বুক না চিরে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন প্রথমবার সফল

স্বাস্থ্যঃ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে এ সফল অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে।

হৃৎপিণ্ড মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন করে। এই রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডে বিভিন্ন ধরনের ভাল্ব থাকে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাল্বটি হল ‘এওর্টিক ভাল্ব’। যে ভাল্ব দিয়ে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। এই ভাল্বটি সরু হয়ে গেলে এওর্টিক স্টেনোসিস হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগী হাঁটলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এ সব উপসর্গ দেখা দিলে দুই বছরের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, এই রোগের দুই ধরনের চিকিৎসা আছে। একটি হল বুক কেটে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা। এ পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়। রোগীর বুকের হাড়কে কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থ হতে রোগীর কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। আর আমরা যেটা করেছি তা হল, বুক না কেটে এবং অজ্ঞান না করে পায়ের কুচকি দিয়ে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেছি। এটা কম ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি জানান, গত রবিবার তার নেতৃত্বে এবং হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ৬০ বছর বয়সী এক নারী রোগীর শরীরে সফলভাবে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেন। যা বাংলাদেশে এই প্রথম। এর আগে এমনটা আর কেউ করেননি।

ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, এ পদ্ধতিতে অপারেশনের পর এক রোগী ২-৩ দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগদান করতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, ‘এওর্টিক স্টেনোসিস পদ্ধতিতে রোগীরা অপেক্ষাকৃত কম খরচে এই চিকিৎসা নিতে পারবে।’

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter