গ্যরেজে অগ্নিকাণ্ড: এক এক করে চলে গেলেন সবাই

গ্যরেজে অগ্নিকাণ্ড: এক এক করে চলে গেলেন সবাই

অনলাইনঃ

ঢাকার ইস্কাটনের দিলু রোডে নিজেদের বাসার নিচতলার গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী-সন্তানের পর এবার মারা গেলেন শহীদুল কিরমানী রনিও (৪০)।

শিশু রুশদি আগেই চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে। তার পথ ধরে রোববার (১ মার্চ) গেছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌসী জান্নাত। সোমবার (২ মার্চ) সকালে চলে গেলেন বাবা শহীদুল কিরমানী রনি।

সোমাবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শহীদুল কিরমানী রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সোমবার ভোরে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রনির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায়। তার বাবার নাম একেএম শহীদুল্লাহ। বিআইভিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আইসিএমএ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক হিসেবেও কাজ করতেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দিলু রোডের ওই বাড়িটির নিচতলার গ্যারেজে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জান্নাত-রনির একমাত্র সন্তান একেএম রুশদি (৪)।

এছাড়া মারা যায় ভবনের পাঁচতলার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আফরিন জাহান যুথী (১৭) ও ভবনের নিচতলায় বসবাসরত বায়িংহাউজের অফিস সহকারী আব্দুল কাদের লিটন (৪০)। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুশদির মা জান্নাত ও বাবা রনি। সব মিলিয়ে এই আগুনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter