হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

অনলাইনঃ
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। রবিবার (২৫ এপ্রিল) সংগঠনের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী রাত ১১টায় এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন।

কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক ধর্মভিত্তিক এই সংগঠনটি নাশকতার পুরনো ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন মামলায় শীর্ষ নেতাদের ব্যাপক ধরপাকড় ও রিমান্ডের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত এলো।

জুনায়েদ বাবুনগরী গত নভেম্বরের সম্মেলনের পর সংগঠনের আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তিনি সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন, দ্বীনি সংগঠন ইমান আক্বিদার সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটিকে বিলুপ্ত… কেন্দ্রিয় কমিটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পরামর্শক্রমে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।’

তিনি আরও বলেন ‘ইনশাআল্লাহ আগামীতে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আবার হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম শুরু হবে।’

২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ–সহিংসতার পর হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ১৯ জন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থানকে ঘিরে তাণ্ডবের পুরনো মামলাতে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অভিযান শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

জানা গেছে, বিক্ষোভ–সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৭৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৬৯ হাজারের বেশি জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসব মামলায় প্রতিদিনই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতা–কর্মী ও সমর্থকরা গ্রেফতার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক সংগঠনটির কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা করলেন বাবুনগরী।

এর মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসায় যান। তারা অযথা কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করার দাবি জানান। এ ছাড়া হেফাজতে ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে নয় বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিলেন হেফাজত নেতারা।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter