সড়কে সংগঠন, পুলিশ ও ব্যক্তির চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত

সড়কে সংগঠন, পুলিশ ও ব্যক্তির চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত

প্রসাশনঃ
সড়কপথে বিভিন্ন সংগঠন, পুলিশ ও ব্যক্তির নামে পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহণ নেতাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিবহণ কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান লরি প্রাইমুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

সভায় ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় আগামীকাল সোমবার থেকে সচল হচ্ছে সব ধরনের পণ্য পরিবহন।

পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলে তা জানাতে একটি হটলাইন চালু করা হয়েছে। তবে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামে চাঁদা আদায় বহাল থাকছে।

মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নামে প্রতি ট্রিপে ৩০ টাকা করে মোট ৬০ টাকা আদায় করা যাবে। প্রতিটি জেলায় নির্দিষ্ট স্থানে এ চাঁদা আদায় করবেন দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সভা শেষে পরিবহণ নেতারা গণমাধ্যমকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান। তারা আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় (হত্যা) মামলা না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মামলা হবে ৩০৪(খ) ধারায়। তদন্তে হত্যার উদ্দেশ্য প্রমাণিত হলে তা ৩০২ ধারায় রূপান্তর হবে।

সভা শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান বলেন, পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে কঠোর আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদা নেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলা সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নামে ইজারা দিয়ে পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে টার্মিনাল ব্যবহার করলে সেজন্য চার্জ দিতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, কাওরান বাজার ও আশপাশ এলাকাসহ ঢাকায় সবচেয়ে বেশি পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের নামে অনেক ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে উঠেছে। এসব সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করা হয়। পুলিশ কাগজপত্র চেক করার নামেও হয়রানি করে। আমরা এসব বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন।

মহাসড়কে অবৈধ চাঁদা আদায়, পুলিশের মাসিক মাসোহারা বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে পরিবহণ ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ট্যাংক লরি প্রাইমমুভার মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

ওই কর্মসূচি শুরুর আগের দিন রোববার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ, পরিবহণ নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, ওসমান আলী, মো. রুস্তুম আলী খান, মো. তাজুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান হিরুসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter