মনির থেকে গোল্ডেন মনির বনে যাওয়ার নেপথ্য

মনির থেকে গোল্ডেন মনির বনে যাওয়ার নেপথ্য

আইন আদালতঃ
গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোল্ডেন মনিরের বাসায় অভিযানে বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, চার লিটার বিদেশি মদ, ৩২টি নকল সিল পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২০ হাজার ৫০০ সৌদি রিয়াল, ৫০১ ইউএস ডলার, ৫০০ চাইনিজ ইয়েন, ৫২০ রুপি, ১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার, ২ লাখ ৮০ হাজার জাপানি ইয়েন, ৯২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, হংকংয়ের ১০ ডলার, ১০ ইউএই দিরহাম, ৬৬০ থাই বাথ জব্দ করা হয়েছে।

এগুলোর মূল্যমান ৮ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৬ টাকা। এ ছাড়া নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করেছে র‌্যাব।

এ বিষয়ে আশিক বিল্লাহ জানান, শনিবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সোনার গহনা, অস্ত্র ও টাকাসহ চিহ্নিত স্বর্ণ চোরা কারবারি মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তার বাসা থেকে দুটি বিলাশবহুল গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির ৩০টি স্থানে তার বাড়ি ও প্লট আছে বলে স্বীকারোক্তি দেন।

নব্বইয়ের দশকে গাউছিয়া মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনির।
এরপর রাজধানীর মৌচাকের একটি ক্রোকারিজ দোকানে চাকরি নেন। সে সময় এক লাগেজ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় হলে মনির লাগেজ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। ঢাকা-সিঙ্গাপুর–ভারত, এই রুটে তিনি প্রথমে লাগেজে করে কাপড়, কসমেটিক, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটারসামগ্রী, মোবাইল, ঘড়িসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আনা-নেওয়া করতেন। এই কাজগুলো করতে করতে তিনি লাগেজ স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন। বায়তুল মোকাররমে একটি জুয়েলারি দোকান দেন, যা তার এই চোরাকারবারি কাজে সাহায্য করে। সময়ের ব্যবধানে মনির বড় ধরনের স্বর্ণ চোরাচালানকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির। চোরাচালানের দায়ে ২০০৭ সাল বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।
ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে মনির অসংখ্য প্লটের মালিকও হয়েছেন।

-বিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter