শীর্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক

অনলাইনঃ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী- এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন দলটির শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

তিনি বলেছেন, জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বসে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নেতা ঠিক করবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অভিজাত হোটেল লেকশোর এ দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ড. কামাল।

বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক তৌফিক ইমরাজ খালিদী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে প্রশ্নটি করেন। জবাবে ড. কামাল এমন উত্তর দিয়েছেন বলে জানান আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। কিন্তু বৈঠক থেকে বের হয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, আমি এ প্রশ্ন করলেও জবাব পাইনি।

বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে ড. কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

সম্পাদকদের মধ্যে অংশ নেন- নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএইজ সম্পাদক নুরুল কবীর, আমাদের নতুন সময় সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সাপ্তাহিক বুধবার সম্পাদক আমির খসরু, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান।

এ ছাড়াও অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম-সম্পাদক আবু তাহের, এএফপি ঢাকা ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম, রয়টার্সের ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির, ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক মুন্সি আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশের খবরের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।

আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ঐক্যফ্রন্টের যে জনসভাগুলো হয়, সেখানে আমি দেখেছি যে, পবিত্র কোরআন, বাইবেল, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। এগুলো তাদের ঐক্যবদ্ধ চিন্তার ফল কিনা? এগুলোতে সবাই একমত কিনা? এছাড়া আমি উনাদের কাছে জানতে চেয়েছি, ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের বিষয়ে কোনো ঐক্যবদ্ধ চিন্তা আছে কিনা?এগুলো নির্বাচনে আগে আমাদের সামনে লিখিতভাবে উপস্থাপন করবেন কিনা?

তিনি বলেন, আরেকটি প্রশ্ন ছিল, নির্বাচনের পর বাংলাদেশের দুটি বিশাল উদযাপন আছে। একটি হচ্ছে- বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী। আরেকটি হচ্ছে- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। নির্বাচনে বিজয়ী হোন বা পরাজিত হন- উৎসগুলো সবাই মিলে পালন করবেন কিনা? এসব বিষয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেছেন, এসব বিষয়ে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবেন।

ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওই আলোচনা সভা। নির্বাচন কীভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে- এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মতামত চেয়ে বক্তব্যের সূত্রপাত করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter