১৩শ রোহিঙ্গা ভারত থেকে বাংলাদেশে

অনলাইনঃ
এই বছরের শুরুর দিকে ভারত থেকে অন্তত ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে জানান দেশটির এক কর্মকর্তা।

মিয়ানমারে ফেরত পাঠনোর শঙ্কা থেকেই তারা পালিয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিজনেস ডে তাদের এক প্রতিবেদন এমন খবর প্রকাশ করে।

মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। আর এদের বেশিরভাগেই বসবাস করছে আশ্রয় শিবির গুলোতে। আবার অবৈধভাবে প্রবেশে করার অভিযোগে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে রাখা হয় অনেক রোহিঙ্গাকে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী (বিজেপি) সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে তাদের ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে।

২০১২ সাল থেকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের কারাগারে সাজা ভোগ করা ৭ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় ভারত। আবারো ৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ৩ সন্তানসহ পরিবারটিকে উত্তর-পূর্ব আসামে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং কারাভোগও করেছেন তারা।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। জাতিসংঘসহ আরো অনেক আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠন এই ঘটনা নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা চলমান থাকার পরেও ভারতের এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য সমালোচনা করেছে ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ভারত জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি। ২০১৮ সালে ভারতের পুলিশ ২৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। কট্টরপন্থী হিন্দুরা বারবারই তাদের বিতারণের দাবি জানাচ্ছিলো। তার ফলে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা শঙ্কার মধ্যে ছিল।

জাতিসংঘ ও অন্যান্যা বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন গুলোর সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র নয়ন বোস জানান, ৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের এই নতুন ঢল শুরু হয়। তিনি আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে ৩০০ পরিবারের মোট ১৩০০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের সবাইকে জাতিসংঘের ট্রানজিট সেন্টারে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।’

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ফিরাস আল খাতিব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন।

-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter