ঘূর্ণিঝড় আমফান এখন সুপার সাইক্লোনে পরিণত

ঘূর্ণিঝড় আমফান এখন সুপার সাইক্লোনে পরিণত

অনলাইনঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান তীব্র শক্তি সঞ্চয় করে ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত দীঘা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্রতটের কোনো একটি জায়গা দিয়ে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৮ মে, সোমবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এ খবর জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে দিঘা থেকে ৯৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে ও পারাদ্বীপ থেকে ৭৯০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

এদিকে আমফানের প্রভাবে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহসহ আশপাশের জেলা গুলোকে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত সরিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

১৮ মে, সোমবার দুপুর ৩টার দিকে এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলায় এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter