শহীদ মিনারে ঢাবি ও মহানগর দঃ ছাত্রলীগের মারামারি

শহীদ মিনারে ঢাবি ও মহানগর দঃ ছাত্রলীগের মারামারি

অনলাইনঃ
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে।

ঘটনাটি সাউন্ড বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করে ঘটে। এতে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শহীদ মিনারে থাকা রাষ্ট্রীয় অতিথিদের ছবিসহ ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড ছিঁড়ে ফেলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের শুভেচ্ছা জানাতে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজন কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জুবায়ের আহমেদসহ দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একেক জন একেক ধরনের নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

সাউন্ড সিস্টেমের কর্মচারীদের বরাতে জানা গেছে, সাউন্ড বক্স বাজানোর নির্দেশনা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথম দিকে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতিতে ‍রুপ নেয়।

পরে জুবায়ের আহমেদ দৌড়ে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী সাব্বির হোসেন জয়কে লাথি মারেন। এরপর নাবিল হায়দারকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এরপর পরই সেখানে উপস্থিত থাকা জুবায়েরের অনুসারীরা সাদ্দামের অনুসারীদের ওপর হামলা শুরু করে। এরপর নাবিল হায়দারকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এরপর পরই সেখানে উপস্থিত থাকা জুবায়েরের অনুসারীরা সাদ্দামের অনুসারীদের ওপর হামলা শুরু করে।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তারা (মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে। শহীদ মিনারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।

সাউন্ড সিস্টেম ধ্বংস করেছে তথা সাংগঠনিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। আমরা কেন্দ্রকে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করবো তারা দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।

অন্যদিকে জুবায়ের আহমেদ বলেন, আমি স্লোগান দেয়ার জন্য সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে বলেছিলাম। সাউন্ড বক্স বন্ধ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছেলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছে। পরে আমি একটু বন্ধ রাখতে বললে আমাকে আঘাত করে। তখন আমি তাদের সরিয়ে দেই। আমি সরিয়ে দেয়ার পর তারা পেছন থেকে আবার আঘাত করে। তখন আমরা সেখান থেকে সরে যাই। তাদের হামলার কারণে আমি মুখে এবং হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য এসে পরিস্থিতি সামাল দিলে আমি আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে একপাশে সরে যাই।

আরও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, খোঁজ-খবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter