দুর্নীতি রোধে চালের কার্ড ডিজটিাল করা হবেঃ খাদ্যমন্ত্রী

১০ টাকা কেজি চালের কার্ড ডিজটিাল করা হবেঃ খাদ্যমন্ত্রী

অনলাইনঃ
দুর্নীতি রোধে প্রয়োজনে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি আজ তার সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়া হছিল। অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা প্রেরণের জন্য বলা হয়েছিল। এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধামকিকে ভয় না করে, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল।’

প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরির সময়ের ট্যাগ অফিসারকে সরিয়ে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে হালনাগাদ করে তিনি নতুন তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ ৫ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে দেয়া হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেয়া হয়েছে।’

সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান-চাল কেনার গতি ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও নায্য দাম পাচ্ছেন। ধান চাল ক্রয়ে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া নির্দেশ মোতাবেক খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে।

ধান-চাল কেনায় কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘এবারের প্রকিউরমেন্ট যেন কৃষক বান্ধব প্রকিউরমেন্ট হয়, চালের মান নিয়ে কোনো আপস নেই। লটারি করার পর নির্বাচিত কৃষকের তালিকা যেন ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং উপজেলা খাদ্য অফিসে দৃশ্যমানভাবে টানানো হয়। নির্বাচিত কৃষক ধান দিতে না পারলে সঙ্গে সঙ্গে তালিকায় অপেক্ষমান কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের নির্দেশ দেন তিনি।

পাশাপাশি কোনো কৃষক যেন তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি না করেন সেজন্য মন্ত্রী সাবধান করে দেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে সভায় উপস্থিত জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেন।

সভা সমন্বয় করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক সংগ্রহ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য।

-বাসস

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter