পাঠাও এখন নেপালেও

অনলাইন ডেস্কঃ

পাঠাও গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছে যে নেপালেও সেবা প্রদান করতে যাচ্ছে এই রাইড শেয়ারিং কোম্পানিটি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের একটি লোকাল রাইড শেয়ারিং প্লাটফর্ম দেশের বাইরে তাদের অপারেশন শুরু করতে যাচ্ছে।

হুসেইন এম ইলিয়াস এবং শিফাত আদনানের যৌথ প্রয়াসে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল টেক স্টার্টাপস। এই অঞ্চলের অন্যতম অবকাঠামোগত সমস্যাকে কমিয়ে উন্নয়নের জন্যে এটি একটি বাস্তবধর্মী সমাধান নিয়ে আসে।

এই বিষয়ে পাঠাওয়ের সিইও হুসেইন মো. ইলিয়াস জানিয়েছেন, পাঠাও এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করেছে যেখানে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং বাংলাদেশের কয়েক লক্ষ গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। নেপালে যাত্রার মাধ্যমে আমাদের আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে আমাদের প্লাটফর্মকে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে নেপালে রাইডার অর্ন্তভুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রা শুরু করবো। পাঠাও টিম সেখানে #গড়ারহমঘবঢ়ধষ স্লোগান নিয়ে অনুপ্রানিত হয়ে নেপালের ইকোসিস্টেমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

পাঠাওয়ের লিড মার্কেটিং ম্যানেজার সৈয়দা নাবিলা মাহবুব বলেন, নেপালে পাঠাও কিছুদিনের মধ্যে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে এই ঘোষনা দিতে পেরে আমি আনন্দিত। অপারেশনের জন্যে ইতিমধ্যে অফিস এবং কর্মী নেয়া হয়েছে। শুরুতে কাঠমুন্ডুতে বাইকে রাইড শেয়ারিং দিয়ে যাত্রা শুরু হবে। বাংলাদেশের জন্যে এটি এক ঐতিহাসিক মুহুর্ত।

পাঠাও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি সেবা। দেশের বৃহৎ অবকাঠামো সমস্যার প্রেক্ষিতে পাঠাও একটি বা¯তব সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। নিজেদেরকে দেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ডেলিভারি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর পাঠাও এখন যাতায়াত সেবায় নতুন দিকের উন্মোচন করেছে। মোটরবাইক, গাড়ির নানামুখী ব্যবহারের পর এবার ফুড সার্ভিসের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাঠাও।

-আরবি

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter