বরগুনায় কুপিয়ে হত্যা: মিন্নির গ্রেফতার দাবি শ্বশুরের

সারাদেশঃ
স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রিফাত শরীফকে খুন করার জেরে রিফাতের বাবা নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করে গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি প্রতিদিন একাই কলেজে যেতেন। ঘটনার দিনও তিনি একা কলেজে গিয়েছিলেন। এরপর মিন্নি ফোন করে রিফাতকে কলেজে ডেকে নেন।

আবদুল হালিমের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে হওয়া বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন মিন্নি ও তাঁর পরিবার। নয়নকে তালাক না দিয়েই তিনি (মিন্নি) রিফাতকে বিয়ে করেন। তাঁর ভাষ্য, বিয়ের পরেও মিন্নি নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন।

আবদুল হালিম শরীফ সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগম বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিন্নি ঘটনার আগের দিনও তাঁর বাসায় গেছেন এবং নয়নের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ ছাড়া ঘটনার পর নতুন করে প্রকাশ পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কলেজ গেট থেকে রিফাত শরীফকে ধরে নেওয়ার সময় মিন্নি নির্লিপ্ত ছিলেন।

এরপর কুপিয়ে জখম করার পর মিন্নি রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার বদলে নিজের জুতা খুঁজছিলেন এবং আক্রমণকারীদের একজন তাঁর (মিন্নি) হাতব্যাগ তুলে দিচ্ছিল। আবদুল হালিম বলেন, এতগুলো তরুণ রিফাতের ওপর হামলা চালাল অথচ একটি আঘাতও মিন্নির শরীরে লাগল না—এটা রহস্যজনক।

আবদুল হালিম বলেন, রিফাত রক্তাক্ত অবস্থায় একাই রিকশায় করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যান। এরপর যখন গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল নেওয়া হয় তখন মিন্নি তাঁর সঙ্গে যাননি।

আবদুল হালিম আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব ক্ষেত্রে মিন্নির ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইলেও কেন তাঁকে (মিন্নি) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে মিন্নিকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আর সেটা করা হলেই রিফাত শরীফ হত্যার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন হবে’

২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter