কভিড-১৯ এ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা

কভিড-১৯ এ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা

অর্থনীতিঃ

আমরা এখন অতিক্রম করছি ২০২০ সাল – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী। বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতার প্রতীক বঙ্গবন্ধু। তাঁরই আহ্বানে সমগ্র জাতি ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা এমন একটি দেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলাম যে দেশটি হবে ক্ষুধামুক্ত, শোষণহীন, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক আলোকিত মানুষ সমৃদ্ধ – বাংলাদেশ। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশের মূল ভিত্তি দর্শন হল: “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ” (একমাত্র জনগণই সার্বভৌম ̶ অন্য কেউ নন, অন্য কোনোকিছুই নয়)। আর এ দর্শনের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে চারটি মূলনীতি মান্য করেÑজাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। একদিকে করোনা উদ্ভূত বৈশি^ক মহামারী-মহাবিপর্যয় আর অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের ৫০-বছর পরে নতুন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। সঙ্গত কারণেই ঐতিহাসিক এক্ষণে আগামী অর্থবছর ২০২০-২১ এর বাজেট অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি জটিল এবং অধিকতর তাৎপর্যপূর্ণ। এসব কথা মুখ্য বিবেচনায় রেখে আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিফলিত হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের দু’টি মূল চেতনা: (১) বৈষম্যহীন অর্থনীতি, সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা (যা লোভ-লালসা ভিত্তিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর), (২) অসাম্প্রদায়িক মনন-সমৃদ্ধ আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ (যা সব ধরনের কুপম-ুকতার বিপরীত মেরুর)। করোনাভাইরাসে একদিকে মানুষের জীবন (ষরভব) ও (ষরাবষরযড়ড়ফ) জীবিকা বিপর্যস্থ আর অন্যদিকে দেশের প্রতিটি মানুষই চায় তার নিজের এবং আগত প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত, চায় অনিশ্চিত গন্তব্য থেকে নিশ্চিত সুন্দর গন্তব্যের দিকে যেতে। সঙ্গত কারণেই আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা অনেক এবং তা স্বাভাবিক।

এ দেশের অর্থনীতিবিদদের একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি উল্লেখিত কারণেই একদিকে যেমন করোনা বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও সমাজের স্বরূপ অনুধাবন-অনুসন্ধান করে উত্তরণের পথ নির্ধারণ-এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জনপ্রত্যাশাকে গুরুত্ব দেয় তেমনি অন্যদিকে কোনো ধরনের আত্মতুষ্টি ছাড়া সমস্যা সমাধানে নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠ সুপারিশ উত্থাপনে আগ্রহী। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন-প্রগতি দর্শন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গত পাঁচ বছর ধরে বিকল্প বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করে আসছে। এবং আমরাই এ দেশে সম্ভবত প্রথম ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিকল্প বাজেট “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিকল্প বাজেট” প্রস্তাব করেছি। এই ধারাবাহিকতায় এক জটিল সময়ে বিশ^ব্যাপী করোনা-মহামারীকালে এবং একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে আমাদের সমিতি আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছে “করোনা (কভিড-১৯)-র মহাবিপর্যয় থেকে মুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২০-২১”। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মোট নয়টি অনুচ্ছেদে আমাদের এই বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করছি। অনুচ্ছেদ ১: বঙ্গবন্ধু নির্দেশিত “দেশজ উন্নয়ন দর্শন” ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, অনুচ্ছেদ ২: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক অর্থনীতি ও জাতীয় বাৎসরিক বাজেট, অনুচ্ছেদ ৩: ধনী-দরিদ্র শ্রেণি বৈষম্য-অসমতা : দুর্ভাবনার বিষয়, অনুচ্ছেদ ৪: মূল্যবোধহীন অর্থনীতি জন্ম দেয় অর্থহীন ভঙ্গুর সমাজ : সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের অর্থনীতি, অনুচ্ছেদ ৫: পাল্টে যাচ্ছে বিশ^ায়ন: বিশ্বায়ন না’কি দেশজায়ন?, অনুচ্ছেদ ৬: দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের কাঠামোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি-কেন হচ্ছে, কতদূর হবে? অনুচ্ছেদ ৭: আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিবেচনার জন্য আমাদের সুপারিশমালা: করোনার ক্ষতি মোকাবেলা-সংশ্লিষ্ট ও সার্বিক, অনুচ্ছেদ ৮: কভিড-১৯ এর অভিঘাত মোবাবেলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বিকল্প বাজেট, অনুচ্ছেদ ৯: উপসংহার: কভিড-১৯ মহামারীর বিশে^ পরিবর্তন অনিবার্য-আমরা কী চাই

কভিড-১৯ এর ক্ষতি ও মোকাবেলার পথ:

কভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও ২ মাসের বেশি সময় লকডাউনে গৃহবন্দী ও ব্যবসা-বাণিজ্য-কল-কারখানায় স্থবিরতার কারণে যে সব ক্ষয়-ক্ষতি-বিপর্যয় ঘটেছে তা এবং মোকাবেলার পথ নি¤œরূপ:

(১) কভিড-১৯ মহামারীর মহাবিপর্যয় আমাদের দেশের শ্রেণিকাঠামোকে পাল্টে দিয়েছে। সতেরো কোটি মানুষের দেশে মাত্র ৬৬ দিনে বিশাল এক “নব-দরিদ্র” গোষ্ঠী সৃষ্টি হয়েছেÑ লকডাউনের আগে দরিদ্র মানুষের মোট সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৪০ লক্ষ যা লকডাউনের মাত্র ৬৬ দিনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৫ কোটি ৮০ লক্ষ। ব্যাপক সংখ্যক মানুষ খুবই দ্রুত সময়ে, মাত্র ৬৬ দিনের মধ্যে (২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে ২০২০) —শ্রেণি মই-এর (পষধংং ষধফফবৎ) তলার দিকে নামতে বাধ্য হয়েছেন-হচ্ছেন। এ এক অশনি সংকেত-প্রচ- ঝড়ের পূর্বাভাস মাত্র।
(২) কভিড-১৯ মহামারী এবং তৎ-উদ্ভূত লকডাউনের ফলে বিদ্যমান আয়-বৈষম্য, ধনসম্পদ-বৈষম্য, স্বাস্থ্য-বৈষম্য ও শিক্ষা-বৈষম্য প্রকটতর হয়ে অতিমাত্রায় বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে না দাঁড়াতে পারলে সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বিপর্যয় অনিবার্য।
(৩) কভিড-১৯ মহামারী রোধের প্রয়াস যেভাবে ব্যর্থ হয়েছে তা থেকে প্রমাণিত হয় যে আমাদের দেশে সুসমন্বিত প্রাতিষ্ঠানিকীকৃত দক্ষ ফলপ্রদ “জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা সিস্টেম” (চঁনষরপ যবধষঃয ংবপঁৎরঃু ংুংঃবস/চবড়ঢ়ষব’ং যবধষঃয ংবপঁৎরঃু ংুংঃবস) বলে তেমন কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই।
(৪) কভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও মৃত্যু কমিয়ে আনতে আমরা কার্যকর-ফলপ্রদ তেমন কিছু করতে পারিনি; লকডাউন তেমন কাজ করেনি; সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা থেকে শুরু করে মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে যথেষ্ট গাফিলতি ছিল—আছে (যা কম্যুনিটি সংক্রমণ বাড়াচ্ছে, বাড়াবে)। এরই মধ্যে সম্ভবত উপরের মহল ভাবছেন যে “হার্ড ইম্যুনিটি” হয়ে যাবে এবং তাতে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ ধারণা ভ্রান্ত , আর সঠিক হলে বহু মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ও মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক।
(৫) কভিড-১৯ মহামারীতে সংক্রমিত এবং মৃত্যুবরণকারী মানুষের প্রকৃত সংখ্যা কম নয়। তবে তার চেয়ে শত শতগুণ বেশি হবে মানুষের মধ্যে আতঙ্কবোধ, বিষাদবোধ, বিপন্নতাবোধসহ বিভিন্ন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত শকস্ ও ট্রমা যা মানুষের জীবন-সমৃদ্ধির পথে অন্যতম প্রধান বাধার কারণ। আর সেটা প্রকৃত মানব বিপর্যয়ের দীর্ঘমেয়াদী কারণ হতে পারে। হতে পারে তা বংশ পরম্পরা।
(৬) “কভিড-১৯ গরীব মানুষকে কম আক্রান্ত করে—কারণ ওদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইম্যুনিটি) বেশি”—এ ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। করোনাভাইরাস রোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকান-আমেরিকান, ল্যাতিন-হিসপানিকরা এবং এশিয়-বংশোদ্ভূত মানুষেরা শে^তাঙ্গদের তুলনায় জনসংখ্যা অনুপাতে অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের দেশে এ সব তথ্য এখনও নেই যা দিয়ে গবেষণা করে প্রকৃত সত্য জানা সম্ভব।
(৭) কর্ম নিয়োগের নিরিখে লকডাউনের পরের বাংলাদেশ অর্থনীতি হল ৪১ শতাংশের অর্থনীতি। কভিড-১৯ উদ্ভূত লকডাউনের কারণে (প্রথম ৬৬ দিনে: ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে ২০২০) অর্থনীতির প্রায় সব খাত-উপখাত কার্যত অচল হয়ে পড়ায় ব্যাপক জনগোষ্ঠী কাজ হারিয়েছেন; পরে কর্মে নিয়োজিত ৬ কোটি ৮২ লক্ষ ৮ হাজার মানুষের মধ্যে লকডাউনের ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৭১ জন মানুষ কাজ হারিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি কাজ হারিয়েছেন সেবা খাতের কর্মীরা এবং অনানুষ্ঠানিক খাত। “হারিয়ে যাওয়া কাজ” (ষড়ংঃ বসঢ়ষড়ুসবহঃ) ফিরে পাবার জন্য রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে। অন্যথায় ব্যাপক কর্মসংস্থানহীনতা ও স্বল্প-আয় একদিকে অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবে আর অন্যদিকে তা ব্যাপক সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক অস্থিরতা সৃষ্টির কারণ হবে।
(৮) কভিড-১৯ উদ্ভূত লকডাউনের (৬৬ দিনের; ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে ২০২০) অর্থনীতি হল ৩৫ শতাংশের অর্থনীতিÑ এ সময়ে জিডিপি-ক্ষতি হয়েছে একই সময়ে প্রত্যাশিত জিডিপির (৪৫৮,০২৬ কোটি টাকা) ৬৫.২ শতাংশ। জিডিপি-ক্ষতি হয়েছে সব খাতে। জিডিপি-ক্ষতির প্রায় ৫৬.৯ শতাংশ হয়েছে সেবা খাতে আর ৩৪.২ শতাংশ শিল্প খাতে। সেবা ও শিল্প খাত পুনরুজ্জীবনের বিকল্প নেই।
(৯) তুলনামূলক সবচে কম জিডিপি-ক্ষতি হয়েছে কৃষি খাতে (মোট জিডিপি-ক্ষতির ৯ শতাংশ। কৃষির “কভিড-১৯ ইম্যুনিটি লেভেল” অত্যুচ্চ। প্রকৃতি নির্ভর কৃষি খাতে (এমনকি আম্ফানের মত সাইক্লোন হয়ে যাবার পরেও) জিডিপি-ক্ষতির তুলনামূলক নি¤œমাত্রা নির্দেশ করে যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান নিরাপত্তা, মানব নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তাসহ বিশ^বাজারে খাদ্য নিয়ে প্রবেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে যৌক্তিক। যে কারণে কৃষিতে জিডিপি-র কমপক্ষে ৫ শতাংশ বরাদ্দ প্রদান হবে একই সাথে যুক্তিসঙ্গত এবং কৌশলিক। আমরা সেটাই প্রস্তাব করেছি। আর একইসাথে গ্রামাঞ্চলে/পল্লীতে বিভিন্ন ধরনের বৈষম্য (আয়-বৈষম্য, ধন-বৈষম্য, স্বাস্থ্য-বৈষম্য, শিক্ষা-বৈষম্য) কমানোর জন্য কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কার-এর কোনোই বিকল্প নেই; কৃষককে তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে (এ বছর লকডাউনের মধ্যেই বাংলাদেশের কৃষক প্রায় ২ কোটি টন বোরো ধান উৎপাদন করেছেন এবং একইসাথে ধানের মূল্য-চালের মূল্য বিচার করলে কৃষককে ঠকানো হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ)।
(১০) লকডাউনে বহুমাত্রিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন অনানুষ্ঠানিক খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য। বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনু-ব্যবসা (ফেরিওয়ালা, হকার, ভ্যানে পণ্য বিক্রেতা, চা-পান স্টল), ক্ষুদে দোকান-মুদি, মনোহারি ও সমজাতীয়, অনু-ক্ষুদ্র হোটেল-রেস্তোরা এবং ক্ষুদ্র মাঝারি পাইকারী ব্যবসায়ী। দেশে এ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৬ লক্ষের উপরে। লকডাউনে এদের মধ্যে ৬৫ লক্ষের অধিক ‘সম্পূর্ণ নিঃস্ব’ হয়ে গেছেন (যারা ‘নব-দরিদ্র’ গ্রুপে যেতে বাধ্য হয়েছেন), অন্যেরাও ধ্বসে গেছে। এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সচলতার উপর সরাসরি নির্ভরশীল ৭ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা (দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৬ শতাংশ)। এদের পুনরুদ্ধার করতে হবেÑ করতে হবে পুনরুজ্জীবিত। এ লক্ষ্যে আমরা অনু-ব্যবসায়ীদের জন্য এককালীন অনুদান ও অন্যদের জন্য স্বল্প সুদে চলতি মূলধন ঋণ প্রস্তাব করেছি।

কভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও লকডাউনে যে অপরিসীম ক্ষতি হয়েছে তা থেকে অর্থনীতি ও সমাজ পুনরুদ্ধারে যা করণীয় তা সরকারের এক বাজেটের বিষয় নয়। তবে যেহেতু আসন্ন অর্থবছর (২০২০-২১) সমাজ ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল সময় সেহেতু সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রথমেই হিসেব নিকেশ করে জানা প্রয়োজন ক্ষয়-ক্ষতি কোথায়-কোন খাত-ক্ষেত্রে কতটুকু হয়েছে, এবং সম্ভাবনাগুলো কী। এ সব তথ্য ও যুক্তিসঙ্গত অনুমানের ভিত্তিতে পরিকল্পিতভাবে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ের জন্য ইতোমধ্যে প্রণীত পরিকল্পনা দলিল, উন্নয়নের নীতি-কৌশলগত দলিলাদি, আর্থিক নীতি (সরকারের আয় ও ব্যয়), মুদ্রানীতি (মুদ্রা সরবরাহ, মূল্যস্ফীতি, মদ্রাস্ফীতি, টাকা ছাপানো), কর্ম নিয়োজন নীতি, বেকারত্ব নিরসন নীতি, কৃষি নীতি, শিল্প নীতি, সরকারি ক্রয়-বিক্রয় নীতি, সরকারের নির্বাহী বিভাগের নিয়ম-কানুনÑ সবই পুনঃমূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় নতুন দলিলাদি প্রণয়ন জরুরি। প্রচলিত পদ্ধতিতে এবং জ্ঞানভিত্তিতে অতিদ্রুত এ সব দলিলাদি প্রণয়ন সম্ভব হবে না, সে জন্য বিভিন্ন শাস্ত্রের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে। তবে আশু কর্মকা- যা না করলে সমাজ ও অর্থনীতির সম্ভাব্য ধ্বস ও ধ্বংসাবস্থা ঠেকানো যাবে না তা জরুরিভিত্তিতে করতেই হবে। ভুল-ভ্রান্তি হলে হবে কারণ এ ধরনের মহাবিপর্যয় মোকাবেলার কোনো প্রাক অভিজ্ঞতা, প্রাক-ধারণা আমাদের নেই। একইসাথে নেই কোনো রেডিমেড ফর্মুলা। সংশ্লিষ্ট নীতি-কৌশল বাস্তবায়নে কোনো ধরনের গাফিলতির সুযোগ দেয়া যাবে না, বরদাস্ত করা যাবে না কোনো ধরনের কালক্ষেপণ, কোনো ধরনের দলীয়করণ করা যাবে না, কোনো ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও যান্ত্রিকতা সহ্য করা ভুল হবে। এ পুনরুদ্ধার কাজের পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে সরকার প্রধানকে। যিনি প্রয়োজনে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের বিধি মোতাবেক জরুরি অবস্থাকালীন পদক্ষেপ নিতে পারেন।

আসন্ন ২০২০-২১ এর প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট বিনির্মাণের ভাবনা-ভিত্তি:
করোনাভাইরাস রোগ-১৯ (কভিড-১৯) সংক্রমণ-উদ্ভুত মহামারীর বিশে^ মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপনকালীন সময়ে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ এ মহামারীতে লকডাউনের কারণে বিপর্যস্ত। এ ধরণের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি তার সহজাত দায়বদ্ধতার কারণে নিশ্চুপ নয়। এই দায়-দায়িত্ববোধ থেকেই আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি “আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বিকল্প বাজেট” উত্থাপন করছে। “বিকল্প বাজেট” প্রণয়ন ও উত্থাপন-এর যে সুখ্যাতি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি গড়ে তুলেছে এ বছর তা ষষ্ঠ বছরে পদার্পন করলো। তবে যেহেতু করোনা-১৯ উত্তর এটাই আমাদের প্রথম মহাদলিল সেহেতু এ সুযোগটিকেও আমরা শ্রম-মেধা দিয়ে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি।

বাজেটসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে আমরা বিদেশ থেকে ধার করা নয় অথবা আমাদের উপর বহিঃশক্তির চাপিয়ে দেয়া নয় “দেশজ মাটি উত্থিত বৈষম্য হ্রাস উদ্দিষ্ট উন্নয়ন দর্শন”ই সঠিক পথ বলে বিবেচনা করি। যা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন এবং একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তি। আমরা এ বিষয়েও সচেতন যে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক কাঠামো এবং নীতি-নির্ধারণে শ্রেণিস্বার্থ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমাদের প্রস্তাবিত উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তিতে প্রণীত বাজেট-দর্শন গ্রহণে কুণ্ঠিত বোধ করবে। এত কিছুর পরেও কভিড-১৯ মহামারীতে মহাবিপর্যস্ত লকডাউনের সময়ে আমরা “বিকল্প বাজেট” প্রস্তাব করছি নিদেনপক্ষে এ কারণেও যে আমরা বুঝাতে চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব—যৌক্তিক, নৈতিক, মানবিক সব বিচারেই তা সম্ভব; সম্ভব এ দেশের দ্রুত উন্নয়ন; সম্ভব উন্নত বাংলাদেশ গড়া; সম্ভব বৈষম্যহীন সমাজ গড়া; সম্ভব অসাম্প্রদায়িক মানব সমাজ সৃষ্টি। এক কথায় সম্ভব বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা” বিনির্মাণ।

এতক্ষণ নীতি-দর্শনগত যে মৌলকথন হল সে সবের ভিত্তিতে “বিকল্প বাজেট” প্রণয়নের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগতভাবে যে সকল বিষয় বা ‘অনুসিদ্ধান্তের’ উপর আমরা বিশেষ জোর দেবার ও অগ্রাধিকার প্রদানের কথা ভেবেছি তা মোটা দাগে হল সাংবিধানিক ভিত্তি, রাষ্ট্রের অধিকতর সক্রিয় ও ফলপ্রদ ভূমিকা, দারিদ্র্য-বৈষম্য-অসমতা দূরীকরণে প্রত্যক্ষ ভূমিকা প্রদানকারী খাত, আয় ও ব্যয়ের কাঠামোগত রূপান্তর, বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতাবিহীন, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে বিত্তবান-ধনীদের উপর যুক্তিসঙ্গত চাপ প্রয়োগ, ধনী ও বিত্ত-সম্পদশালী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, পরোক্ষ করের তুলনায় প্রত্যক্ষ করের অনুপাত, ব্যক্তি-বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোনো আয়ই আসে না অথচ সম্ভাবনা অনেক, উন্নয়ন দর্শন ও কভিড-১৯-এর অভিঘাত মোকাবেলার কারণে বাজেট বরাদ্দে অগ্রাধিকার, দু’টি নতুন বিভাগ সংযোজন, মানব উন্নয়ন ও মানব সম্পদ-উন্নয়ন, আমদানি শুল্কহার নির্ধারণে দেশজ শিল্পায়ন ও দেশজ কৃষি, বাজেটে আয় ও ব্যয় বরাদ্দ-এর পরিমাণ, ইত্যাদি।
কভিড-১৯-এর মহামারীর অভিঘাত মোকাবেলার এবং একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে উল্লেখিত পদ্ধতিগত বিষয়াদিসহ অনুসিদ্ধান্তসমূহের প্রয়োগে আমরা আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করছি তার মোট আকার (পরিচালন ও উন্নয়ন মিলে) হবে ১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা—যা চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) মাননীয় অর্থমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবকৃত বাজেটের তুলনায় ২.৪৭ গুণ বেশি। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) সরকারের মোট বাজেট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। আমরা অনুমান করি যে আমাদের প্রস্তাবিত বৃহদাকার বাজেট নিয়ে বেশ কথাবার্তা-সংশয়-সন্দেহ হতে পারে। তবে যুক্তি থাকলে আমাদের প্রস্তাব বর্জন করার কোনোই কারণ নেই। কারণ নেই এ কারণেও যে আমরা কভিড-১৯-এর বিপর্যয়কর অভিঘাত মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর।

প্রস্তাবিত বাজেটে কাঠামোগত মৌলিক পরিবর্তন কোথায়?
আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য আমরা যে বাজেট প্রস্তাব করছি তাতে ইতোপূর্বে উল্লেখিত বেশ কিছু মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন সূচিত হবে। আমাদের প্রস্তাবিত ১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বাজেটের অন্যতম প্রধান পরিবর্তন সূচক বৈশিষ্ট্যসমূহ নি¤œরূপ:
১. আমাদের বাজেটের আকার ১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা জিডিপি-র ৫৪.৯ শতাংশ। চলমান অর্থবছরের ২০১৯-২০ সরকারের বাজেটের তুলনায় আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২.৪৭ গুণ বড়।
২. আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় থেকে আসবে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ মোট বাজেট বরাদ্দের ৯০.৬ শতাংশের যোগান দেবে সরকারের রাজস্ব আয়। আর বাজেটের বাকী ৯.৪ শতাংশ অর্থাৎ ঘাটতি অর্থায়নে (১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা) যোগান দেবে সম্মিলিতভাবে বন্ড বাজার, সঞ্চয় পত্র বিক্রয় থেকে ঋণ গ্রহণ, এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব।
৩. আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব থেকে আয় হবে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা সরকার চলমান অর্থ বছরের (২০১৯-২০) যে প্রস্তাব করেছিলো তার চেয়ে ৩.৩ গুণ বেশি।
৪. আমাদের প্রস্তাবিত বাজেট অর্থায়নে কোনো বৈদেশিক ঋণের প্রয়োজন হবে না।
৫. আমাদের প্রস্তাবনায় বাজেটের ব্যয় বরাদ্দ কাঠামোতে গুণগত রূপান্তর ঘটবে। মোট বরাদ্দ ও আনুপাতিক বরাদ্দে উন্নয়ন বাজেট হবে পরিচালন বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি যা এখন ঠিক উল্টো। এখন উন্নয়ন-পরিচালন বাজেট বরাদ্দের অনুপাত ৪০:৬০, যা আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে হবে ৫৭:৪৩।
৬. আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের মোট রাজস্ব আয় (প্রাপ্তি) হবে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭৯ শতাংশ হবে প্রত্যক্ষ কর এবং ২১ শতাংশ হবে পরোক্ষ কর। কাঠামোগত এ পরিবর্তনটি মৌলিক।
সুতরাং, আমাদের প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটকে “বঙ্গবন্ধুর চেতনার দেশের মাটি থেকে উত্থিত বৈষম্য হ্রাসকারী উন্নয়ন দর্শন” হিসেবে অভিহিত যুক্তিযুক্ত।

আমাদের বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখযোগ্য আয় বৃদ্ধি
কভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবেলা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনিমাণের লক্ষ্যে সরকারের আয় বাড়াতে হবে এবং সম্ভাব্য কি ভাবে তা বাড়তে পারে তা নিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ধারণাগত মডেল উপঅনুছেদ ৭.২.৮ এ উপস্থাপনা করেছি। সরকারের বাজেটের আয় খাত নিরূপনের জন্য সংশ্লিষ্ট হিসেবপ্তর করার ক্ষেত্র আমরা ঐ মডেল ব্যবহার করেছি। মাননীয় অর্থমন্ত্রী কর্তৃক পেশকৃত চলমান ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মোট রাজস্ব ধরা হয়েছিল ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা। আর বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি থেকে আমরা আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে এ আয় ৩.৩ গুণ বৃদ্ধি করে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি। আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের প্রস্তাবিত নতুন ২১টি উৎসের মধ্যে ১৮টি উৎস থেকে (ঘাটতি অর্থায়নের উৎসের ২ খাত বাদে) সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হতে পারে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা যা মোট রাজস্ব আয়ের ২১.২ শতাংশ। এখানে উল্লেখ্য যে আমাদের প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়ের নতুন এসব উৎসের মধ্যে মাত্র ৪টি উৎস, যেমন ‘সম্পদ কর’ (৮০ হাজার কোটি টাকা), অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর (৪০ হাজার কোটি টাকা), অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি (৫৫ হাজার কোটি টাকা), এবং কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি (৪০ হাজার কোটি টাকা) থেকেই সরকার মোট ২ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারেন। প্রস্তাবিত এই চার উৎসের সম্ভব্য প্রাপ্তি ২ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সরকার যা যা করতে পারবেন তা হলো (১) ৯৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে “মানুষ বাঁচাও কর্মসূচী বাস্তবায়ন” (যে কর্মসূচীতে আছে কভিড-১৯-এর লকডাউনের ফলে প্রায় ৭ কোটি মানুষ অভুক্ত-অর্ধভূক্ততাদের ৬ মাসের বিনামূল্যে খাদ্যসংস্থান), (২) বাজেটে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য খাতের নতুন বিভাগ “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ” ব্যয় হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা, (৩) প্রস্তাবিত “প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ”, ৫ হাজার কোটি টাকা, (৪) দরিদ্র মানুষের জন্য প্রস্তাবিত গৃহায়ণ ৫০ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা, (৫) কভিড-১৯-এ নিঃস্ব অনু-ব্যবসায়ী প্রায় ৪৭ লক্ষ ফেরিওয়ালা, হকার, ভ্যানে পণ্য বিক্রেতা, চা-পান বিক্রেতাদের জন্য এককালীন ৯ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এর পরেও ২০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে দুইটি নতুন উৎসের কথা বলা হয়েছে। যা হ’ল “বন্ড মার্কেট” এবং “সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব”। প্রস্তাবিত এ দুইটি নতুন উৎস থেকে পাওয়া যেতে পারে ৯৫ হাজার কোটি টাকা যা ৭০.৪ শতাংশ ঘাটতি অর্থায়ন পূরণ করতে সক্ষম।

আমাদের বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখযোগ্য ব্যয় বৃদ্ধি:
কভিড-১৯ এর মহাবিপর্যয়কর অভিঘাত মোকবেলা এবং তারই পাশাপশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বংলাদেশ বিনির্মাণে সমাজ ও অর্থনীতির কোন কোন খাত ও ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে এবং পেছনের যুক্তি কী তা নিয়ে আমরা আমাদের সমিতির বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুচ্ছেদ ৭-এ উত্থাপন করেছি।
শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত: বাংলাদেশকে জ্ঞানালোকিত মানুষের সমাজ রূপান্তরে মানব শক্তি উন্নয়নের কোনই বিকল্প নেই। আর অন্তত: সে কারণেই শিক্ষার অগ্রাধিকার এবং বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আমরা এ খাতের জন্য আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্ব্বোচ বরাদ্দ ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছি যা চলমান বাজেট বরাদ্দের তুলনায় ২.৪৮ গুণ বেশি। “শিক্ষা ও প্রযুক্তি” খাত নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য হল (১) ‘শিক্ষা’ ও ‘প্রযুক্তি’-কে দুটি ও ভিন্ন খাত হিসেবে দেখাতে হবে। যে ক্ষেত্রে ‘শিক্ষা ও গবেষণা’ হবে একটি আর ‘প্রযুক্তি’ হবে অন্য খাত। একই সাথে ‘শিক্ষা ও গবেষণা’ বাজেট বরাদ্দ হবে কমপক্ষে জিডিপি-র ৫ শতাংশ। আমরা সেটাই প্রস্তাব করেছি।
স্বাস্থ্য খাত: স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা এমনিতেই যথেষ্ট মাত্রায় বেহাল; এ খাত এখন বৈষম্য সৃষ্টি ও দারিদ্র্য সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম। আর ‘কভিড-১৯’ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে আমাদের দেশে আসলেই তেমন কোনো শক্তিশালি স্বাস্থ্যখাত নেই। স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান (২০১৯-২০ অর্থবছরে) সরকারি বরাদ্দ ৬৭ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। আমরা এ বরাদ্দ ১.৮৭ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১২৪ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি। আমরা মনে করি বর্ধিত স্বাস্থ্য বরাদ্দ সেই সব খাত-উপখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবাহিত করা সমীচীন হবে যার ফলে জনগণের সুস্বাস্থ্য-মধ্যস্থতাকারী জীবন-সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাত: সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে এখন সরকারি বরাদ্দ ২৯ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা। প্রধানত ‘কভিড-১৯’ এর বিপর্যয়ের কারণে আমরা এ বরাদ্দ ৫.৮৬ গুণ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি। উল্লেখ্য যে ২০২০-২১ এর অর্থবছরে আমাদের সম্পুর্ণ নতুন প্রস্তাব হল দেশ উন্নয়নে আজকের এবং ভবিষ্যতের প্রবীণ মানুষদের অবদান, জনসংখ্যায় প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ‘উন্নয়ন-ধাক্কায়’ প্রবীণদের পিছলে পড়া – জীবনের ভঙ্গুরতা-একাকিত্ব-নিসঙ্গতা বৃদ্ধি এ সব কারণে আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার সুনির্দিষ্ট বরাদ্দের প্রস্তাব করেছি (৩,৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন ও ১,৫০০ কোটি টাকা পরিচালন বরাদ্দ)।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত: আমাদের প্রস্তাবনায় বাজেটে মোট ১৫-টি বৃহৎবর্গীয় খাতের মধ্যে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানী” চতুর্থ বৃহত্তম বরাদ্দপ্রাপ্তিযোগ্য খাত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে সরকারি বরাদ্দ এখন ২৮ হাজার ৫০ কোটি টাকা। আমরা এ বরাদ্দ ৫.৩৫ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করছি।
পরিবহন ও যোগাযোগ খাত: পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বর্তমান সরকারি বরাদ্দ (২০১৯-২০ অর্থবছরে) ৬৪ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। আমরা এ বরাদ্দ ২.৩২ গুণ বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা প্রস্তাব করছি।
ঋণের সুদ: বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ আমরা আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করেছি। চলতি বাজেটে বৈদেশিক ঋণের সুদ খাতে সরকারের বরাদ্দ ৪ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট কভিড-১৯-এর কল্পনাতীত ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার বাজেট। যে কারণে সরকারের আয় অনেক বৃদ্ধি করতেই হবে। এ জন্য রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মোট ২১টি নতুন উৎস নির্দেশ করেছি যা অতীতে ছিল না।
আমাদের বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের মোট রাজস্ব আয় হবে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকার প্রদত্ত বাজেটের তুলনায় ৩.৩ গুণ বেশী। সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় আমাদের প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বিকল্প বাজেটে এ বৃদ্ধি হবে প্রধানত তিনটি কারণে : (১) আয়ের বিভিন্ন উৎসে যৌক্তিক বৃদ্ধি যেমন, আয় ও মুনাফার উপরে কর, আমদানি শুল্ক, মাদক শুল্ক, যানবাহন কর, ভূমি রাজস্ব, লভ্যাংশ ও মুনাফা, জরিমানা-দন্ড-বাজেয়াপ্তকরণ, টোল, ভাড়া ও ইজারা, সরকারের সম্পদ বিক্রয়। বিভিন্ন উৎসে এ বৃদ্ধির পরিমাণ হবে এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ থেকে ২২৬ গুণ পর্যন্ত (যেমন জরিমানা, দ-, বাজেয়াপ্তকরণ; সারণি ৬ দেখুন); (২) কোনো কোনো উৎসের ক্ষেত্রে কর হার পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র কর আদায় প্রক্রিয়া জোরদার করে যেমন, মূল্য সংযোজন কর; (৩) প্রস্তাবিত নতুন উৎসসমূহ থেকে রাজস্ব প্রাপ্তি যেমন ২১-টি নতুন উৎস যার মধ্যে অন্যতম প্রধান হ’ল সম্পদ কর, অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি, কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, এবং অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর। এখানে উল্লেখ করা সমীচীন যে, আমাদের প্রস্তাবনায় আমরা সরকারের মোট রাজস্ব প্রাপ্তির যে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার হিসেব দিয়েছি ‘আদর্শ’ পরিমাণটা হতে পারে তার চেয়ে আরো অনেক বেশি। কারণ, কর ও কর বহির্ভূত অনেক উৎস আছে যে সবে রাজস্ব প্রাপ্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে সাধারণভাবে যা মনে করা হয় প্রকৃত সম্ভাবনা তার চেয়ে অনেক বেশি। যেমন আয় ও মুনাফার উপর কর। আয় কর ফাঁকি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার; উচ্চ আয়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আসলে নির্ধারিত আয়কর দেন না; দেশে বড়জোর ১০০-১৫০ জন ব্যক্তি বছরে ১ কোটি টাকা অথবা তার বেশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে (কর্পোরেট নয়) কর দেন যেখানে এ সংখ্যাটি হবার কথা কমপক্ষে ৫০ হাজার জন ব্যক্তি; “রেন্ট-সিকার”রা বিপুল পরিমাণে কর ফাঁকি দিতে হেন পথ-পদ্ধতি নেই যা অবলম্বন করেন না। আবার কালো টাকার মালিকরা তো তাদের কালো টাকার উপর কোন করই দেন না, কারণ কালো টাকার উপর কি ভাবে কর দেবেন? কালো টাকা যদি বৈধ আয়ই না হয়ে থাকে তাহলে আয়ের উপর কর অর্থাৎ আয়কর কি ভাবে দেবেন, কোথায় দেবেন? আবার কালো টাকা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করলে তো সহজেই সরকারের রাজস্ব আয়ের “কর ব্যতীত প্রাপ্তি” খাত থেকে রাজস্ব আহরণ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। যে ২০ জন ব্যাংকের সর্বোচ্চ ঋণগ্রহীতা তাদের হাতে যে ১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৬০ কোটি টাকার ঋণস্থিতি তার কী হবে? শ্রেণিকৃত ও মওকুফকৃত ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ব্যাংকঋণ? আবার জমি সম্পত্তি অথবা ফ্ল্যাট কিনে যে দামে রেজিস্ট্রি করা হয় এবং তা কিনতে আসলে যে মূল্য পরিশোধ করা হয় সে ফারাক উদ্ভূত রাজস্ব কোথায়? এ থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই কালো টাকার ফাঁদে পড়েন। এসবই ‘ওপেন সিক্রেট’। এসবই হলো শর্ষের মধ্যে ভূত। এসব ভূত নিয়ে ভাবনা জরুরি। কারণ “দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স” সরকারের অন্যতম নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি।
আমাদের ২০২০-২১-এর বিকল্প বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট মিলে আমরা মোট ১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব করেছি যা সরকারের চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ২.৪৭ গুণ বেশি (চলতি অর্থবছরে সরকারের বাজেট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা)। আমাদের প্রস্তাবনায় বাজেটের আকারই শুধু তুলনামুলক বড় নয় সেই সাথে কাঠামোগত বড় পরিবর্তন যেক্ষেত্রে ঘটছে তা হল মোট বাজেটে উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেট বরাদ্দের অনুপাত। আমাদের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আর রাজস্ব প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। কেউ হয়তো বলবেন ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি অনেক বড় ঘাটতি। এই বিষয়ে অনর্থক কোনো তর্কে অবর্তীণ না হয়ে (জাপানে বাজেট ঘাটতি ২৫৬%) আমরা বলতে চাই যে যদি কোনো যুক্তিসংগত কারণে ঘাটতি বাজেটে অসুবিধা থাকে সেক্ষেত্রে বাজেটে ১ পয়সাও ঘাটতি না রেখে আমাদের প্রস্তাবিত রাজস্ব আয় অর্থাৎ ১২ লক্ষ ৬১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা দিয়েও মোট বাজেট প্রস্তুত করতে পারেন।

বিবরণ সরকারের ২০১৯-২০
অর্থবছরের বাজেট বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির
২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট
মোট-বাজেট (কোটি টাকায়)
পরিচালন ব্যয় (কোটি টাকায়)
উন্নয়ন ব্যয় (কোটি টাকায়) ৫২৩,১৯০
৩১১,৫০৭
২১১,৬৮৩ ১,৩৯৬,৬০০
৬০১,৭৮৪
৭৯৪,৮১৬
উন্নয়ন- পরিচালন ব্যয় বাজেট অনুপাত ৪০:৬০ ৫৭:৪৩
মোট-রাজস্ব আয় (প্রাপ্তি) (কোটি টাকায়)
মোট-রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর (কোটি টাকায়)
মোট-রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর (কর ব্যতীত প্রাপ্তিসহ) (কোটি টাকায়) ৩৮১,৯৭৮
৩২৫,৬০০
৫৬,৩৭৮
১,২৬১,৬০০
৮৫৭,২১০
৪০৪,৩৯০
রাজস্ব আয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কর অনুপাত (শতাংশ) ৫৬:৪৪ ৭৯:২১
রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত সমূহ
(মোট অর্থের নিরিখে) মূল্য সংযোজন কর, আয় ও মুনাফার উপর কর, সম্পূরক কর, আমদানি শুল্ক
(যে সব খাতে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা বা বেশী) আয়-মুনাফা ও মুলধনের উপর কর, মূল্য সংযোজন কর, সম্পদ কর, আমদানি শুল্ক, জরিমানা-দন্ড-বাজেয়াপ্তকরণ, অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি, সম্পুরক শুল্ক, অতিরিক্ত মুনাফার উপরে কর, কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি, কর ব্যতিত অন্যান্য ও প্রাপ্তি, যানবাহন কর, লভ্যাংশ ও মুনাফা, মাদক শুল্ক, ভূমি রাজস্ব, ননজুডিসিয়াল স্টাম্প বিষয়, প্রশাসনিক ফি, সেবা বাবদ প্রাপ্তি, সুদ
বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার খাতসমূহ (মোট বরাদ্দের পরিমাণের নিরিখে) জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি, পরিবহন ও যোগাযোগ, সুদ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ, জনশৃংখলা ও নিরাপত্তা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম, শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস (১) শিক্ষা ও প্রযুক্তি, (২) সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ, (৩) পরিবহন ও যোগাযোগ, (৪) বিদ্যুৎ ও জ¦ালানী, (৫) জনপ্রশাসন, (৬) স্বাস্থ্য, (৬) কৃষি, (৬) স্বাস্থ্য (কৃষির সমান), (৭) স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, (৮) জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা, (৮) গৃহায়ন (জনশৃংখলা ও নিরাপত্তার সমান), (৯) সুদ, (১০) প্রতিরক্ষা, (১১) বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম, (১২) শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস, (১৩) বিবিধ ব্যয় (খাদ্য হিসাবসহ)
রাজস্ব আয়ে নতুন খাত/উৎসের সংখ্যা প্রযোজ্য নয় ২১টি
বাজেটে নতুন খাত/উপখাত সংযোজন নেই ২টি: জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা (বিভাগ), প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ
বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা আছে নেই
অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাষ্ট্রের ভূমিকা সীমিত উল্লেখযোগ্য (সংবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ)
আর্থ-সামাজিক বৈষম্য-অসমতা নিরসন দর্শন প্রান্তিকভাবে উপস্থিত মূল লক্ষ্য
কভিড-১৯ এর অভিঘাত মোকাবেলায় বাজেট অবশ্যই থাকবে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে
সারণি-১: একনজরে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাব, ২০২০-২১ এবং তার সাথে সরকারের চলতি অর্থবছর ২০১৯-২০-এর তুলনা

কভিড-১৯ মহামারীর বিশে^ পরিবর্তন অনিবার্যÑ আমরা কী চাই:
“বিশ^ অর্থনীতি নিয়ত পরিবর্তনশীল। বিশ^ অর্থনীতির ভরকেন্দ্রে ভৌগলিক স্থানান্তর ঘটছে”। যার ভিত্তিতে আছে বড় আকারের মানব সম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ-এর প্রাপ্যতা। সামনের ১৫-২০ বছরে আমরাও পারি বিশ^ অর্থনীতিতে উচ্চ আসনে আসীন হতে। বৈশি^ক অর্থনীতির মধ্যে আমাদের এ সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ দিতে প্রয়োজন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন-দর্শন ও মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় উদ্ভাসিত গভীর অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব এবং সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকা-ে জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ। “বিশ^ অর্থনীতি নিয়ত পরিবর্তনশীল”, “বিশ^ অর্থনীতির ভরকেন্দ্রে ভৌগলিক স্থানান্তর ঘটছে”, “আমরাও পারি”, “রাজনৈতিক প্রজ্ঞা”, “জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ”, “মানুষে-মানুষে বৈষম্য-অসমতা হ্রাস”Ñ আমাদের এ সব শব্দ-বাক্য ব্যবহারকে কেউ কেউ বলেছেন “দার্শনিক কথাবার্তাÑ অর্থনীতি নয়”, কেউ বা আবার বলেছেন “বেশি আদর্শবাদী কথাবার্তা”, কেউ বা বলেছেন “বিশ^ অর্থনীতিতে ওসব হবে-টবে না”। কিন্তু করোনাভাইরাস রোগ-১৯ (কভিড-১৯)-এর সংক্রমণে আক্রান্ত বিশ^ এমনই অসহায় যে কেউ জানে না কী হবে। কিন্তু কিছু একটা যে হবে তা সম্ভবত সবাই কমবেশি আঁচ করতে পারছেন। সমাজ পরিবর্তন ধীর গতির বিষয় নয়Ñ ইতিহাসের মত লাফিয়ে চলে। পৃথিবীতে ৯০ বছর পর পর যে মহামন্দা হবে সেটা তো ‘দীর্ঘমেয়াদি ঋণ চক্রের ফল’ যারা বোঝেন অস্বীকার করতে পারেন নাÑ এ কোনো ঐশ^রিক-ঐন্দ্রজালিক খেলা নয়। এ এক স্বাভাবিক খেলা। ১৯৩০ সালে সর্বশেষ মহামন্দা হয়েছে ৯০ বছর পরে ২০২০ সালের দিকে যে আবার হবেÑ হতেই হবেÑ এটা তো নিয়ম। আর ঘটনাচক্রে ঠিক এ সময়েই (২০১৯ সালে এসে এখনও সদর্প বিচরণ তার) আগমন করোনা ভাইরাস রোগ-১৯। এ দু’য়ের আগমনে কোনো যোগসূত্র নেই। কিন্তু মারাত্মক বিপর্যয় হবে, বড় ধরনের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী এজন্যই যে বৈশি^ক মহামন্দার আগমনকাল আর কভিড-১৯ এর আগমন একই সাথে ঘটেছে। কেন এমনটি হলো তা সম্ভবত কেউই জানে না। তবে সত্য হল ‘কালো রাজহাঁস তত্ত্ব’ (ইষধপশ ঝধিহ ঞযবড়ৎু) যা বলে যে পরিবর্তন হয় জ্যামিতিক হারে (বীঢ়ড়হবহঃরধষষু); বলে “ইতিহাস হয়তো আক্ষরিক অর্থে পুনরাবৃত্ত হয় না তবে তার ছন্দ শোনা যাবেই”। হচ্ছেও তাই।
“পরিবর্তন অনিবার্য”, “বিশ^ নিয়ত পরিবর্তনশীল”Ñ তাহলে এসব কথা ঠিক। তাহলে এ সব কথাও ঠিক যে যখন অদৃশ্যমান করোনা ভাইরাস-১৯ এতটা দৃশ্যমান ক্ষতি করলো (আসলে কত ক্ষতি করেছে তা বুঝতে অনেক বছর পার করতে হবে কারণ এ ক্ষতির বংশপরম্পরা কোনো যোগসূত্র থাকবে কি’না তা আমাদের জানা নেই) তখন জীবজগতে যে ১৫ লক্ষ ভাইরাস ঘোরাঘুরি করছে সেখানে নিশ্চয়ই ভাইরাস-টিমে এমন কোনো খেলোয়াড় থাকা অস্বাভাবিক নয় যে কভিড-১৯ এর চেয়ে আরো তুখোড় খেলোয়াড়। তার আগমন ঘটলে কী হবে? সুস্থ-বিজ্ঞানীদের অনেকেই তো বলছেন (আগেও বলেছেন কেউ তাদের কথায় কান দেয়নি) যে বিশ^ ধ্বংসের জন্য চারটি জিনিসের যে কোনো একটিই যথেষ্ট। এই চারটি জিনিস হলো (১) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (ধৎঃরভরপরধষ রহঃবষষরমবহপব), (২) বৈষম্য (রহবয়ঁধষরঃু), (৩) জলবায়ু পরিবর্তন (পষরসধঃব পযধহমব), এবং (৪) সন্ত্রাসবাদ (ঃবৎৎড়ৎরংস)। এসব কথায় যুক্তি আছে। আর যুক্তি থাকলে মান্য করা এবং সে অনুযায়ী উন্নয়ন দর্শন বিনির্মাণ ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা পরিচালন করা যুক্তিসঙ্গত। এ সব বিবেচনাবোধ থেকেই আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বিনির্মিত বিকল্প বাজেট প্রণয়নের ভিত্তি-চিন্তাকে আমরা যেভাবে সংজ্ঞায়িত করেছি তা হল “মানুষের জীবন ও জীবিকা উদ্দিষ্ট সুস্থ নীতি হবে তা যেখানে প্রকৃতির প্রতি পূর্ণ সম্মানবোধ ও আস্থা থাকবে, যেখানে মানুষকে প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবেÑ উল্টোটা নয়, যেখানে মানুষে-মানুষে বৈষম্য তিরোহিত হবে, যেখানে মানবসত্তার পূর্ণ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে, যেখানে জন্মসূত্রে মানুষের দরিদ্র হবার সুযোগ থাকবে না, যেখানে মানুষ মাত্রই হবে প্রকৃত জ্ঞানালোকিত”। এ নীতির ভিত্তিতেই আমরা বড় পর্দায় বহুশাস্ত্রীয় নিরিখে বুঝতে চেয়েছিÑ কভিড-১৯ এর সম্ভাব্য অভিঘাত এবং তা থেকে উত্তরণের পথ। প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেটে আমরা জটিল এ সব ভাবনার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট প্রণয়নের আগে আমরা কভিড-১৯-এর সম্ভাব্য সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিক দিকসমূহের কার্যকারণ বুঝতে চেষ্টা করেছি। আমরা যা বুঝেছি তা হল মানব নিরাপত্তা (যঁসধহ ংবপঁৎরঃু), সামাজিক নিরাপত্তা (ংড়পরধষ ংবপঁৎরঃু), অর্থনৈতিক নিরাপত্তা (বপড়হড়সরপ ংবপঁৎরঃু)-এর কোনোটাই কাক্সিক্ষত মাত্রায় এবং কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে অর্জিত হতে পারে না, পারে না যদি আয়-বৈষম্য-ধন-বৈষম্য, স্বাস্থ্য-বৈষম্য ও শিক্ষা-বৈষম্যকে ক্রমাগত বাড়তে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। এ বাজেট প্রণয়নে আমরা সরকারের আয়ের উৎসের যে সব জায়গায় বেশি হাত দিয়েছি যে আয়ের উৎস বৈষম্য বাড়ায়, আর সরকারের ব্যয় খাতে সে খাতগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছি যা প্রকৃত মানবিক উন্নয়ন সহায়ক এবং প্রকৃতি-বান্ধব নয়Ñ যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক কল্যাণ, অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষ, কৃষি ইত্যাদি।
আমরা শেষ পর্যন্ত বলেছি যে বাজেটে প্রতিফলিত হতে হবে এই উন্নয়ন দর্শন এবং যার ভিত্তিতে সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়াটি হতে হবে প্রকৃতির প্রতি আস্থা-বিশ^াস রেখে কর্মপদ্ধতি নির্ধারণের, বণ্টন ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণের, দ্রুত ভিত্তিতে বৈষম্য হ্রাসকরণের, কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের, মানব সম্পদ দ্রুত বিকশিতকরণের, সবুজ শিল্পায়ন ত্বরান্বয়নের, ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগসহ আত্মকর্মসংস্থান বিকশিতকরণের, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ-সর্বোত্তম ব্যবহারকরণের, তরুণ প্রজম্মকে আত্মবিশ্বাসী ও আলোকিতকরণের, নারীর বহুমুখী ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণের, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের, এবং সর্বোপরি সমগ্র প্রক্রিয়ায় জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের।
আমরা বিশ^াস করি কভিড-১৯ মহামারী উদ্ভূত মহাবিপর্যয় থেকে মুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বৈষম্যহীন-আলোকিত মানুষের বাংলাদেশ বিনির্মাণ উদ্দিষ্ট বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট ২০২০-২১ একটি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দলিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন-প্রগতি ভাবনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে প্রণিত মৌলিক রূপান্তরমূখী এ দলিল বাস্তবায়নে প্রয়োজন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দৃঢ় অঙ্গীকার। অন্তর্নিহিত মর্মবস্তুসহ এ দলিল আপাতত: গৃহীত হবে কি হবে না, বাস্তবায়িত হবে কি হবে নাÑএ সব প্রসঙ্গ ভবিষ্যতের। আমাদের লক্ষ্য ছিল করোনাকালীন বৈশি^ক মহামারীর এ বিপর্যয়কালে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসে সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করার চেষ্টা করা। আমাদের প্রস্তাবিত বিকল্প বাজেট ২০২০-২১ সেই প্রয়াসের বস্তুনিষ্ট প্রতিফলন মাত্র।

সারণি ২: বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি কর্তৃক প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ-বছরে আয়ের বাজেট
প্রধান অর্থনৈতিক কোড রেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক কোড বিবরণ
২০১৯-২০:
সরকারের চলতি অর্থবছরের বাজেট* ২০২০-২১:
অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবিত অর্থনীতি সমিতির ২০২০-২১ অর্থ-বছরের জন্য প্রস্তাবিত আয়ের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে সরকার প্রস্তাবিত পরিমাণের কতগুণ বেশি

    কোটি টাকায়  শতাংশ   কোটি টাকায়  শতাংশ   
করসমূহ হইতে প্রাপ্তি                    
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ                    

১০০ আয়, মুনাফা ও মূলধনের উপর কর ১১৩,৯১২ ২৯.৮২ ৪৩৫,৮০০ ৩৪.৫৪ ৩.৮৩
৩০০ মূল্য সংযোজন কর ১২৩,০৬৭ ৩২.২২ ১৬০,৮৬০ ১২.৭৫ ১.৩১
৪০০ আমদানি শুল্ক ৩৬,৪৯৮ ৯.৫৬ ৭০,০০০ ৫.৫৫ ১.৯২
৫০০ রপ্তানি শুল্ক ৫৪ ০.০১ ৩০০ ০.০২ ৫.৫৬
৬০০ আবগারী শুল্ক ২,২৩৯ ০.৫৯ ৪,২০০ ০.৩৩ ১.৮৮
৭০০ সম্পূরক শুল্ক ৪৮,১৫৩ ১২.৬১ ৪৫,২০০ ৩.৫৮ ০.৯৪
বিদেশি নাগরিকদের উপর কর ০.০০ ০.০০ ৭,৮০০ ০.৬২ –
সেবা থেকে প্রাপ্ত কর ০.০০ ০.০০ ৫,০০০ ০.৪০ –
সম্পদ কর (বিধষঃয ঃধী) ০.০০ ০.০০ ৮০,০০০ ৬.৩৪ –
অতিরিক্ত মুনাফার উপর কর (ঃধী ড়হ বীপবংং ঢ়ৎড়ভরঃ) ০.০০ ০.০০ ৪০,০০০ ৩.১৭ –
বিমান পরিবহন ও ভ্রমণ কর ০.০০ ০.০০ ৫,০৫০ ০.৪০ –
৯০০ অন্যান্য কর ১,৬৭৭ ০.৪৪ ৩,০০০ ০.২৪ ১.৭৯
মোট-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ: ৩২৫,৬০০ ৮৫.২৪ ৮৫৭,২১০ ৬৭.৯৫ ২.৬৩
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বর্হিভূত করসমূহ
১০০০ মাদক শুল্ক ১০৯ ০.০৩ ২০,৮০০ ১.৬৫ ১৯০.৮৩
১১০০ যানবাহন কর ১,৪৩৩ ০.৩৮ ২৮,০০০ ২.২২ ১৯.৫৪
১২০০ ভুমি রাজস্ব ১,৪০০ ০.৩৭ ১৪,০০০ ১.১১ ১০.০০
১৩০০ স্ট্যাম্প বিক্রয় (নন-জুডিশিয়াল) ১১,০৪৭ ২.৮৯ ১২,৫০০ ০.৯৯ ১.১৩
সারচার্জ১ ৫১১ ০.১৩ ৬০০ ০.০৫ ১.১৭
উপমোট-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বর্হিভূত করসমূহ: ১৪,৫০০ ৩.৮০ ৭৫,৯০০ ৬.০২ ৫.২৩
মোট-করসমূহ হইতে প্রাপ্তি ৩৪০,১০০ ৮৯.০৪ ৯৩৩,১১০ ৭৩.৯৬ ২.৭৪
কর ব্যতীত প্রাপ্তি
১৫০০ লভ্যাংশ ও মুনাফা ৩,৪৯৭ ০.৯২ ২৫,৩০০ ২.০১ ৭.২৩
১৬০০ সুুদ ৮,৩১৬ ২.১৮ ১০,০০০ ০.৭৯ ১.২০
১৭০০ রয়্যালটি এবং সম্পদ হইতে আয় – ০.০০ ৭০০ ০.০৬ –
১৮০০ প্রশাসনিক ফি ৮,৮৮৫ ২.৩৩ ১০,২০০ ০.৮১ ১.১৫
১৯০০ জরিমানা, দন্ড ও বাজেয়াপ্তকরণ ২৮৯ ০.০৮ ৬৫,৫০০ ৫.১৯ ২২৬.৬৪
২০০০ সেবা বাবদ প্রাপ্তি ৭,২৭৮ ১.৯১ ১০,০০০ ০.৭৯ ১.৩৭
২১০০ ভাড়া ও ইজারা ৬৩১ ০.১৭ ৮,০০০ ০.৬৩ ১২.৬৮
২২০০ টোল ৬৮৬ ০.১৮ ৮,৫০০ ০.৬৭ ১২.৩৯
২৩০০ অ-বাণিজ্যিক বিক্রয় ২,৬১৫ ০.৬৮ ৫,৫০০ ০.৪৪ ২.১০
২৪০০ সেচ বাবদ প্রাপ্তি – ০.০০ ০.০০ ০.০০ –
২৫০০ প্রতিরক্ষা বাবদ প্রাপ্তি ০ ০.০০ ৯,০০০ ০.৭১ –
২৬০০ কর ব্যতীত অন্যান্য রাজস্ব ও প্রাপ্তি ৫,২৬১ ১.৩৮ ৩৫,০০০ ২.৭৭ ৬.৬৫
৩১০০ রেলপথ ০ ০.০০ ৭,০০০ ০.৫৫ –
৩২০০ ডাক বিভাগ ০ ০.০০ ৫০০ ০.০৪ –
৩৬০০ সরকারের সম্পদ বিক্রয় (স্টেশনারীসহ) ০ ০.০০ ২,৫০০ ০.২০ –
বৈদেশিক সহায়তা প্রাপ্তি (অনুদান) ৪,১৬৮২ ১.০৯ ০.০০ ০.০০ ০.০০
মূলধন রাজস্ব ২৫২ ০.০৭ ১,৩০০ ০.১০ ৫.১৬
তার ও টেলিফোন বোর্ড ০.০০ ০.০০ ২,৫০০ ০.২০ –
টেলিকম রেগুলেটরী কমিশন ০.০০ ০.০০ ৬,৫০০ ০.৫২ –
এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন ০.০০ ০.০০ ২,৫৪০ ০.২০ –
ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরী কমিশন ০.০০ ০.০০ ১,২২০ ০.১০ –
সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ০.০০ ০.০০ ১,৪৫০ ০.১১ –
বিআইডাব্লিউটিএ ০.০০ ০.০০ ১,৫০০ ০.১২ –
পৌর হোল্ডিং কর ০.০০ ০.০০ ৫,৪০০ ০.৪৩ –
ডিজি হেলথ : বেসরকারী হাসপাতাল অনুমতি নবায়ন ফিস্্ (ঢ়বৎসরংংরড়হ ৎবহবধিষ ভববং) ০.০০ ০.০০ ২,৫৪০ ০.২০ –
ডিজি ড্রাগস ঔষধ প্রস্তুতকারী কোঃ লাইসেন্স এবং নবায়ন ০.০০ ০.০০ ২,৫৪০ ০.২০ –
বিউটি পার্লার সেবা লব্ধ কর (ংবৎারপব পযধৎমব ঃধী) ০.০০ ০.০০ ২,৫৫০ ০.২০ –
আবাসিক হোটেল/গেস্ট হাউস ক্যাপাসিটি কর পধঢ়ধপরঃু ঃধী ০.০০ ০.০০ ২,৭৫০ ০.২২ –
বিদেশী পরামর্শক ফিস্ ০.০০ ০.০০ ৩,০০০ ০.২৪ –
কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্তি ০.০০ ০.০০ ৪০,০০০ ৩.১৭ –
অর্থপাচার রোধ থেকে প্রাপ্তি ০.০০ ০.০০ ৫৫,০০০ ৪.৩৬ –
মোট-কর ব্যতীত প্রাপ্তি ৪১,৮৭৮ ১০.৯৬ ৩২৮,৪৯০ ২৬.০৪ ৭.৮৪
সর্বমোট-রাজস্ব প্রাপ্তি ৩৮১,৯৭৮ ১০০.০০ ১,২৬১,৬০০ ১০০.০০ ৩.৩০

সঞ্চয় পত্র বিক্রয় (**)  ৩০,০০০      ৪০,০০০      ১.৩৩
ঋণ গ্রহণ (দেশীয় ব্যাংক হতে)     ৪৭,৩৬৪      ০.০০        ০.০০
বৈদেশিক ঋণ-নীট  ৬৩,৮৪৮      ০.০০        -
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব -       ২৫,০০০      -
বন্ড: বিদেশে বসবাসকারী দেশের নাগরিক, বিভিন্ন কোম্পানী ও অন্যান্য    -       ৭০,০০০      -
মোট ঘাটতি অর্থায়ন   ১৪১,২১২     ১৩৫,০০০     ০.৯৬
সর্বমোট ৫২৩,১৯০     ১,৩৯৬,৬০০       ২.৬৭

১ সারচার্জ এ স্বাস্থ্য উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও আইটি সারচার্জ অন্তর্ভূক্ত
২ বৈদেশিক অনুদান যেহেতু পরিশোধযোগ্য নয়, তাই একে সরকারী রাজস্বের সাথে একই গ্রুপভুক্ত করা হয়েছে

  • উৎস: বাৎসরিক বাজেট ২০১৯-২০, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃ. ৫, ৩৯। পূর্ণ অঙ্কে হিসেব করা হয়েছে, দশমিকের পরের অংশ রাখা হয়নি। ‘বিবরণ’ কলামের বামে যে সকল উৎসে “প্রধান অর্থনৈতিক কোড রেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক কোড” উল্লেখ নেই সেগুলি সরকারের আয়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাব। অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটির ০২ জুন ২০২০ তারিখের জুম মিটিং-এ অনুমোদিত।
    ** প্রচলিত ব্যবস্থা, নারী সঞ্চয়ী এবং পেনশন ভোগীদের জন্য বিবেচিত।

সারণি ৩: বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি কতৃক প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থ-বছরে ব্যয়ের বাজেট
কোড মন্ত্রণালয়, বিভাগ, খাত পরিচালন১ উন্নয়ন২ পরিচালন+উন্নয়ন = মোট বরাদ্দ
২০১৯-২০* ২০২০-২১ অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবে যতগুণ বৃদ্ধি পাবে ২০১৯-২০* ২০২০-২১ অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবে যতগুণ বৃদ্ধি ২০১৯-২০ (সরকার প্রস্তাবিত) ২০২০-২১ (অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব)** অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাবে যতগুণ বৃদ্ধি পাবে
সরকার প্রস্তাবিত অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব** সরকার প্রস্তাবিত অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব**
কোটি টাকায় শতাংশ কোটি টাকায় শতাংশ কোটি টাকায় শতাংশ কোটি টাকায় শতাংশ
১ জনপ্রশাসন ৮৩,৪৬৭ ২৬.৭৯ ৯৩,৬৩৯ ১৫.৫৬ ১.১২ ১৩,০০৩ ৫.১২ ৩৯,১২২ ৪.৯২ ৩.০১ ৯৬,৪৭০ ১৩২,৭৬১ ১.৩৮
১.১ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ২৪ ০.০১ ৪৪ ০.০১ ১.৮৩ – ০.০০ ১০৮ ০.০১ – ২৪ ১৫২ ৬.৩৩
১.২ জাতীয় সংসদ ৩২৭ ০.১০ ৪৪০ ০.০৭ ১.৩৫ ১ ০.০০ ১০৮ ০.০১ ১০৮.০০ ৩২৮ ৫৪৮ ১.৬৭
১.৩ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৫৬৪ ০.১৮ ৬০৫ ০.১০ ১.০৭ ২,৯৬৪ ১.১৭ ৫,৪০০ ০.৬৮ ১.৮২ ৩,৫২৮ ৬,০০৫ ১.৭০
১.৪ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৭৪ ০.০৬ ১১০ ০.০২ ০.৬৩ ৬৭ ০.০৩ ২১৬ ০.০৩ ৩.২২ ২৪১ ৩২৬ ১.৩৫
১.৫ নির্বাচন কমিশন ৭৭৯ ০.২৫ ১,৬৯৭ ০.২৮ ২.১৮ ১,১৪১ ০.৪৫ ৯৯৯ ০.১৩ ০.৮৮ ১,৯২০ ২,৬৯৬ ১.৪০
১.৬ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২,৪৬৯ ০.৭৯ ২,৬৪৮ ০.৪৪ ১.০৭ ৩৯৪ ০.১৬ ৫২০ ০.০৭ ১.৩২ ২,৮৬৩ ৩,১৬৮ ১.১১
১.৭ সরকারি কর্ম কমিশন ৬৮ ০.০২ ১৬৫ ০.০৩ ২.৪৩ ৩৪ ০.০১ ২৭০ ০.০৩ ৭.৯৪ ১০২ ৪৩৫ ৪.২৬
১.৮ অর্থ বিভাগ ৭৪,৫১৩ ২৩.৯২ ৮০,৪৩৭ ১৩.৩৭ ১.০৮ ৩,৩২৬ ১.৩১ ১৩,১৬৩ ১.৬৬ ৩.৯৬ ৭৭,৮৩৮ ৯৩,৬০০ ১.২০
১.৯ নিয়ন্ত্রণ মূলক প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন (বিএসইসি, আইডিআরএ, পুঁজি বাজার, প্রতিযোগিতা কমিশন ইত্যাদি) – ০.০০ ৪৪০ ০.০৭ – – ০.০০ ৫,৪০০ ০.৬৮ – – ৫,৮৪০ –
১.১০ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ২,৩০১ ০.৭৪ ২,৭০৮ ০.৪৫ ১.১৮ ৫৯৮ ০.২৪ ২,৪৬২ ০.৩১ ৪.১২ ২,৮৯৯ ৫,১৭০ ১.৭৮
১.১১ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ১৩৯ ০.০৪ ৫৫০ ০.০৯ ৩.৯৬ ২,৯০৩ ১.১৪ ৪,৩২০ ০.৫৪ ১.৪৯ ৩,০৪২ ৪,৮৭০ ১.৬০
১.১২ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২৪৪ ০.০৮ ৪৪০ ০.০৭ ১.৮০ ৬৬ ০.০৩ ২১৬ ০.০৩ ৩.২৭ ৩১০ ৬৫৬ ২.১২
১.১৩ পরিকল্পনা বিভাগ৪ ৮৮ ০.০৩ ৬৬০ ০.১১ ৭.৫০ ১,১৪৩ ০.৪৫ ২,৭০০ ০.৩৪ ২.৩৬ ১,২৩১ ৩,৩৬০ ২.৭৩
১.১৪ বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ ৫৪ ০.০২ ৩৩০ ০.০৫ ৬.১১ ৯৫ ০.০৪ ৫৪০ ০.০৭ ৫.৬৮ ১৪৯ ৮৭০ ৫.৮৪
১.১৫ পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ২২৫ ০.০৭ ৭১৫ ০.১২ ৩.১৮ ১৫০ ০.০৬ ২,১৬০ ০.২৭ ১৪.৪০ ৩৭৫ ২,৮৭৫ ৭.৬৭
১.১৬ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১,৪৯৯ ০.৪৮ ১,৬৫০ ০.২৭ ১.১০ ১২১ ০.০৫ ৫৪০ ০.০৭ ৪.৪৬ ১,৬২০ ২,১৯০ ১.৩৫

২ স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ৫,২৫৯ ১.৬৯ ২০,০২৬ ৩.৩৩ ৩.৮১ ৩২,৬২৭ ১২.৮৬ ৮১,৬৭৩ ১০.২৮ ২.৫০ ৩৭,৮৮৬ ১০১,৬৯৯ ২.৬৮
২.১ কর ন্যায়পালের অফিস – ০.০০ ৯৯ ০.০২ – – ০.০০ ১০১ ০.০১ – – ২০০ –
২.২ স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪,৩২২ ১.৩৯ ৮,৯৯১ ১.৪৯ ২.০৮ ২৯,৯২১ ১১.৭৯ ৬১,০০৯ ৭.৬৮ ২.০৪ ৩৪,২৪৩ ৭০,০০০ ২.০৪
২.৩ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ ৫৮৪ ০.১৯ ৮,৪৩৩ ১.৪০ ১৪.৪৪ ১,৮৬৫ ০.৭৩ ১৭,১৬৬ ২.১৬ ৯.২০ ২,৪৪৯ ২৫,৫৯৯ ১০.৪৫
২.৪ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩৫৩ ০.১১ ২,৫০৩ ০.৪২ ৭.০৯ ৮৪১ ০.৩৩ ৩,৩৯৭ ০.৪৩ ৪.০৪ ১,১৯৪ ৫,৯০০ ৪.৯৪
– – –
৩ প্রতিরক্ষা ৩০,৬২১ ৯.৮৩ ৩৩,১৭৬ ৫.৫ ১.০৮ ১,৪৮০ ০.৫৮ ১,৫৭৪ ০.২০ ১.০৬ ৩২,১০১ ৩৪,৭৫০ ১.০৮
৩.১ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-প্রতিরক্ষা সার্ভিস ২৯,২৮৫ ৯.৪০ ২৯,৮০৭ ৪.৯৫ ১.০২ ১,৪৮০ ০.৫৮ ১,৪৬৩ ০.১৮ ০.৯৯ ৩০,৭৬৫ ৩১,২৭০ ১.০২
৩.২ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-অন্যান্যা সার্ভিস ১,২৯৮ ০.৪২ ৩,২০০ ০.৫ ২.৪৭ – – – ১,২৯৮ ৩,২০০ ২.৪৭
৩.৪ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ৩৮ ০.০১ ১৬৯ ০.০ ৪.৪৫ – ০.০০ ১১১ ০.০১ – ৩৮ ২৮০ ৭.৩৭
– – –
৪ জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ২৩,৩৯৫ ৭.৫১ ৩৯,২৩৪ ৬.৫২ ১.৬৮ ৪,২৪১ ১.৬৭ ১১,৬১৬ ১.৪৬ ২.৭৪ ২৭,৬৩৬ ৫০,৮৫০ ১.৮৪
৪.১ সুপ্রিম কোর্ট ১৯৫ ০.০৬ ৫২৬ ০.০৯ ২.৭০ – ০.০০ ৭২৪ ০.০৯ – ১৯৫ ১,২৫০ ৬.৪১
৪.২ আইন ও বিচার বিভাগ ১,১৯৬ ০.৩৮ ২,১৪৬ ০.৩৬ ১.৭৯ ৪৫৪ ০.১৮ ১,০৫৪ ০.১৩ ২.৩২ ১,৬৫০ ৩,২০০ ১.৯৪
৪.৩ জননিরাপত্তা বিভাগ ১৯,৭৫৬ ৬.৩৪ ৩১,৬০৮ ৫.২৫ ১.৬০ ২,১৬৬ ০.৮৫ ৫,৫৪২ ০.৭০ ২.৫৬ ২১,৯২২ ৩৭,১৫০ ১.৬৯
৪.৪ লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ২৯ ০.০১ ২৭৭ ০.০৫ ৯.৫৫ ৬ ০.০০ ২৭৩ ০.০৩ ৪৫.৫০ ৩৫ ৫৫০ ১৫.৭১
৪.৫ দুর্নীতি দমন কমিশন ১১০ ০.০৪ ৬০৫ ০.১০ ৫.৫০ ৩০ ০.০১ ৫৯৫ ০.০৭ ১৯.৮৩ ১৪০ ১,২০০ ৮.৫৭
৪.৬ সুরক্ষা সেবা বিভাগ ২,১০৯ ০.৬৮ ৪,০৭২ ০.৬৮ ১.৯৩ ১,৫৮৫ ০.৬২ ৩,৪২৮ ০.৪৩ ২.১৬ ৩,৬৯৪ ৭,৫০০ ২.০৩
– – –
৫ শিক্ষা ও প্রযুক্তি ৪১,২২২ ১৩.২৩ ৭০,০১৬ ১১.৬৩ ১.৭০ ৩৮,২৬৪ ১৫.০৮ ১২৭,১০৮ ১৫.৯৯ ৩.৩২ ৭৯,৪৮৬ ১৯৭,১২৪ ২.৪৮
৫.১ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৪,৭৭১ ৪.৭৪ ২৫,৪৭২ ৪.২৩ ১.৭২ ৯,২৭০ ৩.৬৫ ২৪,৫২৮ ৩.০৯ ২.৬৫ ২৪,০৪১ ৫০,০০০ ২.০৮
৫.২ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ১৯,৬৯৬ ৬.৩২ ২৮,৪৩৬ ৪.৭৩ ১.৪৪ ৯,৯২৮ ৩.৯১ ২১,৫৬৪ ২.৭১ ২.১৭ ২৯,৬২৪ ৫০,০০০ ১.৬৯
৫.৩ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৫৩০ ০.১৭ ২,২০৬ ০.৩৭ ৪.১৬ ১৫,৯০৮ ৬.২৭ ৪৭,৭৯৪ ৬.০১ ৩.০০ ১৬,৪৩৮ ৫০,০০০ ৩.০৪
৫.৪ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ২৮৫ ০.০৯ ৮৮২ ০.১৫ ৩.০৯ ১,৬৪৫ ০.৬৫ ১৯,১১৮ ২.৪১ ১১.৬২ ১,৯৩০ ২০,০০০ ১০.৩৬
৫.৫ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ৫,৯৪০ ১.৯১ ১৩,০২০ ২.১৬ ২.১৯ ১,৫১৩ ০.৬০ ১৪,১০৪ ১.৭৭ ৯.৩২ ৭,৪৫৩ ২৭,১২৪ ৩.৬৪
মাদ্র্রাসা (কারিগরি ও মাদ্রাসা পৃথক করা হয়েছে) – – – – – – – – – – – – –

৬ স্বাস্থ্য ১৩,৪৬৬ ৪.৩২ ৪৪,৭৪০ ৫.৪৪ ৩.৩২ ৫৪,৩৮৪ ২১.৪৩ ৮২,৩৮৪ ১০.৩৭ ১.৫১ ৬৭,৮৫০ ১২৭,১২৪ ১.৮৭
৬.১ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ১০,০০৮ ৩.২১ ২৭,৭৪০ ৪.৬১ ২.৭৭ ৪৮,৩৮৪ ১৯.০৬ ৪৮,৩৮৪ ৬.০৯ – ৫৮,৩৯২ ৭৬,১২৪ ১.৩০
৬.২ স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ৩,৪৫৮ ১.১১ ৫,০০০ ০.৮৩ ১.৪৫ ৬,০০০ ২.৩৬ ৬,০০০ ০.৭৫ – ৯,৪৫৮ ১১,০০০ ১.১৬
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা (বিভাগ): জীবজন্তু-প্রাণীবাহিত রোগ, বায়োসিকিউরিটি, বায়োসেফটি; রোগ নির্ণয় ও রিপোর্টিং; সমন্বিত ডাটাবেজ; র‌্যাপিড রেসপন্স; জনস্বাস্থ্য সিস্টেম প্রতিষ্ঠা; জীবাণু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও যন্ত্রপাতি; জনস্বাস্থ্য ইমারজেন্সি মোকাবেলার দক্ষতা – – ১২,০০০ ১.৯৯ – – – ২৮,০০০ ৩.৫২ – – ৪০,০০০ –
– – –
৭ সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ ২৩,৬৭৮ ৭.৬০ ১০৬,০৩৩ ১৭.৬২ ৪.৪৮ ৫,৭৮০ ২.২৮ ৬৬,৫১৫ ৮.৩৭ ১১.৫১ ২৯,৪৫৮ ১৭২,৫৪৮ ৫.৮৬
৭.১ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৬,৫৫৫ ২.১০ ১৮,১৫৩ ৩.০২ ২.৭৭ ৩২৬ ০.১৩ ৭,৩৪৭ ০.৯২ ২২.৫৪ ৬,৮৮১ ২৫,৫০০ ৩.৭১
প্রবীণ হিতৈষী বিভাগ – – ১,৫০০ ০.২৫ – – – ৩,৫০০ ০.৪৪ – – ৫,০০০ –
৭.২ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩,১০১ ১.০০ ১৬,৭৪৩ ২.৭৮ ৫.৪০ ৬৪৮ ০.২৬ ৩,৭৫৭ ০.৪৭ ৫.৮০ ৩,৭৪৯ ২০,৫০০ ৫.৪৭
৭.৩ খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩,৬১৪ ১.১৬ ৪৯,১২৫ ৮.১৬ ১৩.৫৯ ৮৮৯ ০.৩৫ ২১,৯২৩ ২.৭৬ ২৪.৬৬ ৪,৫০৩ ৭১,০৪৮ ১৫.৭৮
৭.৪ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৬,৪১৯ ২.০৬ ১৬,৮৯৫ ২.৮১ ২.৬৩ ৩,৪৫৩ ১.৩৬ ২৮,১০৫ ৩.৫৪ ৮.১৪ ৯,৮৭২ ৪৫,০০০ ৪.৫৬
৭.৫ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩,৯৮৯ ১.২৮ ৫,১১৭ ০.৮৫ ১.২৮ ৪৬৪ ০.১৮ ৫,৩৮৩ ০.৬৮ ১১.৬০ ৪,৪৫৩ ১০,৫০০ ২.৩৬
– – –
৮ গৃহায়ন ১,৬২৬ ০.৫২ ১২,১০৭ ২.০১ ৭.৪৫ ৪,৯৭৭ ১.৯৬ ৩৮,৭৪৩ ৪.৮৭ ৭.৭৮ ৬,৬০৩ ৫০,৮৫০ ৭.৭০
৮.১ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ১,৬২৬ ০.৫২ ১২,১০৭ ২.০১ ৭.৪৫ ৪,৯৭৭ ১.৯৬ ৩৮,৭৪৩ ৪.৮৭ ৭.৭৮ ৬,৬০৩ ৫০,৮৫০ ৭.৭০
– – – –
৯ বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম ২,৫৫৬ ০.৮২ ৭,৩১৯ ১.২২ ২.৮৬ ১,৮৩৩ ০.৭২ ৭,৫৩১ ০.৯৫ ৪.১১ ৪,৩৮৯ ১৪,৮৫০ ৩.৩৮
৯.১ তথ্য মন্ত্রণালয় ৭০৪ ০.২৩ ২,০১৮ ০.৩৪ ২.৮৭ ২৮৫ ০.১১ ১,৯৮২ ০.২৫ ৬.৯৫ ৯৮৯ ৪,০০০ ৪.০৪
৯.২ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৩১৫ ০.১০ ১,৭৩২ ০.২৯ ৫.৫০ ২৬০ ০.১০ ২,২৬৮ ০.২৯ ৮.৭২ ৫৭৫ ৪,০০০ ৬.৯৬
৯.৩ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২৬৩ ০.০৮ ২৭৪ ০.০৫ ১.০৪ ১,০৭৪ ০.৪২ ১,০৭৬ ০.১৪ ১.০০ ১,৩৩৭ ১,৩৫০ ১.০১
৯.৪ যুুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১,২৭৪ ০.৪১ ৩,২৯৫ ০.৫৫ ২.৫৯ ২১৪ ০.০৮ ২,২০৫ ০.২৮ ১০.৩০ ১,৪৮৮ ৫,৫০০ ৩.৭০
– – –
১০ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী ১২০ ০.০৪ ৬৩৭ ০.১১ ৫.৩১ ২৭,৯৩০ ১১.০০ ১৪৯,৩৬৩ ৩৫.১১ ৫.৩৫ ২৮,০৫০ ১৫০,০০০ ৫.৩৫
১০.১ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৭০ ০.০২ ৩৫৭ ০.০৬ ৫.১০ ১,৯১৬ ০.৭৫ ১৯,৬৪৩ ২.৪৭ ১০.২৫ ১,৯৮৬ ২০,০০০ ১০.০৭
১০.২ বিদ্যুত বিভাগ ৫০ ০.০২ ২৮০ ০.০৫ ৫.৬০ ২৬,০১৪ ১০.২৫ ১২৯,৭২০ ১৬.৩২ ৪.৯৯ ২৬,০৬৪ ১৩০,০০০ ৪.৯৯
বিদ্যুত উৎপাদন ০.০০ – ০.০০ – – ০.০০ ২০,০০০ ২.৫২ – – ২০,০০০ –
বিদ্যুত সঞ্চলন ০.০০ – ০.০০ – – ০.০০ ৪০,০০০ ৫.০৩ – – ৪০,০০০ –
বিদ্যুত বিতরণ ০.০০ – ০.০০ – – ০.০০ ৬৯,৭২০ ৮.৭৭ – – ৬৯,৭২০ –

১১ কৃষি ১৭,০০৪৫ ৫.৪৬ ৭৮,৩৮৮ ১৩.০৩ ৪.৬১ ১১,৩৪৯ ৪.৪৭ ৪৮,৭৩৬ ৬.১৩ ৪.২৯ ২৮,৩৫৩৬ ১২৭,১২৪ ৪.৪৮
১১.১ কৃষি মন্ত্রণালয় ১২,১১৯ ৩.৮৯ ৫৮,৪৬৪ ৯.৭২ ৪.৮২ ১,৯৩১ ০.৭৬ ১২,১৬০ ১.৫৩ ৬.৩০ ১৪,০৫০ ৭০,৬২৪ ৫.০৩
১১.২ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ১,২৯৭ ০.৪২ ৪,৫৬৫ ০.৭৬ ৩.৫২ ১,৬৩৫ ০.৬৪ ৫,৯৩৫ ০.৭৫ ৩.৬৩ ২,৯৩২ ১০,৫০০ ৩.৫৮
১১.৩ পরিবেশ, বন মন্ত্রণালয় ৮২০ ০.২৬ ৪,৫৬৫ ০.৭৬ ৫.৫৭ ৬৭৬ ০.২৭ ৫,৯৩৫ ০.৭৫ ৮.৭৮ ১,৪৯৬ ১০,৫০০ ৭.০২
১১.৪ ভূমি মন্ত্রণালয় ১,০৯২ ০.৩৫ ৪,৯০২ ০.৮১ ৪.৪৯ ৮৪৯ ০.৩৩ ৫,০৯৮ ০.৬৪ ৬.০০ ১,৯৪১ ১০,০০০ ৫.১৫
১১.৫ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১,৬৭৬ ০.৫৪ ৫,৮৯২ ০.৯৮ ৩.৫২ ৬,২৫৮ ২.৪৭ ১৯,৬০৮ ২.৪৭ ৩.১৩ ৭,৯৩৪ ২৫,৫০০ ৩.২১

১২ শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস ১,১৬৭ ০.৩৭ ৩,৪৭৪ ০.৫৮ ২.৯৮ ২,৭২৩ ১.০৭ ১০,৩২৬ ১.৩০ ৩.৭৯ ৩,৮৯০ ১৩,৮০০ ৩.৫৫
১২.১ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২১৯ ০.০৭ ১,০২৪ ০.১৭ ৪.৬৮ ৪১২ ০.১৬ ৩,৪৭৬ ০.৪৪ ৮.৪৪ ৬৩১ ৪,৫০০ ৭.১৩
১২.২ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১১৫ ০.০৪ ১,০৬০ ০.১৮ ৯.২২ ১৯৮ ০.০৮ ১,৪৪০ ০.১৮ ৭.২৭ ৩১৩ ২,৫০০ ৭.৯৯
১২.৩ শিল্প মন্ত্রণালয় ৩৩৮ ০.১১ ৪০৩ ০.০৭ ১.১৯ ১,২১৮ ০.৪৮ ২,৩৯৭ ০.৩০ ১.৯৭ ১,৫৫৬ ২,৮০০ ১.৮০
১২.৪ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ২৯৬ ০.১০ ৪৯৪ ০.০৮ ১.৬৭ ২৯৫ ০.১২ ১,০০৬ ০.১৩ ৩.৪১ ৫৯১ ১,৫০০ ২.৫৪
১২.৫ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ১৯৯ ০.০৬ ৪৯৩ ০.০৮ ২.৪৮ ৬০০ ০.২৪ ২,০০৭ ০.২৫ ৩.৩৫ ৭৯৯ ২,৫০০ ৩.১৩
– – –
১৩ পরিবহন ও যোগাযোগ ৯,৬১১ ৩.০৯ ২০,৫৭৫ ৩.৪২ ২.১৪ ৫৫,২০৯ ২১.৭৫ ১৩০,১২৫ ১৬.৩৭ ২.৩৬ ৬৪,৮২০ ১৫০,৭০০ ২.৩২
১৩.১ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৪,১১০ ১.৩২ ৭,৬২৪ ১.২৭ ১.৮৫ ২৫,১৬৩ ৯.৯১ ৪২,৩৭৬ ৫.৩৩ ১.৬৮ ২৯,২৭৩ ৫০,০০০ ১.৭১
১৩.২ রেলপথ মন্ত্রণালয় ৩,৬৬৪ ১.১৮ ৪,৯৪১ ০.৮২ ১.৩৫ ১২,৫৯৯ ৪.৯৬ ৩০,৭৫৯ ৩.৮৭ ২.৪৪ ১৬,২৬৩ ৩৫,৭০০ ২.২০
১৩.৩ নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় ৭১৯ ০.২৩ ১,৪৫২ ০.২৪ ২.০২ ৩,১১৩ ১.২৩ ২৩,৫৪৮ ২.৯৬ ৭.৫৬ ৩,৮৩২ ২৫,০০০ ৬.৫২
১৩.৪ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৫১ ০.০২ ৪,৮০৬ ০.৮০ ৯৪.২৪ ৩,৩৭৫ ১.৩৩ ৫,১৯৪ ০.৬৫ ১.৫৪ ৩,৪২৬ ১০,০০০ ২.৯২
১৩.৫ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ১,০৬৪ ০.৩৪ ১,৭০৫ ০.২৮ ১.৬০ ২,৩৯৭ ০.৯৪ ৮,২৯৫ ১.০৪ ৩.৪৬ ৩,৪৬১ ১০,০০০ ২.৮৯
১৩.৬ সেতু বিভাগ ৩ ০.০০ ৪৭ ০.০১ ১৫.৬৭ ৮,৫৬২ ৩.৩৭ ১৯,৯৫৩ ২.৫১ ২.৩৩ ৮,৫৬৫ ২০,০০০ ২.৩৪

১৪ সুদ ৫৭,০৭০ ১৮.৩২ ৬৪,৬২০ ১০.৭৪ ১.১৩ – – – ৫৭,০৭০ ৬৪,৬২০ ১.১৩
১৪.১ অভ্যন্তরীণ ৫২,৭৯৭ ১৬.৯৫ ৫৭,১২০ ৯.৪৯ ১.০৮ – – – ৫২,৭৯৭ ৫৭,১২০ ১.০৮
১৪.২ বৈদেশিক ৪,২৭৩ ১.৩৭ ৭,৫০০ ১.২৫ ১.৭৬ – – – ৪,২৭৩ ৭,৫০০ ১.৭৬

১৫ বিবিধ ব্যয় ১,২৪৫ ০.৪০ ৭,৮০০ ১.৩০ ৬.২৭ – – – ১,২৪৫ ৭,৮০০ ৬.২৭
১৫.১ খাদ্য হিসাব (নীট) ৩০৮ ০.১০ ৬,৮০০ ১.১৩ ২২.০৮ – – – ৩০৮ ৬,৮০০ ২২.০৮
১৫.২ ঋণ ও অগ্রিম (নীট) ৯৩৭ ০.৩০ ১,০০০ ০.১৭ ১.০৭ – – – ৯৩৭ ১,০০০ ১.০৭

  মোট    ৩১১,৫০৭ ১০০ ৬০১,৭৮৪ ১০০ ১.৯৩    ২৫৩,৮০০ ১০০ ৭৯৪,৮১৬ ১০০ ৩.১৩    ৫৬৫,৩০৭ ১,৩৯৬,৬০০   ২.৪৭

১ পূর্বের ‘অনুনয়ন ব্যয়’-কে নতুন প্রবর্তিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতিতে ‘পরিচালন ব্যয়’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
২ উন্নয়ন কার্যক্রম=এডিপি বহিভর্’ত কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও স্থানান্তর + এডিপি বহিভর্’ত বিশেষ প্রকল্প+স্কিম (পূর্বের রাজস্ব বাজেট হতে অর্থায়নকৃত উন্নয়ন কর্মসূচী)+বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি।
৩ পরিচালন ব্যয়ে অপ্রত্যাশিত ব্যয়, ভর্তুকি ও প্রণোদনা অর্ন্তভ’ক্ত রয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ ফান্ড এবং রপ্তানি সহায়তা বাবদ ১০,৩২৫ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
৪ পরিকল্পনা বিভাগের প্রাক্কলিত উন্নয়ন ব্যয়ে বিশেষ প্রয়োজনে প্রদেয় উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ৯৬২ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
৫ কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয়ে সার ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রম খাতে প্রণোদনা বাবদ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৮,০০০ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে৯,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্তভর্’ক্ত রয়েছে।

অনলাইনেই আইপিডিসি’র প্রান্তিক ‘ইনভেস্টরস মিট’

৬ কৃষি খাতের বরাদ্দে প্রণোদনা অন্তর্ভুক্ত।
() উৎস: বাৎসরিক বাজেট ২০১৯-২০, বাজেটের সংক্ষিপ্তসার, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃ. ৬-১৪। () অর্থনীতি সমিতির প্রস্তাব সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটির ০২ জুন ২০২০ তারিখের জুম মিটিং-এ অনুমোদিত। () খাতভিত্তিক সম্পদ বিভাজনে পেনশন ও ভর্তুকি অন্তর্ভুক্ত আছে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter