দুই লাখ ঘরে হারপিকের পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন

নিজস্ব প্রদিবেদকঃ
টয়লেট হাইজিন বিষয়ে হারপিক-এর সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ‘ডোর টু ডোর (ডিটুডি)’-এর আওতায় যুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রায় দুই লাখ পরিবার।

এই ডিটুডি ক্যাম্পেইনটি মূলত “ডেটল পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই হারপিক” এর একটি উদ্যোগ।

এই বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন এলাকার মানুষদের মধ্যে টয়লেট হাইজিন বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরাসরি যোগাযোগ ছাড়াও এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে হারপিক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা/ইউনিসেফ জেএমপি-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগোষ্ঠী কোন ধরণের হাইজিন সুবিধা পাচ্ছে না, ৩ কোটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সীমিত হাইজিন সুবিধার আওতায় আছে এবং শহুরে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৫ লক্ষ মানুষ কোন ধরণের হাইজিন সুবিধা পায়না। এই সংস্থার ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, স্যানিটেশন সুবিধার ক্ষেত্রে রাজশাহী জেলা দেশের অন্যান্য জেলা থেকে তুলনামূলকভাবে কিছুটা পিছিয়ে। জেএমপি এর তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর ৫০.৬০% মানুষ হাইজিন সেবার মৌলিক সুবিধা পেয়ে থাকে, ৩০.১৬% মানুষ সীমিত হাইজিন সুবিধা পেয়ে থাকে এবং ১৯.২৪% মানুষ কোন রকম সুবিধাই পায় না। এখানে স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকলেও অনেক জায়গায় অস্বাস্থ্যকর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, যা শিশু-বৃদ্ধসহ আপামর জনগণের স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ হতে পারে। সর্বশেষ আদমশুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলা ও ৪টি থানায় ২৪.৩% পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত (ওয়াটার সীল্ড), ২৮.৬% পরিবার স্বাস্থ্যসম্মত (নন ওয়াটার সীল্ড) এবং ৩৭.৯% অস্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যবহার করে। এছাড়া ৯.২% পরিবারের পয়ঃনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই তথ্যগুলো হারপিকের সচেতনতা অভিযানের সূচনা রাজশাহী জেলা থেকে হবার পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়াও জেএমপি এর তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম এবং সিলেটের হাইজিন ব্যবস্থারও উন্নতি প্রয়োজন। একটি স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ এর অন্তরায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অভ্যাস। মানুষের অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমেই আমরা একটি সুস্থ, সুন্দর বাংলাদেশ পেতে পারি। এছাড়াও, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গোল ৬-এ স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং দেশব্যাপী সচেতনতা তৈরিতে এই ক্যাম্পেইন প্রচারের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ।

‘ডেটল পরিছন্ন বাংলাদেশ পাওয়ার্ড বাই হারপিক’ ক্যাম্পেইনের আওতায় হারপিক দেশব্যাপী টয়লেট পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে বলে জানান রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশে-এর প্রোডাক্ট গ্রুপ ম্যানেজার জুবাইর পারভেজ। এই সচেতনতা ক্যাম্পেইন সম্পর্কে তিনি বলেন, “টয়লেট পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতার অভাব থাকায় এখনও দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গ্রামীণ পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে টয়লেট স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করতে তদুপরি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়তে কিছু করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি, এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিশুসহ একটি বড় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যাবে।” এছাড়াও দেশব্যাপী এই সচেতনতা অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

-প্রেস

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter