জেল থেকেই ইয়ারা ব্যবসা করেন নুরুল!

অনলাইনঃ
তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ২১ মামলার আসামি হামকা বাহিনীর প্রধান নুরুল আলম চট্টগ্রাম কারাগারে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ইয়াবা এবং গাঁজা কারারক্ষীর মাধ্যমে নেয়া হতো কারাগারের অভ্যন্তরে।

শনিবার (১৫ জুন) রাতে এক কারারক্ষীসহ চারজনকে আটকের পর বের হয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। আটককৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা এবং গাঁজা।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী সাইফুল ইসলামকে।
পরবর্তীতে তার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে লালদীঘি এলাকা থেকে গাঁজাসহ আজিজুল আলম জালালকে, বাটালী রোড এলাকা থেকে দিদারুল আলম মাসুম এবং আলো আক্তার নামে এক মহিলাকে আটক করা হয়।

মূলত কারাগারে নেয়ার জন্য মাসুমের কাছ থেকে ইয়াবা এবং আজিজুল আলম জালাল থেকে গাঁজা সংগ্রহ করেছিলো কারারক্ষী সাইফুল ইসলাম। আর আলো আক্তার ছিলো এসব মাদকের মূল সরবরাহকারী।

সিএমপি কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘দেহ তল্লাশী করে সাইফুলের কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এবং তার কাছে একটি আইডি কার্ড পাওয়া যায়। সে একজন কাররক্ষী।’

পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতর জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দাগী আসামিদের জন্য নির্ধারিত স্থান ৩২ নম্বর সেলের বন্দি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আলম কারাগারে মাদক সেবনের পাশাপাশি নানাভাবে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো।

কারারক্ষী সাইফুলের মাধ্যমে একাধিকবার ইয়াবার চালান নেয়া হয়েছে কারাগারের অভ্যন্তরে।
২১ মামলার আসামি হামকা বাহিনীর প্রধান নুরুল আলমকে কয়েক বছর আগে গ্রেপ্তার করেছিলো পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

নুরুল আলমকে মাদক সরবরাহকারী আজিজুল আলম জালাল বলেন, কাররক্ষীর মাধ্যমে আসামি নূর আলমকে কারাগারের ভেতরে মাদক পাঠানো হতো।

মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এস আই আবদুর রব বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জন এবং কারাগারে থাকা নুরুল আলমকে আসামি করে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। নুরুল আলমকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানাবে পুলিশ।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter