চিলাহাটি স্টেশনে অবৈধ স্থাপনা: ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

চিলাহাটি স্টেশনে অবৈধ স্থাপনা ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

ডোমার (নীলফামারী) সংবাদদাতাঃ

চিলাহাটি রেলওয়ে ষ্টেশনে সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো থাকায় ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

চিলাহাটি রেল ষ্টেশনের পাশে চর্থুর দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় বিশ একর জমি রয়েছে, এর মধ্যে রেল কৃতপক্ষ কিছু জমি অবমুক্ত করে সরকারি স্থাপনা গড়ে তুলেছে।

এখনো প্রায় তিন একর জমিতে অবৈধ স্থাপনা দোকান পাঠ ঘর-বাড়ি রয়েছে যাহা ভারত-বাংলাদেশ রেল চলাচলের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়াচ্ছে বলে যাত্রী সাধারণ মনে করছে।

ট্রেন চলাচলের জন্য হলদিবাড়ি থেকে চিলাহাটি ষ্টেশনে প্রবেশদ্বারে লাইনের ধারে প্রায় দশ থেকে বারোটি দোকান ও ঘর রয়েছে যাহার কারনে ট্রেনটি ঝুকির মধ্যে প্রবেশ করছে।

এলাকার উন্নয়নের সার্থে এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিবিগ্নে ট্রেন চলাচলের স্বার্থে রেলের জমিতে অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো উদ্ছেদ করা জরুরি মনে করছে এলাকাবাসী।

রাস্তার পশ্চিম দিকে দুই একর জমিতে অবৈধ দোকানপাট ও জলাশয় রয়েছে যাহা এই মহুত্বে পূর্বের ন্যায় যেভাবে অবৈধ স্থাপনা উদ্ছেদ করা হয়েছে সেই ভাবে নতুন করে স্থাপনা উদ্ছেদ করা প্রয়োজন।

চিলাহাটি রেল ষ্টেশনের পিছনে সংলগ্ন দক্ষিন-পশ্চিমে দুই একর জমির উপরে ২৯টি পরিবার বসবাস করতেছে যাহা সম্পূর্ন অবৈধ, এই পরিবার গুলোকে উদ্ছেদ করে রেল ভবন বা স্টাফদের জন্য কোয়াটার নির্মান করা যায় কিনা তাহা ভেবে দেখতে হবে। চিলাহাটি আন্তজার্তিক রেল ষ্টেশনে দুই জন এস এম , দুই জন বুকিং ক্লাক ও ছয় জন পয়েন্ট ম্যান রয়েছে, এদের কারো থাকার ব্যাবস্থা নেই ।

তারা কোয়াটারের অভাবে প্রায় সময় দায়িত্ব রত অবস্থায় একজনকে বদলি দিয়ে বাড়ি চলে যায়। এস এম মাষ্টারদের কোয়াটার না থাকার কারনে একজন ডিউটি করে অন্য জন অনুপস্থিত থাকে।

তাতে সরকারি কাজ কর্মে দারুন ভাবে ব্যাঘাত ঘটে। চিলাহাটি আন্তজার্তিক রেল ষ্টেশন হওয়া সত্বেও মাষ্টারদের রুমে টয়লেটের ব্যাবস্থা রাখা হয়নি,বাইরে গিয়ে টয়লেট সারতে হয়, তাতে আপৎকালীন সময়ে ও জরুরী কাছে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।

তাই চিলাহাটি রেল ষ্টেশনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য কোয়াটার নির্মান করা জরুরি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

কোয়াটারের অভাবে ষ্টেশন মাষ্টার বুকিং ক্লাক , পয়েন্ট ম্যান কেউ ঠিক মত উপস্থিত থাকেনা এবং ডিউটি করতে পারে না, ফলে ষ্টেশনে ট্রেন চলাচলসহ নানা কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

প্রায় সময় টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকে, ষ্টেশন মাষ্টার রুমের মেঝেতে শুয়ে ঘুমায়। পয়েন্ট ম্যানরা প্লাটফর্মে বিছানা করে শুয়ে বিশ্রাম নেয় ও ডিউটি করে। তাই এদের জন্য আবাসিক ঘর নির্মান করা জরুরি এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter