ঝুঁকিপূর্ণ কিছু শাখা ছাড়া সব ব্যাংক খোলা

ঝুঁকিপূর্ণ কিছু শাখা ছাড়া সব ব্যাংক খোলা

অর্থনীতিঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকল প্রকার অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সেই ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ৩১ মে, রবিবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকগুলো।

২৮ মে, বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে করে ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ও মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ব্যাংকের শাখাগুলোতে আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ব্যাংকের অফিস ও লেনদেন সময়সূচি সাধারণভাবে পুনঃবহাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা বুথ সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে। অফিসের কর্মপরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

আরো বলা হয়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থা কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সন্তান সম্ভাবা নারীর কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। ব্যাংক খোলা রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত ১৩টি নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে পরিপালন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিষয়ে মাসিক ভিত্তিতে দফাওয়ারি পরিপালন প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগে পাঠাতে হবে। আর সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিসে যাতায়াতের জন্য ব্যাংকের নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

ওই নির্দেশনায় আরো বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ঘোষিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শাখা সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এ ধরনের শাখার তালিকা প্রতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটির মধ্যে অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যাংক খোলা ছিলো। শুরু থেকেই সীমিত আকারে লেনদেন অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে অবশ্য ব্যাংক লেনদেনের সময় ও শাখা খোলা রাখার পরিধি বাড়ানো হয়।

-কেএম

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter