আল্লামা শফীর মতে জানাজা একটা হওয়াই উত্তম, তাই জানাজা একটাই হবে

সারাদেশঃ

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ’র আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নামাযে জানাজা আজ শনিবার দুপুর দুইটায় চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হবে।

এ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই তাকে দাফন করা হবে। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ছেলে ও হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানী।

তিনি জানান, হেফাজত আমিরকে ঢাকার জামিয়া ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় গোসল ও কাফন পরিয়ে শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হবে।

আনাস মাদানী জানান, তার পিতার জানাজা একটিই হবে এবং জানাজার পর হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফীর বিশ্বাস ছিল, জানাজা একটা হওয়াই উত্তম। সে হিসেবে আমরা একটি জানাজার পক্ষে, ঢাকায় কোনও জানাজা হবে না এবং মরদেহ সরাসরি চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।’

গত বৃহস্পতিবার তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ (মজলিসে শুরা কমিটি) তাকে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাদ্রাসার উপদেষ্টা (সদরে মুহতামিম) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

ওই দিনই ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি ইসলামি শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। পাশাপাশি কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নেও ভূমিকা রেখেছেন।’

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter