ট্রেনের টয়লেটে কিশোরী ধষর্ণ, আটক ১

অনলাইনঃ

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টয়লেটে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে ধর্ষণের ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রত্যেক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী তার নানীর সঙ্গে নানা বাড়ি ফিরছিলেন। সিরাজগঞ্জের এম. মনসুর আলী স্টেশন থেকে তারা ট্রেনে ওঠেন । বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী বাইপাস পার হওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণকারী ও কিশোরীর ধস্তাধস্তির শব্দে ট্রেনের যাত্রীরা টয়লেট থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত যুবককে মারধর করে পুলিশে দেয়।

অভিযুক্ত মো. মমিনুল ইসলামের (২৫) বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায়। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন পার হওয়ার পর ওই কিশোরী ট্রেনের ‘ঝ’ বগির পাশের টয়লেটে যায়। ওই সময় টয়লেটের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক মমিনুল ইসলাম। কিশোরী টয়লেট থেকে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতেই যুবক জোর করে ভেতরে ঢুকে কিশোরীর মুখ চেপে ধরেন।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশন আসা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা কিশোরীকে টয়লেটে আটকে রেখে শ্লীলতাহানি করে মমিনুল ইসলাম। কিশোরী আত্মরক্ষার জন্য যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও চিৎকার করার চেষ্টা করে। তবে ট্রেনের শব্দে তার চিৎকার কেউ শুনছিলেন না। একপর্যায়ে একজন যাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটের সামনে আসলে ভেতর থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। বিষয়টি অন্য যাত্রীদের জানালে তারা সেখানে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করেন এবং মমিনুলকে গণপিটুনি দেন।

ট্রেনে দায়িত্বরত এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘ইঞ্জিন কক্ষের পাশেই ‘ঝ’ বগি থাকায় ট্রেনের উচ্চ শব্দের কারণে ওই কিশোরীর চিৎকার কেউ শুনতে পাননি। অভিযুক্ত মমিনুলকে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছাই। পরে রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ওই যুবক, ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি মো. সাঈদ ইকবার বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী- চলন্ত ট্রেনের টয়লেটের ভেতরে মমিনুল দীর্ঘ সময় ধরে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। কিশোরী কাঁদতে শুরু করলে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন ওই যুবক। তারপরেও কান্না না থামালে মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন মমিনুল।’

ওসি বলেন, ‘ঘটনাস্থল রেলওয়ের ঈশ্বরদী থানার অধীনে। তাই রাত ১২টার ঢাকাগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অভিযুক্ত যুবককে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়। ওই কিশোরীকে নিয়ে তার স্বজনরাও সেখানে যায় ।’

শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জানিয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি সুবীর দত্ত জানান,  আসামিকে আদালতের মাধ্যমে নাটোরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter