পর্বতারোহী রত্না যেভাবে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলেন

পর্বতারোহী রত্না যেভোবে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হলেন

অনলাইনঃ
স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয় করার। কিন্তু সে স্বপ্ন অধরা রেখেই অকালে চলে গেলেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না(৩৩)।

প্রতিদিনের মত শুক্রবারও রত্না চন্দ্রিমা উদ্যানে ব্যায়াম ও সাইক্লিং শেষে বাসায় ফিরছিলেন সাইকেল যোগে। ক্রিসেন্ট লেকের বুক চিরে সেতুর উপর দিয়ে লেকরোড়ে নামার পরই একটি প্রাইভেটকার রত্নাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই রত্না প্রাণ হারান।

শেরেবাংলা নগর থানা জানায়, রেশমার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। একটি প্রাইভেটকার তাকে চাপা দিয়েছে। এরপর পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গত বছর ছয় হাজার মিটারের দুটি পর্বতে সফল অভিযান করে বাঙালি নারী হিসেবে বিরল অর্জনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন রেশমা নাহার রত্না।

রত্না পেশায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি পর্বতারোহণ ছিল তাঁর নেশা।

রেশমার দূর্ঘটনার আলামত

তিনি ২০১৬ সালে একটি ক্লাবে যুক্ত হয়ে কেওক্রাডং এর চূড়ায় যাওয়ার মধ্য দিয়ে পর্বত আরোহণের শুরু করেন।২০১৬ সালে রত্নার অ্যাডভেঞ্চারের সূচনা হয় বাংলাদেশের কেওক্র্যাডং পাহাড় চূড়া (৩,২৩৫ ফুট) আরোহণ করে। এর পর তিনি পাড়ি জমান আফ্রিকায়। ২০১৮-এ আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো আরোহণ করেন তিনি। এর ঠিক পরেই আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কেনিয়াও আরোহণ করেন তিনি।

ওই বছরই ক্লাবের সহযোগিতায় পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিং, উত্তরকাশি, উত্তরাখণ্ডে যান এবং পরবর্তীতে নিজ উদ্যোগে পুনরায় মৌলিক প্রশিক্ষণ, উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।

গত বছর লাদাখে অবস্থিত স্টক কাঙরি (৬১৫৩ মিটার) এবং কাং ইয়াতসে-২ (৬২৫০ মিটার) সফল ভাবে আরোহণ করেন তিনি।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter