বান্ধবীর বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

বান্ধবীর বাসায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার

আইন আদালতঃ
রাজধানীর ভাটারার নূরের চালা এলাকায় একটি বাসা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে- এটি ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু। ওই ছাত্রের নাম নাজমুল আলম সেজান (২১)। তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র শিক্ষার্থী।

গতকাল মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সেজানকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, সেজানকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন এক তরুণী ও তরুণীর মা। পরীক্ষা করে সেজানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তরুণী ও তার মাকে আটকে রাখা হয়েছে। নূরের চালা এলাকার যে বাসা থেকে সেজানকে হাসপাতালে আনা হয় সেটি ওই তরুণীর বাসা।

তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর তাদের ভাড়া বাসায় আসেন সেজান। এসময় তিনি নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে উঠে দেখেন বাসার ড্রইং রুমে সেজানের লাশ ঝুলছে!’

খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন সেজানের বাবা আবাসন ব্যবসায়ী সাইফুল আলম। তিনি অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।

সেজানের ছোট ভাই নাফিজুল শাহ জানান, গত সোমবার তারা দুই ভাই একসঙ্গে বাণিজ্য মেলায় গিয়েছিলেন। এরপর সেজান বাসায় ফেরেননি।

ছোট ভাইয়ের দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে তার ভাইয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। ভাইয়ের মৃত্যুতে তরুণীর দায় রয়েছে বল তিনি মনে করেন।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সেজান ও তরুণী বিভিন্ন ইভেন্ট ইভেন্টে একসঙ্গে খণ্ডকালীন কাজ করতেন। সেখানে পরিচয় এবং তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তবে সেজান কখন ও কেন ওই তরুণীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে কী ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান রাত ১২টার দিকে জানান, পুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সেজান ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের ছেলে। গুলশানের কলাচাঁদপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।

-টিপু

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter