জিন্নাহ’র স্বপ্ন পূরণই ইমরানের স্বপ্ন

অনলাইন ডেস্কঃ

ইমরান খান এমন পাকিস্তান গড়তে চান, যার স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশটির স্থপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সরকার গঠনের পর তার দল এই ভিশন নিয়েই দেশ পরিচালনা করবে।

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এমনটিই বলেছেন হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগের দিন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রত্যাশিতভাবে একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে বিজয়ী হন তিনি।

যদিও এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭টি আসন পায় নি তার দল। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী তার দল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলীতে ১২০টি আসন পেয়েছে।

তা সত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তার সরকার গঠন করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, দুই দশক আগে তিনি যে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন, দীর্ঘ ২২ বছরের সংগ্রামের পর অবশেষে তা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছেন। তার ভাষায়, কেন আমি রাজনীতিতে এসেছি তা পরিস্কার করতে চাই।

রাজনীতি আমাকে কিছু নাও দিতে পারতো। কিন্তু আমি সবসময় পাকিস্তানকে এমন একটি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছি, যার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমার মহান নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

তিনি বলেন, আমি বিশেষ করে বেলুচিস্তানের মানুষদের সাধুবাদ জানাতে চাই। ভয়াবহ সহিংসতা ও মর্মান্তিক ভোগান্তির শিকার হওয়ার পরেও তারা ভোট দিয়েছেন, গোটা দেশের পক্ষ থেকে আমি তাদের সাধুবাদ জানাতে চাই। এই নির্বাচনের জন্য অনেক মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকেও আমি ধন্যবাদ দিতে চাই।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। কৃষকরা তাদের শ্রমের মূল্য পান না, ২ কোটি ৫০ লাখ শিশু শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত, পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবার অভাবে আমাদের প্রসূতি মায়েরা অব্যাহতভাবে মারা যাচ্ছেন, সরকার মানুষদেরকে নিরাপদ পানিও সরবরাহ করতে পারে না। আমি মদীনা রাষ্ট্রের মতো করে পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন দেখি। যেখানে বিধবা ও দরিদ্ররা অবহেলিত হবে না। আমাদের সকল নীতি হবে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সহযোগিতা করার জন্য। ধনীদের ‘লাইফ-স্টাইল’ দিয়ে কোন দেশের জীবন যাত্রার মান নির্ধারিত হয় না। বরং দরিদ্ররাই এতে বড় ভূমিকা রাখে।

দেশে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর আক্রমণের বিষয়টিও উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, গত তিন বছরে রাজনৈতিক নেতাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এগুলো সবই এখন অতীত। আমাদের ভিশন এসবের তুলনায় অনেক বিশাল।

তিনি জনগণের আদায়কৃত করের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো হবে আরো শক্তিশালী, যেখানে সবাই জবাবদিহী করতে বাধ্য থাকবে।

সবার আগে আমার, তারপর মন্ত্রী ও অধ:স্তন কর্মকর্তাদের জবাবদিহী করা হবে। আমরা আজ অন্য দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে আছি। কেননা এখানে ক্ষমতাসীন ও সাধারণ নাগরিকদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা বিদ্যমান।

ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter