আমেরিকায় বিশাল এক গর্তে ৪০ কফিন কবরস্থ

আমেরিকায় গণকবর দেয়া শুরু হয়ে গেছে

মিলি সুলতানা, কুইন্স, নিউইয়র্ক থেকেঃ

গণকবর দেয়া শুরু হয়ে গেছে। পোটার্স ফিল্ডের হার্ট আইল্যান্ডে বিশাল গর্ত খনন করে একগর্তেই ৪০টি কফিন কবরস্থ করা হয়েছে।

স্মরণকালের সেরা প্রলয়ের মুখে আজ আমেরিকা। পোটার্স ফিল্ডের হার্ট আইল্যান্ডে করোনা ভিকটিমদের মৃতদের দাফন করার জন্য লেবার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। স্মরণকালের সেরা প্রলয়ের মুখে আমেরিকা।

হার্ট আইল্যান্ডে দীর্ঘ বছর ধরে বেওয়ারিশ লাশ সমাহিত করা হচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যেসব ডেডবডি ক্লেইম (পোড়ানো) করা হয়নি, সেইসব ডেডবডি হার্ট আইল্যান্ডে দাফন করা হচ্ছে। সিটি মেডিকেল এক্সামিনারের অফিস থেকে বলা হয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে আন-আইডেন্টিফাই মৃতদেহ ১৪ দিন ফ্রিজারে রাখা হবে। ১৪ দিনের মধ্যে আইডেন্টিফাই না হওয়া মৃতদেহগুলো হার্ট আইল্যান্ডে সমাহিত করা হবে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে।

করোনায় মৃতদের স্রোত সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বাঙালি কম্যুনিটির সংশ্লিষ্টদের। যেমন, মুসলিম রীতি অনুসারে মৃতদেহকে কবর দেয়া। আমাদের বাঙালি কম্যুনিটির দু’তিনটি সক্রিয় এবং কল্যাণমুলক সংগঠন হল, বাংলাদেশ সোসাইটি, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, জামাইকা মুসলিম সেন্টার। যারা করোনায় মারা গেছেন তাদেরকে দাফন করার যে প্রক্রিয়া জানতে পেরেছি, একটি কবর সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ সোসাইটি নেয় ৫৯০০ ডলার। জালালাবাদ এসোসিয়েশন (নিউজার্সি) নেয় ৩৯০০ ডলার। জামাইকা মুসলিম সেন্টায় নেয় ৫৬০০ ডলার।

এসব ব্যয়বহুল মৃতদেহ দাফন প্রক্রিয়া। সবার পক্ষে এফোর্ড করা সম্ভব হয়না। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সোসাইটি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। নিউইয়র্কে মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে। এটা প্রশংসা করি। তবে অনেকে মনে করছেন, মসজিদের চেয়ে কবরের জন্য জায়গা কেনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

নিউইয়র্কে বর্তমানে কবরস্থানের অভাব দেখা দিয়েছে।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter