কক্সবাজার পৌর এলাকা রেড জোন ঘোষণা

করোনা: সারা বিশ্বে ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার আক্রান্ত

করোনা সংবাদঃ

কক্সবাজার পৌরসভা এলাকাকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

৫ জুন, শুক্রবার বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে এ ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমগ্র পৌরসভাকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বিবেচনায় ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রেড জোন এলাকায়- সব ধরনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময়ে জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন। ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যবহনকরী হালকা ও ভারি যানবাহন রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। করোনা মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিদের (অনডিউটি) পরিবহন, কোভিড ১৯ মোকাবেলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।

আরো বলা হয়, সব ধরনের দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধু রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ০৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে। এছাড়া করোনা মোকাবেলা ও জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। শুধু রবিবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে। সব হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ করোনা মোকাবেলায় পরিচালিত ব্যাংকিংসেবা কার্যক্রম লকডাউনের বাইরে থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিকে আরো বলা হয়, জরুরি সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচিত সংবাদকর্মীরা রেড জোনে কাজ করার জন্য কক্সবাজার প্রেস ক্লাব থেকে দেয়া ছবিযুক্ত বিশেষ পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। করোনা প্রতিরোধে রেড জোনে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদর কর্তৃক প্রদত্ত ছবিযুক্ত বিশেষ পরিচয়পত্র গলায় ঝুলানো থাকা সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে।

এছাড়াও সকল প্রকার গণপরিবহন টার্মিনালে রেড জোনের বাইরে স্থানান্তর করতে হবে। প্রকাশ্য স্থানে বা গণজমায়েত করে কোনো প্রকার ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোনো পণ্য বিতরণ করা যাবে না বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে মোট ৭ হাজার ৩৫১ জনের করোনার পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯৫৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮৭৭ জন। আর সর্বোচ্চ আক্রান্ত কক্সবাজার সদর উপজেলায়, ৩৬৪ জন।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter