ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানার সর্ববৃহত রাষ্ট্রায়ত্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের ঋণ বিষয়ে নানান মুখরোচক গল্প শোনা গেছে। এমন গল্প ও অদ্ভুত কাহিনীর জন্মদাতারা ব্যাংকেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তারা।
সোনালী ব্যংকের ঋণদানে অসীম ক্ষমতাধর এক কর্মকর্তার সন্ধান মিলেছে। উনি সোনালী ব্যাংক, স্থানীয় কার্যালয়ের শিল্প প্রকল্প অর্থায়ন বিভাগের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার রফিকুল হাসান।
সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করে ব্যার্থ হলে, উপস্থাপিত প্রকল্পের কাগজে কোন ঘাটতি বা ঝামেলা থাকলে, ঋণের জন্য প্রকল্প উপস্থাপনের যোগ্যতা না থাকলে, কমিশন মিডিয়া হিসেবে কাজও করে দেন এই রফিকুল হাসান।
এই সব প্রকল্পের ঋণ নিতে তদবিরের বিশেষ প্রয়োজন হয়, সেই ক্ষেত্রে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মতার নাম ব্যবহার করেন।
এ ধরনের তদবিরে জড়িত কিছু দালাল তার টেবিলের সামনে প্রায় সময়ই দেখা যায়।
ঋণের জন্য আবেদন করার সময়ই রফিকুল ঋণের ফাইল তৈরী বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। এর পর চলে নানান তহবিলের টাকা আদায়ের ফন্দি। আর তাতে সহযোগিতা করতে বাইরের কিছু চতুর দালাল চক্র সব সময় প্রস্তত থাকে। ওই দালালদের সঙ্গে পার্টিকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। ওই দালালদের মধ্যে খুলনার মাহাবুব আলম অন্যতম। এই মাহাবুবের সঙ্গে রফিকুলের নানান ধরনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শ্রমিক সরবরাহের নামেও নিরীহ শ্রমিকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেন রফিকুল হাসান।
সম্প্রতি ওই মাহাবুব সোনালী ব্যাংকে রফিকুলের দেখা গেছে।
চলবে