গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে খুলবে, পরে শহরের গুলো

শিক্ষাঃ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বছরব্যাপী বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।

এই পরিকল্পনায় গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে খুলবে পরে শহরের বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) অনলাইনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘করোনা বিপর্যস্ত শিক্ষা: কেমন বাজেট চাই’ আলোচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এমন ভাবনার কথা জানান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কয়েক মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা ছিল।

এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। সেই পর্যালোচনায় আগেভাগে গ্রামের স্কুল খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক হলে যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ কম সেসব এলাকার স্কুল খুলে দিয়ে ক্লাস চালানোর চিন্তাভাবনা চলছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনা মহামারির এই পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে এখন দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা চলছে।

শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোশাতে আমাদের সব অবকাঠামো ব্যবহার করছি। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীর কাছে আমরা পৌঁছাতে পারছি না। যাদের আনতে পারছি না তাদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে হবে।

সচিব বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের জন্য একটা পলিসি নিয়েছি। এখন সময় এসেছে গ্রামভিত্তিক বা এলাকাভিত্তিক পলিসি নিতে হবে। ঢাকা শহরে একজন শিক্ষার্থীর যত এক্সেস আছে চর এলাকার একজন শিক্ষার্থীর সেটা নেই। কিন্তু তারও একটা সুবিধা রয়েছে, সেখানে করোনার ততখানি প্রকোপ নেই।

সেই বিষয় ও বাস্তবতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কের মধ্যে আনতে পারি।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter