চট্টগ্রামে শুরু হলো দ্রুতবর্ধনশীল ফার্নিচার কোম্পানি ইশো’র পথচলা

চট্টগ্রামে শুরু হলো দ্রুতবর্ধনশীল ফার্নিচার কোম্পানি ইশো’র পথচলা

ব্যবসা-বাণিজ্যঃ
দেশের অন্যতম ইনোভেটিভ ও খুবই কম সময়ে সাড়া জাগানো ফার্নিচার ব্র্যান্ড ইশো চট্টগ্রামে নতুন যাত্রা শুরু করেছে। ঢাকায় সফলভাবে অফলাইন ও অনলাইন ব্যবসায় পরিচালনার পর ইশো চট্টগ্রামবাসীদের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় ফার্নিচার জগতের বেশকিছু নতুন ডিজাইনের সাথে, যা শুধু আকর্ষণীয় ও মডার্নই নয়, সেই সাথে রুচিশীলও বটে!

ইতোমধ্যে ১৪টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইশো’র ৬০০টি ভিন্ন ডিজাইনের প্রোডাক্ট রয়েছে। বিশাল এ কালেকশন থেকে চট্টগ্রামবাসী খুঁজে নিতে পারবেন রুচি ও পছন্দ ভেদে তাদের বাসা ও অফিসের জন্য মনমতো ফার্নিচার। বিশেষ করে ‘বাজারে কী পাওয়া যায়’ এবং ‘মডার্ন লাইফের চাহিদা কেমন’- এই দুইয়ের মাঝে এক সেতুবন্ধন তৈরি করে ইশো’র ফার্নিচারগুলো ডিজাইন করা হয়। ইশো’র অন্যতম সেলিং পয়েন্ট হচ্ছে, অঞ্চলভেদে বৈশ্বিক কালচার, ট্রেন্ড ও ডিজাইন থেকে অনুপ্রাণিত, যা জিতে নিয়েছে অগণিত গ্রাহকের মন।

লিভিং রুম, ডাইনিং রুম, বেডরুম, স্টাডি ও অফিস থেকে শুরু করে ভিন্ন রুচির প্রায় সব ধরণের রুমের জন্য মানানসই ফার্নিচার সরবরাহ করা হয়েছে, যা চট্টগ্রামের নতুন ও পুরানো ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে বলে আশা করছে ইশো।

ঘর ও স্পেস নিয়ে মানুষের চাহিদা ও ভাবনা বুঝতে পারা এবং সে অনুযায়ী ডিজাইন ও কনসেপ্ট নিয়ে আসতে পারাটাই ইশো’র সফলতার কারণ। স্মার্ট সিরিজ কালেকশন ও ‘ব্লু-টুথ অটোম্যান’ থেকে শুরু করে, ‘ডর্মবক্স’ এর মতো কো-লিভিং সল্যুশন। এসব যুগান্তকারী উদ্ভাবনী কেউ দেখেনি আগে। শুধু তাই নয়, ইশো’র রয়েছে নিজস্ব ডিজাইন স্টুডিও, যা দেয় সব ধরণের ইন্টেরিয়র সমস্যার সমাধান। আর ‘ডর্মবক্স’ ও ‘ডিজাইন স্টুডিও’ এই দুটি সুবিধাই পাবেন চট্টগ্রামের গ্রাহকরা।

শুরু থেকেই ইশো চায় তার গ্রাহকদের সন্তুষ্টিজনক সেবা নিশ্চিত করতে। আর তাই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ চাহিদা পূরণে শহরে থাকবে চট্টগ্রামের জন্য ডেডিকেটেড ওয়্যারহাউজ। করোনাকালীনে সবার নিরাপত্তা ও সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে, ডিসটেন্স প্রোটোকল শিখিয়ে চট্টগ্রামের প্রত্যেক সার্ভিস এক্সিকিউটিভকে প্রদান করা হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও পিপিই।

ইশো’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেইন বলেন, “আমি ভীষণ আনন্দিত যে, চট্টগ্রামে ইশো যাত্রা শুরু করছে। এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। তাই ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেও আমি মনে করি এই সিদ্ধান্ত যথাযথ। বিগত বছর ধরে এই শহরের অনেকেই আমাদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। অবশেষে এটা ভেবে আমার ভালো লাগছে যে, এখন থেকে চট্টগ্রামবাসী আমাদের প্রোডাক্টগুলো আরও কাছ থেকে দেখতে ও জানতে পারবেন।”

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter