রড নিয়ে যত মতভেদ

প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ফারহানঃ

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে। গত এক যুগ ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং ক্ষমতাসীন সরকারের উচ্চাকাঙ্খায় দেশের অবকাঠামোর পরির্বতন হয়েছে অনেক এবং ক্রমাগত তা হচ্ছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আর এই অবকাঠামো উন্নয়নের বিপ্লবের এক বড় উপাদান হল রড।

যদিও দেশে এখন স্টিল স্ট্রাকচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে তবুও আর.সি.সি কাজের
চাহিদা ক্রমাগত অব্যাহত আছে এবং থাকবেই।

বর্তমান দেশে সকল কোম্পানি মিলে রড উৎপাদনের সক্ষমতা আছে বা সরিক প্রায় ৯০লক্ষ মেট্রিক টন। আর তার বিপরীতে চাহিদা আছে প্রায় ৫৫ লক্ষ্য মেট্রিক টন। ২০২১ এ মোট রড বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টন যদিও ঠিক তার আগের বছর ২০২০ এ করোনা মহামারীর প্রার্দুভাবে রড সরবরাহ ২০১৯ এর তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ কম রড বিক্রী হয়েছিল। নভেম্বর মাস শেষ অবধি রডের সরবরাহ হয়েছে প্রায় প্রায় ৫৫ লক্ষ ৭২ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এবং সমীক্ষা বলছে এ বছরে মোট রডের সরবরাহ র্সবকালের রের্কড ভেঙ্গে ৬০ লক্ষ টনের ঘর ছুঁতে পারে।

বর্তমান বাংলাদেশে রডের বাজারের পরিমান বছরে প্রায় ৫৪,০০০ কোটি টাকা, যা অনেকেরই অজানা। কনস্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়ালস র্মাকেটে আমার ৮ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি এই রডের ব্যাপারে অনেক ভুল ধারণা দেখেছি। সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক প্রকৌশলীদের মাঝেও আমি অনেক ভ্রান্ত ধারণা পেয়েছি। যা ছিল একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমার জন্য অনেক কষ্টের এবং অনেক লজ্জার।

প্রথম ধারণা: সিক্সটি-ফাইভ হান্ড্রেড
সিক্সটি গ্রেড (৬০ গ্রেড) ও ফাইভ হান্ড্রেড (৭২.৫ গ্রেড) সর্ম্পূণ আলাদা দুটো গ্রেডের রড। এই দুটি অনেকে এক সাথে মিলিয়ে ফেলেন। এমনকি ভালো মানের কোম্পানিগুলোতে এখন ৬০ গ্রেডের মাঝে দুই রকম (এএসটিএমএম-৬১৫ ও এএসটিএমএম-৭০৬) এবং ৭২.৫ গ্রেডের দুই রকম রড (বি৫০০সি ডব্লিও আর ও বি৫০০ডি ডব্লিও আর) তৈরী হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধারণা: দেখতে চকচকে রড মানে ভালো রডের গুনগত মান র্নিভর করে রডের ম্যাকানিকাল প্রর্পাটিজ (যেমনঃ ইয়েল্ড স্ট্রেংথ , টেনসাইল স্ট্রেংথ , ডাকটিলিটি , ইলংগেশন ,বেন্ডাবিলিটি ইত্যাদি ), ক্যামিকেল প্রর্পাটিজ ( যেমনঃ র্কাবন , সিলিকন , ম্যাঙ্গানিজ , ফসরাস , সালফার , র্কাবন ইকুইভ্যালেন্ট ইত্যাদির শতকরা হার) , মাইক্রোস্কোপিক এনালাইসিস রির্পোট , ফ্যাটিগ টেস্ট রেজাল্ট এগুলোর উপর।

রড দেখতে কালো , নাকি লাল, নাকি তামাটে এর সাথে গুনগত মানের তেমন কোন সর্ম্পক নেই।

তৃতীয় ধারণা: লালচে মানেই রড খারাপ আমার কাছে মনে হয় এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা রডের সর্ম্পকে। এ নিয়ে আমি এর আগেও একটি র্আটিকেল প্রকাশ করেছিলাম , “লাল মানেই মরিচা নয়, মরিচা মানেই রড খারাপ নয়” এই শিরোনামে। আপনারা গুগল করলে আশা করি লিংকটি পেয়ে যাবেন।

সংক্ষেপে যদি আমি বলতে যাই , রডের প্রাকৃতিক র্ধমই হলো সে বাতাসের সংর্স্পশে এলে লালচে হবে ধীরে ধীরে। তবে এটি জং না। এই লালচে ভাব রডের মূল র্ধমের বা বৈশিষ্টের কোন পরির্বতন বা অবনমন করে না।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, রডকে খোলা জায়গায় ১৮ থেকে ২৪ মাস র্পযন্ত রাখলেও এর বাহ্যিক কোন উল্লেখযোগ্য পরির্বতন হয় না। যদিও এটি দেখতে ভালো না দেখালেও পরীক্ষাগারে একই রকম ফল দেখাবে যেমনটা নাকি নতুন অবস্থায় ছিল। যদি মরিচা শক্তভাবে বারের/রডের সাথে লেগে থাকে, তাহলে মরিচা বারের চারপাশের কংক্রিটের বন্ড/বন্ধনের বৈশিষ্ট্যগুলিকে উন্নত করবে। এই জং অপসারণের দরকার নেই।এটি ব্যাবহার যোগ্য।

এছাড়াও জানুয়ারি ২০০৪-এ এএসটিএম এর একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ২% র্পযন্ত মরিচা এরকম বা হালকা মরিচা যেটা ২% র্পযন্ত রডের বাহ্যিক আকার আয়তনে প্রভাব ফেলে, সেইসব মরিচা কংক্রিটের সাথে রডের বন্ধনকে আরও বেশি দৃঢ় করে।

এছাড়া আমরা যে ব্রাশ দিয়ে ঘষাঘষি করি , কংক্রিট রেইনর্ফোসিং স্টিল ইনস্টিটিউট (সিআরএসআই) এর মতে এরও কোন দরকার নেই. ।

রোদের গা থেকে আলগা যে ময়লা , হালকা মরিচা তা রড টানাটানি বা ব্যবহারের সময় এমনিতেই পরে যায় যদি না রডের গায়ে তৈলাক্ত কোন প লেগে না থাকে। তৈলাক্ত পর্দাথ থাকলে তা অবশ্যই কোন কাপড় দিয়ে মুছে রড ব্যবহার করতে হবে।

চর্তুথ ধারণা: রডে র্কাবন বেশি বাঁকাতে গেলে ভেঙ্গে যায় রডে যে পরিমান র্কাবনের শতকরা পরিমান থাকে তা সাধারণত ০.৩ বা এর আশেপাশে থাকে। এর চেয়ে বেশি র্কাবনের উপস্থিতি থাকলে এটি আর মাইল্ড স্টিল থাকবেনা , তা হয়ে যাবে মিডিয়াম র্কাবন স্টিল।

তো এখন র্পযন্ত আইএসও কিংবা এএসটিএম যে র্নিদেশিকা দিয়েছে তাতে র্কাবনের পরিমান র্সবোচ্চ ০.৩% বা এর আশেপাশে রাখতে বলা হয়েছে।

কোন ভালো ব্র্যান্ডের রড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি র্কাবনের পরিমান বেশি রাখেনা ঐ র্নিদেশিকার বাইরে। রড মূলত বাঁকা করতে গিয়ে ভেঙ্গে যায় বা ফেটে যায় ম্যান্ড্রেল

ব্যবহার না করার কারণে। আমাদের দেশে যেই ভাবে রডকে টেনেটুনে সোজা করে বা বাঁকা করে তা সর্ম্পূণ ভুল। আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত থাম্বরুল হলো ১৬মিলি ডায়ামিটার র্পযন্ত রডের ম্যান্ড্রেলের সাইজ হবে কমপক্ষে এর চারগুন র্অথা ৬৪ মিলি। আর এর উপরের রডের জন্য ম্যান্ড্রেলের সাইজ হবে ঐ ডায়ামিটারের কমপক্ষে ৭গুন্। ম্যান্ড্রেল ডায়ামিটার হলো সেই ডায়ামিটার যাকে কেন্দ্র করে রডকে বাঁকাতে হয়।

আরেকটা ভুল কনসেপ্ট কাজ করে এই রড সোজা বাঁকা করার ব্যাপারে,সেটা হলো রডকে একবারে ৯০ ডিগ্রী র্পযন্ত বাঁকা করে তাকে আবার সোজা করতে যাওয়া। যা করলে রড ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে এবং এটা নিষিদ্ধ। রডকে একবারে ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে বাঁকা করলে তাকে র্নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে র্সবোচ্চ আবার ১৩৫ ডিগ্রী র্পযন্ত সোজা করার অনুমতি আছে। এর বেশি করলে রডের অভন্তরীন গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায় যদিও সেটা না ভেঙ্গে ঠিক থাকেও।

পঞ্চম ধারণা- কোন রড ভালো সিক্সটি , ফাইভ হান্ড্রেড, ফাইভ ফিফটি নাকি সিক্স হান্ড্রেড ?
এই সিদ্ধান্তটি সর্ম্পূণ ভাবে আপনার র্নিমাণের প্রকৌশলীর কাছে ছেড়ে দিন। কারণ প্রত্যেকটা রডই ভালো এবং প্রত্যেক গ্রেড রডের আলাদা আলাদা ভৌত ও রাসায়নিক গুনাগুন আছে।

আপনার র্নিমাণের ধরণ ও কনক্রিটের মিক্স ডিজাইনের উপর র্নিভর করে প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নিবে কোন গ্রেডের রড আপনার অবকাঠামোর জন্য র্সবোত্তম এবং একই সাথে সাশ্রয়ী। কখনই এই ধরণের সিদ্ধান্ত রাজমিস্ত্রিদের কাছ থেকে নিবেন না দয়া করে।

ষষ্ঠ ধারণা- ফাইভ হান্ড্রেড সিডব্লিওআর ভালো নাকি ফাইভ হান্ড্রেড ডিডব্লিওআর ভালো ?
এখানেও একই কথা, দুটো রডই ভালো এবং আলাদা আলাদা ভৌত ও রাসায়নিক গুনাগুন সম্পন্ন।

যদিও ইদানিং অনেক কোম্পানি ডিডব্লিওআর কে সিডব্লিওআর এর তুলনায় বেশি ভালো বলছেন কারণ তার ডাকটিলিটি বা সহ্য ক্ষমতা বেশি বলে কিন্তু র্কাবন এবং র্কাবন ইক্যেভ্যালেন্টের পরিমান বেশি থাকায় এর বেন্ডাবিলিটি বা বাঁকানোর ক্ষমতা কম যা অনেক র্নিমাণ কাজের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যদি ম্যান্ড্রেল মেশিন এবং দক্ষ রড মিস্ত্রী র্নিমাণ সাইটে উপস্থিত থাকে তবেই কেবল বলা যায় ডিডব্লিওআর ভালো পছন্দ।

সপ্তম ধারণা-কোন টেকনোলজি দ্বারা উ পাদিত রড র্সবো কৃষ্ট? টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয় স্ট্যার্ন্ডাড অনুসারে কাঁচামালের বিশুদ্ধকরণ , রডের সঠিক মাত্রার রাসায়নিক গুনাগুন নিয়ন্ত্রণ এবং র্সবোপরি কাঙ্খিত ভৌত গুনাগুন র্অজন করার জন্য। এখন কেউ যদি পুরানো পদ্ধতির ইন্ডাকশন র্ফানেস এর সাথে কিছু অতিরিক্ত অপারেশন বা ধাপ যোগ করে কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছতে পারে তাহলে সে রড ও ভালো হতে পারে।

বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে র্বতমান এ যত টেকনোলজি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক টেকনোলজি হলো কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক র্আর্ক্ফানেস টেকনোলজি যা সর্ম্পূণ
অটোমেটেড এটাই র্বতমানে স্টেট্ অফ দ্যা র্আক্।

এছাড়া আরও কিছু বৃহৎ কোম্পানির কিছু আধুনিক টেকনোলজি আছে যেমনঃ ইলেকট্রিক র্আর্ক্ফানেস, র্থামেক্স, পমিনী ইত্যাদি।

তবে, এটা স্বীকার করতেই হবে সার্বিক দিক বিবেচনায় সবচেয়ে আধুনিক টেকনোলজি দিয়ে র্সবোত্তম রড তৈরির সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

শেষে অনেক মতভেদের একটা ধারণা দেই সেটা হলো ওজন নিয়ে ঝামেলা।

প্রায়শই দেখা যায়, ক্রেতারা বিভিন্ন রড উৎ পাদনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যে তারা ওজনে কম দেয় কিংবা তাদের রড ওজনে কম।

আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর যে ৪ টি রিবার ম্যানুফ্যাকচারার আছে (বিএসআরএম , একেএস, জিপিএইচ ইস্পাত ও কেএসআরএম ) ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমনঃ রহিম স্টিল , আনোয়ার ইস্পাত , এসসিআরএম ও আকিজ ইস্পাত এর মত প্রতিষ্ঠান কখনই ওজনে কম বেশি করে না কারণ এদের প্রত্যেকের ফ্যাক্টরিতে যে ওয়ে-ব্রিজ আছে তা বি,এস,টি,আই কতৃক প্রতিনিয়তই ক্যালিব্রেশন করা হয়।

তাহলে প্রশ্ন হলো বির্তকের জন্ম হয় কিভাবে ?
ইন্টারন্যাশনাল র্অগানাইজেশন অফ লিগ্যাল মেট্রোলোজি এবং আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যার্ন্ডাডস এন্ড টেকনোলজি এর মতে প্রায়ই একই সময়ে ক্যালিব্রেশন করা দুটো ওয়ে-ব্রিজের মাঝে ১০ টনের কোন বস্তুর ওজনের র্পাথক্য ২০ কেজি হতে পারে এবং এটি গ্রহণযোগ্য।

তো যেটি হয় সাধারণত গ্রাহকরা যাচাই করার জন্য যে ওয়েট স্কেলে ওজন নেয় সেটি বেশিরভাগ সময়ই বি,এস,টি,আই এর ক্যালিব্রেশন করা থাকেনা, থাকলেও তা থাকে অনেক দিন আগের। আর আমাদের ডিলার বা রিটেইলারদের দোকানে যে ছোট ছোট ওজন মাপার যন্ত্র আছে সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ক্যালিব্রেশন করা থাকেনা এবং একসাথে ১০ টন রড ওজন করতে পারেনা। তখন ভাগ ভাগ করে ওজন নেওয়া হয়। আর যখনই ভাগ ভাগ করে ওজন নিবেন তখনই প্রত্যেকবার ওজনে স্কেলের মধ্যে কিছু কিছু তারতম্য আসবে এবং যখনই আপনি সর্ম্পূণ রডের ওজন যোগ করবেন তখন অনেক সময় দেখা যায় একটা বড় র্পাথক্য চলে আসে যা গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পরে।

এবারে আসি রডের পিছ গুনে হিসেব মেলানোর ব্যাখ্যায়। এটি খুবই বৈজ্ঞানিক একটি পদ্ধতি বিশেষ করে যেখানে ক্যালিব্রেটেড ওয়ে-ব্রিজ না থাকে। এই পদ্ধতিতে আপনি প্রথমে প্রতি পিছ রডের ওজন বের করতে পারেন এবং সমস্ত রডের সংখ্যা দিয়ে গুন্ করে মোট ওজন পেতে পারেন। [{(ডায়ামিটার ঢ ডায়ামিটার) / ১৬২.২} ঢ ১২] এই সূত্র দিয়ে আপনি সরবরাহকৃত একটি সর্ম্পূণ রডের ওজন বের করতে পারেন এবং রডের সংখ্যা দ্বারা গুণ করে মোট সরবরাহকৃত রডের তাত্ত্বিক ওজন পেয়ে যাবেন।

যেহেতু রডের ডায়ামিটার সব সময় তাত্ত্বিক হিসেবকে মেনে চলে না তাই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যার্ন্ডাড র্অগানাইজেশনের মতে এটি ডায়ামিটার ভেদে ৪% থেকে ৮% র্পযন্ত বেশিকম হতে পারে।

অতএব , ওজনের বির্তক দূর করার জন্য হয় ক্যালিব্র্যাটেড ওয়ে-ব্রিজ দ্বারা যাচাই করুন যেখানে প্রতি ১০ টনের জন্য র্সবোচ্চ ২০ কেজির র্পাথক্য হতে পারে অথবা সঠিক ভাবে একটি একটি করে রডের পিছ গুনে তাত্ত্বিক হিসেব ও বাস্তব হিসেবের মধ্যে ৪% থেকে ৮% র্পাথক্য গ্রহণ করুন।

আরও বেশ কিছুধারণা বা ভুল ধারণা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে রড নিয়ে তবে আমার কাছে মনে হয়েছে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোই
অধিক গুরুত্বর্পূণ ছিল। আমি চেষ্টা করেছি একজন প্রকৌশলী হিসেবে আমার স্বল্প জ্ঞানে র্নিমাণ শিল্পে ব্যবহৃত রড নিয়ে যেসব কৌতূহল আছে তা কিছুটা পরিষ্কার করে।

এতে করে যদি আমার সোনার বাংলার একটি র্নিমাণেরও রডের নির্বাচন সঠিক সিদ্ধান্ত আসে তবেই এই লেখা স্বার্থক বলে মনে হবে।

-জিম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter