পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দ্রুত করোনা টিকা দানের দাবি

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দ্রুত করোনা টিকা দানের দাবি

অনলাইনঃ

করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে ঢাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দ্রুত টিকাদানের দাবি জানিয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি)।

এছাড়াও তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের পাশাপাশি নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিও করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বরে অবস্থিত সংগঠানটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।

লিখত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী বলেন, আপনারা শুনে আরও অবাক হবে যে, করোনা মহামারী সময়ে ও সরকার বা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে আমরা বেসরকারি খাতের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোনও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পাইনি।

এক মুঠো ত্রাণও পায়নি আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। অথচ আমরা তখন কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে একাধিক আবেদনও করেছি। আমাদের প্রতিটি আবেদনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুপারিশ থাকলেও কর্পোরেশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুরক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে করোনার টিকা দানে অগ্রাধিকার দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, করোনা মহামারীর সময়েও এই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে।

এই মহামারী দুর্যোগ মুহূর্তেও আমাদের কর্মীরা প্রতিদিন নাগরীকদের বাসা বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করেছে।

শুধু গৃহস্থলির ময়লা নয়, মানুষের ব্যবহৃত করোনা সামগ্রীও সংগ্রহ করে অপসারণ করেছে। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন। অনেকে করোনায় আক্রান্তও হয়েছেন। অথচ এই কর্মীদের কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে শুধু ডাক্তার, নার্স, পুলিশ বা আইনশৃঙ্কলা রক্ষা বাহিনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাই তাদেরকে করোনা যোদ্ধা হিসেবে সবার আগে টিকাদানেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

লাকী বলেন, মহামারী করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সব চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করলেও তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে বলা হচ্ছে না। আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের করোনার সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দানের পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের প্রত্যেকের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দানে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এই কর্মীরা মৃত্যুর দিকে আরও ধাবিত হবে।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের এই নেত্রী বলেন, ঢাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটি শুধু নির্ধারিত কনটেইনার থেকে ল্যান্ডফিলে ময়লা অপসারণের কাজ করছে। তাদের যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শুধুমাত্র শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ঝাড়– দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমাদের প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) এর প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাগরিকদের বাসা বাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে সিটি কর্পোরেশনের কন্টেইনারে পৌঁছে দেয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিডব্লিউসিএসপি’র সহসভাপতি মোহাম্মদ মামুন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আওলাদ হোসেন, ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter