১০ জেলার ২৭ এলাকা রেড জোন, সাধারণ ছুটি ঘোষণা

আরও ৪ জেলাকে রেড জোন চিহ্নিত

করোনা সংবাদঃ

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতে দেশে ১০টি জেলার ২৭টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল ২১ জুন, রবিবার দিবাগত রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণাললের ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।

যেসব জেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, এগুলো হলো- চট্টগ্রাম, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ ও মাদারীপুর।

প্রজ্ঞাপনে জাননো হয়, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড নং-১০, উত্তর কাট্টলি (বিসিক শিল্প নগরী ব্যতিত) এলাকা গত ১৭ জুন রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার থেকে আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত সেখানে সাধারণ ছুটি থাকবে।

বগুড়ার পৌরসভার চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, নারুলী, জলেশ্বরীতলা, সূত্রাপুর, মালতিনগর, ঠনঠনিয়া, হাড়িপাড়ি ও কলোনি এলাকা রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৪ জুন সেখানে রেডজোন ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত এ এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলাধীন দর্শনা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পুরানপুর গ্রামের রিফিউজি কলোনি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের থানা পাড়া এলাকায় ঘোষিত রেডজোনে রোববার থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।

মৌলভীবাজারের রেডজোন হল– শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের ক্যাথলিক মিশন রোড, রূপশপুর, সবুজবাগ, মুসলিমনগর, লালবাগ, বিরাইমপুর এবং শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কালীঘাট রোড ও শ্যামলী এলাকা, কুলাউড়া উপজেলাধীন বরমচাল ইউনিয়নের নন্দননগর, কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর এবং কুলাউড়া পৌরসভার মাগুর ও মনসুর এলাকা। গত ১৪ জুন ঘোষিত এই রেডজোনে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে।

নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার রুপগঞ্জ ইউনিয়নে (উত্তরে বালু ব্রিজ, দক্ষিণে কায়েতপাড়া, পূর্বে কায়েতপাড়া এবং পশ্চিমে কাঞ্চন পৌরসভা) গত ১৮ জুন রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছিল। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত ওই অঞ্চলে সাধারণ ছুটি থাকবে।

হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, চুনারুঘাট উপজেলার ৩ নম্বর দেওরগাছ ইউনিয়ন, ৭ নম্বর উবাহাটা ইউনিয়ন ও ৯ নম্বর রানীগাঁও ইউনিয়ন এবং চুনারুঘাট পৌরসভা, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ও মাধবপুর পৌরসভা এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত।

মুন্সিগঞ্জের পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন মাঠপাড়া এলাকায় গত ১৭ জুন রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছিল। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত সেখানে সাধারণ ছুটি বহাল থাকবে।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি, রেইসকোর্স, শাসনগাছা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা, কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, বাদুরতলা, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নানুয়ার দিঘীর পাড়, নবাব বাড়ি চৌমুহনী, দিগাম্বরীতলা ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টমছম ব্রিজ, থিরাপুকুরপাড় ও দক্ষিণ চর্থা এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। গত ১৬ জুন এসব এলাকায় রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছিল, যা কার্যকর করা হয় ১৯ জুন থেকে।

যশোরের অভয়নগর উপজেলাধীন চলিশিয়া, পিয়ারা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন এবং অভনগর পৌরসভার ২, ৪, ৫, ৬, ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা, চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা, ঝিকরগাছা উপজেলাধীন ঝিকরগাছা পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা, কেশরপুর উপজেলাধীন কেশবপুর পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা, যশোর সদর উপজেলাধীন যশোর পৌরসভার ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং আরবপুর ও উপশহর ইউনিয়ন, শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ও শার্শা ইউনিয়ন ছুটি থাকবে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত।

মাদারীপুরের সদর উপজেলার মাদারীপুর পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা ও বাহাদুরপুর, দুধখালী, ঝাউদি, মস্তফাপুর, রাস্তি ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন, শিবচর উপজেলার শিবচর পৌরসভার ১, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা এবং শিবচর, দ্বিতীয় খণ্ড, বহেরাতলা দক্ষিণ, বাঁশকান্দি, ভদ্রাসন, কাদিরপুর, মাদবরেরচর ও পাঁচ্চর ইউনিয়ন, কালকিনি উপজেলার কালকিনি পৌরসভার ১, ৪, ৫, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা এবং ডাসার, গোপালপুর, আলীনগর ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়ন ও রাজৈর উপজেলার রাজৈর পৌরসভার ১, ২, ৩, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড এবং বদরপাশা, আমগ্রাম, কবিরাজপুর ও হোসেনপুর ইউনিয়নে সাধারণ ছুটি থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত। গত ১৭ জুন এসব এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেড জোন বা লাল অঞ্চল ঘোষিত এলাকায় বসবাসরত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।

এছাড়া এসব এলাকায় অবস্থিত সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধবদ্ধ ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কর্মরত ও অন্য এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও এ ছুটি প্রযোজ্য হবে।

সাধারণ ছুটি চলাকালে এসব এলাকার লোকজনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে। জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter