ভিপি নূরকে দেখতে নানক ও নাছিম হাসপাতালে

রাজনীতিঃ

ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তবে হাসপাতালে তারা বাধারমুখে পড়েন। সেখানে ভিপি নুরের সাথে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা মেরেছে তারাই আবার দেখতে এসেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তাদেরকে বলেছি যারা ভিপি নুর ও শিক্ষার্থীদের মেরে তাদের বিচার না করে আপনারা এখানে আসতে পারেন না।

এর আগে আজ দুপুরে ডাকসু ভবনে হামলার শিকার হন ভিপি নুরুল হক নূর। এতে তিনিসহ আহত হয়েছেন তার অন্তত ১৫ জন।

নূর দেখতে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, আমি আর নানক ভাই নূরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেলে যাচ্ছি।

রবিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চলতি বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে অধিকাংশ পদে ছাত্রলীগ জয়ী হলেও ভিপিসহ দুটো পদে জয়ী হয় কোটা সংরক্ষণ আন্দোলনকারীদের প্যানেলের প্রার্থীরা। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় নূর হামলার মুখে পড়েন।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা সম্প্রতি ডাকসু ভবনে নূরের কক্ষে তালা দেয়াসহ তার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছিল।

রবিবারের হামলার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুর ১২টায় রাজু ভাষ্কর্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ তাদের পূর্বনির্ধারিত একটি কর্মসূচি শেষ করে ডাকসু ভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সেখানে ভিপি নুরসহ তার অনুসারীদের সঙ্গে মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পরে মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী নুরদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। মঞ্চের কিছু নেতাকর্মী ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠতে থাকলে নুরের অনুসারীরা তাদের প্রতিহত করে ডাকসু ভবনের মুল ফটক বন্ধ করে দেয়।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন ডাকসু ভবনের মূল ফটক খুলে ভেতরে ঢোকেন।
তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীও ঢুকে পড়েন।

সনজিত-সাদ্দাম ভিপি নুরের কক্ষে গিয়ে তাকে বহিরাগতদের বের করে দিতে বলেন। কিন্তু নূর আপত্তি জানালে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসময় ছাত্রলীগের অন্য নেতাকর্মীরা ভিপি নুরের কক্ষে থাকা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের করে বের করে দেন।

ওই কক্ষ থেকে বের হতে বাধ্য হওয়া পরিষদের নেতা-কর্মীরা নিচে নামার পরপরই ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের লাঠিপেটার শিকার হন।

এরই মধ্যে সনজিত ও সাদ্দাম ডাকসু ভবন থেকে বেরিয়ে পাশের মধুর ক্যান্টিনে চলে যান। এরপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ভিপি নুরের কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে সেখানে থাকা সবাইকে এলোপাতাড়ি পেটান বলে আহতরা জানান।

এতে নূর ছাড়াও আহত হন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ন আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, রাশেদ খানসহ ১৫ জন।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter