১৪৫০ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি

কূটনৈতিক সংবাদঃ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

সপ্তাহখানেকের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাছপ্রেমীরা কাছে পৌঁছে যাবে কূটনীতির হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত এই ‘পদ্মার ইলিশ’।

এর মধ্যদিয়ে ২০১১ সালের পর এই রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে প্রথমবার বহু মূল্যবান এই মাছের বিশাল চালান যাচ্ছে। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইলিশ রপ্তানি সংক্রান্ত অনুমতিপত্র সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে পৌঁছেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার। গত ১০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতেই এ অনুমতিপত্র পৌঁছেছে।

অনুমতিপত্র অনুযায়ী, পূজার উপহার হিসেবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা যাবে। এর আগের বছর ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার দেশের মোট নয়টি সংস্থাকে ১৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এখন দেশটির রাজধানী দিল্লি থেকে ‘স্যানিটারি ইমপোর্ট পারমিট’ আদায় করে দ্রুত ইলিশ আমদানির তোড়জোড় চলছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ শুক্রবার বলেন, ‘নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে ইলিশ আনতে সব রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।’

ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও এবং হাওড়া হোলসেল ফিশ মার্কেটস এসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘মাঝে শুক্রবার বাংলাদেশে এবং রবিবার ভারতে ছুটি। বাধা কাটিয়ে আগামী সপ্তাহেই ইলিশ আমদানির চেষ্টা চলছে।’

তিনি জানান, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়েই ইলিশ ঢুকে কলকাতা, হাওড়া ও শিলিগুড়ি যাবে। এখন এক কেজি থেকে ১২শ’ গ্রামের বড় ইলিশের দাম কমবেশি ১ হাজার ৩০০ টাকা।

তিনি জানান, ইলিশ আমদানিতে অনাপত্তির আবেদন জানিয়ে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। সোমবারের মধ্যে সেই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৭৫ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং লিমিটেড-এর পরিচালক কাজী আবদুল মান্নান বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে ৯টি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।’

১২ অক্টোবর মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তার আগেই ১০ অক্টোবরের মধ্যে এই রপ্তানি করতে হবে।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter