সিনহা হত্যা: ৩ এপিবিএন সদস্য আটক

আইন আদালতঃ

পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

তারা ঘটনার দিন শামলাপুর টেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ নিয়ে এই মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিন জন হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। এর আগে এ মামলায় ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

এদিকে একই ঘটনায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে আজ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে র‌্যাব। ইতোমধ্যে গতকাল ১৭ আগস্ট, সোমবার কক্সবাজার জেলগেটে এসআই লিয়াকত ও নন্দদুলালকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল কামাল হোসেন, সাফানুর করিম ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেবনাথকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে অবশ্য সিফাত-শিপ্রা জামিনে মুক্তি পান।

এরপর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাস, এসআই লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সব মামলারই তদন্তভার এখন র‌্যাবের হাতে।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter