কোভিড-১৯ টেস্টিং সচেতনতায় প্রাভা হেলথ

কোভিড-১৯ টেস্টিং সচেতনতায় প্রাভা হেলথ

স্বাস্থ্যঃ
দেশের এই পাবলিক হেলথ ক্রাইসিস এর মাঝেও প্রাভা হেলথ সতর্কতার সাথে এবং সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের সবার জন্য প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা – এই বিশ্বাস থেকেই প্রাভা হেলথ গড়া হয়েছে যা একই সাথে সম্মান, সেবা, এবং সহমর্মিতার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

কোভিড-১৯ টেস্ট রেজাল্ট এর সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়ে আসছে এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় সামগ্রিক বিশ্বাসযোগ্যতার অভাবের কারণে খুব সহজেই সবচাইতে খারাপ ধারণাটাই সাধারণত সবার আগে সামনে চলে আসে।

যেকোনো ডায়াগনস্টিক টেস্টের মতোই, বিশ্বের সেরা ল্যাব গুলোতেও সম্ভাবনা থাকে যে কিনা, যার দেহে ভাইরাস আছে তার রেজাল্ট নেগেটিভ আসছে (ফলস-নেগেটিভ) আর যার দেহে ভাইরাসটি নেই তার রেজাল্ট পজিটিভ আসছে (ফলস-পজিটিভ) ।

কোভিড-১৯ টেস্ট এর একিউরেসি সম্পর্কিত গ্লোবাল ডাটা থেকে দেখা যায় যে:

● COVID PCR টেস্ট এ ২%-২৯% পর্যন্ত ফলস-নেগেটিভ রিপোর্ট আসছে।
● বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণায় PCR টেস্টিং এর ফলাফলে গড়ে ২% ফলস পজিটিভ আসছে।
● কোন ব্যক্তি পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন কিন্তু তার কোন সিম্পটম নেই – এর মানে রিপোর্টটি “ফলস-পজিটিভ” তা নয়। সকল পজিটিভ রিপোর্টের মধ্যে ২৪% ব্যক্তিই অ্যাসিম্পটোম্যাটিক।
● নতুন ওয়েভ এ অনেক তরুন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে পজিটিভ রেজাল্ট পেলেও তাদের মাঝে কোভিড-১৯ এর কমন সিম্পটম অনুপস্থিত।

“একজন ব্যক্তি ফলস-নেগেটিভ বা ফলস-পজিটিভ রেজাল্ট পাবেন কিনা তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে,” জানালেন ড. জাহিদ হুসেইন, সিনিয়র ল্যাবরেটরি ডিরেক্টর, প্রাভা। তিনি এটি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে, “কেউ যদি সঠিক সময়ের আগেই টেস্ট করে ফেলেন তখন তার শরীরে ধরা পরার মত যথেষ্ট পরিমাণ ভাইরাল ইনফেকশন না থাকতে পারে – যে কারণে নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে পারে।

কিন্তু ঠিক তার পরের দিন পুনরায় টেস্ট করলে তখন তা পজিটিভ আসতে পারে কারন এই সময়ের মাঝে তার ভাইরাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবার এমনও হতে পারে যে প্রথম দিনের টেস্ট এ পজিটিভ এসেছে, কিন্তু তার পরের দিন নেগেটিভ – এর অর্থ এই নয় যে, প্রথম দিনের রিপোর্ট ফলস-পজিটিভ ছিল, বরং এর অর্থ হতে পারে যে ভাইরাসটি ইতিমধ্যে আপনার শরীর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।”

এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, রোগীর সিম্পটম এবং কন্ট্যাক্ট হিস্টোরি এর উপর ভিত্তি করে টেস্ট রেজাল্ট সবসময় যেন একজন ডাক্তারের বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত এবং সুপারিশ এর আলোকে দেখা হয়।

কোন রোগী যদি ধারণা করে থাকেন যে তার টেস্ট রিপোর্টে কোন সমস্যা হয়েছে তাহলে তার উচিত যে ল্যাব হতে তিনি টেস্ট করেছেন সেখানে দ্রুত জানানো।

প্রাভাতে রিপোর্ট তৈরি হওয়ার সাথে সাথে রোগীদের এস.এম.এস. এবং ইমেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি কীভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর পাবেন ও সহযোগিতা নিতে পারবেন।

ভাইরাসের উপস্থিতি নির্ণয়ে নতুন নতুন ভ্যারিয়ান্টের আগমন ও উপস্থিতি একটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রাভা হেলথ তাদের প্রসেস এ একাধিক বিষয় টার্গেট করে বিশদভাবে টেস্ট করার ফলে বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়ান্ট গুলিও ধরতে পারে।

এছাড়াও CHRF নামক একটি গবেষণা সংস্থার সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে কোন কোন ভ্যারিয়ান্ট প্রাভার কোভিড স্যাম্পলে ধরা পড়ছে তা তারা দেখতে পারে।

প্রাভার এই ডেটা চলে যায় GISAID-তে যা SARS-CoV-2 এর জিনোম সিকুএন্সিং এর জন্য একটি গ্লোবাল, ওপেন একসেস রিপোজিটরি।

প্রাভার চিফ মেডিক্যাল অফিসার, ড. সিমিন মজিদ আক্তার বলেন, “এই গ্লোবাল প্যান্ডেমিকের মাঝে কাউকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই, আর কোন টেকনিক্যাল বা স্ট্যাটিস্টিক্স দিয়েও কোন কিছু বোঝানো সম্ভব নয় এর ব্যাপ্তি কত বড়।

বিশ্বজুড়ে এত ক্ষয় ও দুর্দশার মাঝে আমরা শুধু একথাই বলতে পারি যে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা দাতা হিসেবে আমরা সততা ও স্পস্টতার সাথে আপনাদের বিশ্বাস বজায় রেখে আপনাদের পাশে আছি।”

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter