অর্থনীতিঃ

দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলন-২০২১ আজ রেনেসন্স্ ঢাকা গুলশান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ.বি. এম. ইকবাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী, এমপি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ব্যাংকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম রিয়াজুল করিম এফসিএমএ সহ আরও অনেকেই অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ.বি.এম. ইকবাল বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব করোনা মহামারীর কারনে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে।

২০২০ অর্থবছর শেষে করোনার ধাক্কা সত্ত্বেও ব্যাংকের সার্বিক সাফল্যে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, বিভাগীয় প্রধান, ১২০ টি শাখার ম্যানেজার ও ব্যাংকের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ব্যাংকের সম্মানিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ.বি.এম. ইকবাল এবং আশা প্রকাশ করেন, সাফল্যের এই প্রবণতা ২০২১ সালে ব্যাংকিং খাতে নিজেদের অবস্থানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের পরামর্শ দেন তিনি।

ব্যাংকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী বলেন, “মহামারির ধাক্কা সামলে নিয়ে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এখনও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রয়েছে। প্রবাসী আয় দ্রুত গতিতে বাড়ছে।
রফতানি আয় বাড়ছে।“

তিনি আরও বলেন, “২০২১ সালের এই চ্যালেঞ্জিং বছরে অর্থনৈতিকভাবে করোনার লড়াইয়ে টিকে থাকার দৃঢ় সংকল্প সবাইকে ধারন করতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করে কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।“

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম রিয়াজুল করিম, এফসিএমএ বলেন, “নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির হাতছানি রয়েছে।

২০২০ সালের প্রতিকূল পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা ২০২১ সালে কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ হবে সারা বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।“

তিনি আরও বলেন, “করোনা ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ব্যাংকিং খাতের জন্যে।

কল্যাণমুখী অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে ২০টি ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করেছি যা আমাদের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।

আর্থিক খাতের প্রযুক্তি ‘ফিনটেক’ ব্যবহার করে সম্ভাব্য সকল খাত ও আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় এনে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেন।“

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী ১২০ টি শাখার ম্যানেজার, জোনাল হেড এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ২০২১ সালের পূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যাংক ব্যবসায় উন্নয়নের কলাকৌশল এবং চ্যালেঞ্জের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter