কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষি সংবাদঃ

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপির সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতকালে দুদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, কৃষি প্রকৌশল এবং ডেইরি  নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষিখাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষিখাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও আধুনিকীকরণ করা। সেজন্য কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। আর ভারত এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আছে। সেজন্য, এসব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে দুদেশের একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় কৃষিমন্ত্রী এগ্রো প্রসেসিং ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। দুদেশই কৃষিপ্রধান। আমরা দ্রুত শিল্পায়নের দিকে যাচ্ছি। সেটি করতে হলে অভ্যন্তরীণ বাজার বড় করতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা ও উন্নত করার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়াতে হবে।  সেজন্য, শুধু কৃষিতে নয়, শিল্পায়ন, সার্ভিস সেক্টরসহ অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে দুদেশের সহযোগিতা করার অনেক সুযোগ রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করে ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, এগ্রো প্রসেসিং, ডেইরি, কৃষি প্রকৌশল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দুদেশের সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি এসব বিষয়সহ কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান  করেন।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter