ঘুমের ঠিক আগে কি কি করবেন

ঘুমের ঠিক আগে কি কি করবেন

রাইফস্টাইলঃ
প্রতিটি মানুষই নিজেকে সুন্দর করে তুলতে চায়। আর আজকাল নিজের রূপচর্চা নিয়ে অধিকাংশই অনেক সচেতন হয়ে গেছে। মসৃণ ও কোমল ত্বকের জন্য করছেন অনেক কিছুই, তারপরও ত্বকের কোনও উন্নতি হচ্ছে না।

মসৃণ ও কোমল ত্বকের রহস্য কিন্তু আপনার হাতের মুঠোতেই। তবে সেই মুঠো খুলতে হলে মনস্থির করতে হবে আপনি আর টেনশন করবেন না।

সুস্থ ও সুন্দর ত্বক পাওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে ত্বক পরিষ্কার রাখা। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কেমিক্যাল জাতীয় জিনিস যত এড়িয়ে চলা যায়, ততই ভালো। কারণ ত্বক খুব কোমল ও স্পর্শকাতর। তাই ত্বক পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে প্রাকৃতিক উপায়। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাই নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নেয়া প্রয়োজন।

ভাবছেন, দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যে রূপচর্চার সময় কোথায়? নিজের জন্য মাত্র ৩ মিনিট সময় নেই আপনার কাছে?

ব্যস্ততার মাঝেই দিন শেষে মাত্র ৩ মিনিট সময় বের করতে পারলেই চলবে। পার্লারে গিয়ে প্রতি সপ্তাহে মোটা টাকা খরচ না করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাত্র ৩ মিনিট নিজের জন্য দিতে পারলেই বাঁচবে সময় আর টাকা পয়সাও! শুধু প্রয়োজন একটু ইচ্ছা।

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই একটি কাজ করলেই প্রতিদিন সকালে পেয়ে যাবেন ঝলমলে, সতেজ ও দীপ্তিময় ত্বক। মুখ হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও ফর্সা! এর জন্য কোনও দামি উপাদানের প্রয়োজন নেই। ঘরে থাকা খুব সাধারণ প্রসাধনী সামগ্রী দিয়েই চটজলদি এই রূপচর্চা সেরে নেয়া যায়।

ঝলমলে, সতেজ ও দীপ্তিময় ত্বক পেতে যা যা লাগবে

১ চামচ গোলাপ জল, ৩-৪ দানা জাফরান, আধা চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, সামান্য উষ্ণ গরম জল, ১ চামচ কালোজিরা আর ১ চামচ মধু।

ব্যবহারের পদ্ধতি

গোলাপ জলের মধ্যে জাফরানের দানা ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখুন। যত বেশি সময় ভিজিয়ে রাখবেন, সেটি তত বেশি কার্যকরী হবে। জাফরান থেকে রং ছেড়ে দিলে এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে এক টুকরো তুলো দিয়ে পরিষ্কার মুখে এই মিশ্রণ ভাল করে মেখে নিন। মুখের উপর লাগানো এই প্রলেপ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এবার এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানির মধ্যে কয়েক দানা জাফরান ও মধু মিশিয়ে খেয়ে নিয়ে ঘুমোতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পেয়ে যান উজ্জ্বল, দীপ্তিময় ত্বক।

উপকারিতা

উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের জন্য, ত্বক থেকে বলিরেখা ও কালো দাগ মুছে ফেলতে জাফরান অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। জাফরান শুধু ত্বকের বাইরে থেকেই কাজ করে না, ভেতর থেকেও তার জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। জাফরান যখন মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়, তখন তার কার্যকারীতা বহুগুণ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, ত্বককে কোমল, টানটান ও দাগহীন রতে চাইলে অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ত্বকের সতেজভাব ধরে রাখতে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকরী।

প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার হয়ে আসছে। গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ত্বকের জেল্লাও বহুগুণ বেড়ে যায়!

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter