‘নগদ’ এ হাজারে ক্যাশ আউট চার্জ ৯.৯৯ টাকা

‘নগদ’ এ হাজারে ক্যাশ আউট চার্জ ৯.৯৯ টাকা
২০ টাকা ক্যাশ আউট চার্জ গ্রাহকদের সাথে এক ধরনের অন্যায্য আচরণ

অর্থনীতিঃ
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ মানুষের জন্য সূলভ মূল্যে ক্যাশ আউট চার্জ সেবা নিয়ে আসার অংশ হিসেবে প্রতি এক হাজারে ক্যাশ আউট চার্জ ৯ টাকা ৯৯ পয়সায় নামিয়ে এনেছে। যা বর্তামানে দেশের সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ।

‘নগদ’-এর অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ গত অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জ ৯ টাকা ৯৯ পয়সা নির্ধারণ করেছিল। যদিও এই সুবিধা উপভোগের জন্য শর্ত ছিল ২১০০ টাকা বা তার অধিক টাকা ক্যাশ আউটে এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এখন থেকে আর সেই শর্ত থাকছে না। সবার জন্য এই সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘নগদ’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘নগদ’-এর যেসব গ্রাহক অ্যাপ ব্যবহার করেন না, অর্থাৎ ইউএসএসডি-এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করলে প্রতি হাজারে ক্যাশ আউট চার্জ হবে ১২ টাকা ৯৯ পয়সা। উভয় ক্ষেত্রে গ্রাহককে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর প্রদান করতে হবে।

সর্বনিম্ন এই ক্যাশ আউট চার্জের কারণে এমএফএস গ্রাহক এখন ‘নগদ’-এ লেনদেনে আগ্রহী হবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ‘নগদ’-এর এই পদক্ষেপ সহায়তা করবে।

সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জের বিষয়ে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ. মিশুক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই উচ্চহারে ক্যাশ আউট চার্জের বিরুদ্ধে। আমরা মনে করি গত এক দশক ধরে চলে আসা প্রতি হাজারে ২০ টাকা ক্যাশ আউট চার্জ গ্রাহকদের সাথে এক ধরনের অন্যায্য আচরণ। যার কারণে উদ্বোধনের পর থেকে ‘নগদ’ সবচেয়ে কম ক্যাশ আউট টাকা চার্জ করে আসছে। এখন থেকে আমরা সব ধরনের শর্ত তুলে নিয়েছি এবং সবার জন্য ক্যাশ আউট চার্জ উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আমরা আশা করি এই সিদ্ধাতের কারণে এখন থেকে ‘নগদ’ ব্যবহার করা আরও সাশ্রয়ী হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্থিক লেনদেন আরও বেগবান হবে। আমরা মনে করি সরকারের উচিত সব কোম্পানির ক্যাশ আউট চার্জের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া।’

বর্তমানে এমএফএস সেবার মধ্যে ‘নগদ’-ই সেন্ড মানির জন্য কোনো টাকা কাটে না। অন্যান্য সব অপারেটর সেন্ড মানির জন্য অতিরিক্ত টাকা চার্জ করে। এর আগে দেশের ৫ ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য প্রতি হাজারে ক্যাশ আউট চার্জ ৬ টাকা করে দেয় ‘নগদ’, যা করোনা ভাইরাস মহামারিতে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বেশি উপকার করেছে।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু পর এরই মধ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে ‘নগদ’ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেড় বছরের এই যাত্রায় সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্ভাবনীয় কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter