছি।

জানা যায়, ২০১৭ সালে অনলাইনে আইয়ুব বাচ্চু নিজের কিছু গানের কপিরাইট নিবন্ধন করেছিলেন। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর প্রয়াত হন এই ব্যান্ড তারকা। ২০২০ সালে ১৮ অক্টোবর থেকে কপিরাইট অফিসের ব্যবস্থাপনায় আইয়ুব বাচ্চুর ২৭২টি গান সংরক্ষরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবি কিচেন নামে একটি ওয়েবসাইটে আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলো সংরক্ষণ করে কপিরাইট অফিস।

আইয়ুব বাচ্চুর গানের ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ উপার্জিত রয়্যালিটি ছাড়াও দুটি মোবাইল কোম্পানি ও একটি স্থানীয় ওটিটি প্ল্যটিফর্মে গানগুলো ব্যবহারের জন্য ‘গ্যাক মিডিয়া’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে গ্যাক মিডিয়া এককালিন পাঁচ লাখ টাকার অগ্রিম চেক আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীকে হস্তান্তর করে।

এই টাকা মোবাইল কোম্পানি দুটি ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হতে অর্জিত রয়্যালিটি থেকে সমন্বয় করা হবে। সেখান থেকে মাসিক প্রতিবেদন আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারকে নিয়মিতভাবে দেয়া হবে, যা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে মনিটরিং করা হবে।

কপিরাইট অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবিহা পারভীন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মাদ রায়হানুল হারুন।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter