ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা কমানো উচিৎ

ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা

অনলাইনঃ
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু এক বিবৃতিতে বলেন -লকডাউনে সকলকে ঘরে রাখার জন্য ইন্টারনেট ও কলরেট বৃদ্ধির বোঝা কমানোর দরকার ।

বাজেট পাসের আগেই মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেটে বাড়তি শুল্ক নেয়ায় সরকারের তোপের মুখে পড়েছে স্বংয় মোবাইল ফোন অপারেটররা।

বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এই সাহস কোম্পানিগুলো পায় কিভাবে ?

নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর অর্থ প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি। এত দিন ছিল ২২ টাকার মতো। আমি মনে করি মোবাইল সেবায় কর বাড়ানোর ফলে সাধারণ মানুষ চাপে পড়বে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায়ও অপরিহার্য হয়ে উঠেছে মোবাইল বা বিভিন্ন অ্যাপে কথা বলা। এ পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের খরচ বাড়ানো হয়েছে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে।

করোনার সময় মোবাইলে কথা বলা, ভিডিও কল, এ কাজ করা- এখন যেমন সোশাল ডিসটেন্সিংয়ে পরোক্ষভাবে অত্যন্ত কার্যকর, তেমনি মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন দেশ ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজের সাথে, স্বজনদের সাথে সংযুক্ত থাকেন।

কারণ মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভয়েজ ও ডাটা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার পূর্বশর্ত সাশ্রয়ী মূল্য। বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য। ‘

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter