ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৫০০% ক্যাশ ভাউচার পেলেন আদনান

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৫০০% ক্যাশ ভাউচার পেলেন আদনান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ওয়ালটন পণ্য কিনে আকর্ষণীয় সব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। এবার কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেলেন ফরিদপুরের ব্যবসায়ী আদনান নীয়াজ।

ওই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ওয়ালটন থেকে ১১টি মোবাইল ফোন, ৪টি ব্লেন্ডার এবং ১টি করে ফ্রিজার, ওয়াটার হিটার ও রাইস কুকারসহ ২০টিরও বেশি পণ্য কিনেছেন তিনি।

ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৮ এর আওতায় একটি ফ্রিজ কিনে এর পাঁচগুণ ফেরত পেয়ে মহাখুশি আদনান নীয়াজ।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ক্রেতারা পেতে পারেন ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। আছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা থাকছে।

ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।

এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সারা দেশে ওয়ালটন পণ্য কিনে কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা।

পোশাক ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী আদনান ফরিদপুর সদরের পশ্চিম খাবাসপুরের বাসিন্দা। তিনি ১৯ অক্টোবর গোয়ালচামট ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৯,৬৫০ টাকা মূল্যের একটি ফ্রিজ কেনেন। কিস্তি সুবিধায় কেনা ওই ফ্রিজের জন্য তিনি মাত্র ১০ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দেন।

এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে তার মোবাইলে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায়।

আদনানের অনুপস্থিতিতে তার ভাই কাজী ইনরামুল হক ওই ক্যাশ ভাউচার গ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর, ২০২০) গোয়ালচামট ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক, ওয়ালটনের ফরিদপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার আবু নাসের প্রধান এবং প্লাজা ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ক্রেতা আদনান নীয়াজ বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের গর্ব। তাদের লক্ষ্য ক্রেতাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা। এজন্য তারা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন চালু করেছে।
যার ফলে বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়াটা আরো সহজ হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় আমি ফ্রিজের মূল্যের ৫০০% অর্থাৎ ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫০ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেলাম। ওয়ালটন বলেই ক্রেতাদের এমন অভিনব সুবিধা দিলো। আমার বিশ্বাস সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন বিশ্বের প্রতিটি ঘরে ওয়ালটন পণ্য ব্যবহৃত হবে।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং।

ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। ফলে দেশে শীর্ষস্থানে ওয়ালটন ফ্রিজ। রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বহু দেশে।

বর্তমানে বাজারে রয়েছে শতাধিক মডেলের ওয়ালটন ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। দাম মাত্র ১০,৯৯০ টাকা থেকে ৮০,৯০০ টাকার মধ্যে। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি ক্রেতারা পাচ্ছেন ওয়ালটনের ১৪ মডেলের ওয়াশিং মেশিন। ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসব মেশিনের দাম ৬,৯০০ টাকা থেকে ৪৮,০০০ টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত মোটর ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।

এছাড়া বাজারে রয়েছে ১৩ মডেলের ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। দাম ৬,৯৯০ টাকা থেকে ১৯,০০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ইএমআই এবং কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ থাকছে।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter