আইন আদালতঃ
মোংলায় ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। খাগড়াছড়ি জেলার মহলছড়ি থানার মাইচছড়ি কালাপাহাড় এলাকায় তার বাড়ি।
৫দিন যাবৎ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত দুই বন্ধু। ২৫ নভেম্বর, বুধবার রাতে খবর পেয়ে ওই দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
আটককৃত দুই যুবক হলেন- মোংলার পশ্চিম শেহলাবুনিয়া এলাকার আজিজ খন্দকারের ছেলে মেহদী হাসান (২৫) ও খোকন শরিফের ছেলে সুমন শরিফ (৩০)।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, চট্রগ্রাম ইপিজেডে কাজ করার সুবাদে মেহেদী হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। মেহেদী মোংলায় বেড়ানোর কথা বলে চট্টগ্রাম থেকে প্রথমে ২১ নভেম্বর ঝিনাইদহ বন্ধু সুমন শরিফের বাড়ীতে মেহেদীর স্ত্রী পরিচয় রাত্রিযাপন করেন তারা।
সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর বিকালে মোংলায় এসে মেহেদীর বাড়ীতে আসেন তারা। সেখানেও সুমন শরিফের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবস্থান করে রাত্রিযাপন করে এবং ওই রাতে প্রথমে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মেহেদী ওই ভুক্তভোগী তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুমনও তাকে ধর্ষণ করে। পরে দুই বন্ধু মিলে জোরপূর্বক পালাক্রমে ওই তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করে।
তাদের কার্যকলাপে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গভীর রাতে সুমন ও মেহেদীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। রাতেই মেহেদীর বাড়ী থেকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে ওই রাতেই মোংলার পশ্চিম শেহলাবুনিয়া এলাকার মেহদী হাসান ও খোকন সুমন শরিফের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী জানায়, চট্ট্রগ্রাম ইপিজেড’এ চাকরির সুবাধে তাদের পরিচয় হয়। বেড়ানোর কথা বলে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে মোংলায় নিয়ে আসে এবং কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে দুই বন্ধু ধর্ষণ করে।
তাদের চলাফেড়া ও আচার-আচারণ সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
স্থানীদের মাধ্যমে দুই বন্ধুকে আটক করি এবং জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন তারা। ২৫ নভেম্বর রাতে থানায় মামলা দায়ের শেষে আটক দুই জনকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
-কেএম
