ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০ অর্জনে ওয়ালটনের ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম ২০২১

ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০ অর্জনে ওয়ালটনের ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্য নিয়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এই লক্ষ্য অর্জনে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বাছাইয়ে চলছে ‘ওয়ালটন ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রাম (এফএলপি)- ২০২১’।

এতে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে চুড়ান্ত পবের্র বিজয়ীরা ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার্স পদে ওয়ালটনে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। ইতোমধ্যে এই প্রোগ্রামের ৩টি বাছাই রাউন্ড সম্পন্ন হয়েছে।

প্রোগ্রামের চুড়ান্ত রাউন্ড আগামী ২১ জুন রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান উপ-প্রকল্প পরিচালক মাশহারার ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, ওয়ালটন বিশ্বের অন্যতম সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার টার্গেট নিয়েছে। ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এর নাম দিয়েছেন ‘ভিশন- গো গ্লোবাল ২০৩০’। এই লক্ষ্যের সফল বাস্তবায়নেরর উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ সৃজনশীল, মেধাবী ও তরুণ নেতৃত্ব বাছাই ও নিয়োগ দিতে ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের এই উদ্যোগ।

প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর আঞ্জুম জানান, ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের থেকে গত এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে বায়োডাটা বা সিভি গ্রহন করা হয়। ওই সময় ওয়ালটনের মানব সম্পদ বিভাগে সিভি জমা দেয় ২৬ হাজার জন প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে ৩টি রাউন্ডে আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী লিখিত পরিক্ষা, কেস স্ট্যাডি ও গ্রুপ ডিসকাশন, ভাইবা ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় দুইশ জন প্রার্থীকে বাছাই করা হয়। তারা ফিউচার লিডার্স প্রোগ্রামের চুড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিবেন। চুড়ান্ত পর্বে ওয়ালটনের ‘ভিশন গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের ভবিষ্যৎ তরুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হবে।

সূত্রমতে, ‘ভিশন-গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনার সমন্বয়ে রোডম্যাপ তৈরি করেছে ওয়ালটন। যা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং পরের বছর (২০২৩-২০২৪) রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার টার্গেট। সেজন্য ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস বাড়ানোর পাশাপাশি ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানফ্যাকচারার) হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ডের নামে পণ্য তৈরির মাধ্যমেও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন।

এছাড়া বিশ্বের ৬টি দেশে শাখা অফিস খোলার উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের প্রায় ৪০টি দেশে। এর মধ্যে ইউরোপের জার্মানি, পোল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইতালি, রোমানিয়াসহ মোট ১০ টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter