দেশে ‘সয়া মাস’ উদযাপন শুরু করেছে ‘রাইট টু প্রোটিন’

দেশে 'সয়া মাস' উদযাপন শুরু করেছে 'রাইট টু প্রোটিন'

স্বাস্থ্যঃ

বাংলাদেশে ‘সয়া মাস’ উদযাপন শুরু করেছে ‘রাইট টু প্রোটিন’। বিশ্বব্যাপী প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরতে এই আয়োজন

এপ্রিল মাসব্যাপি প্রোটিন বিষয়ক শিক্ষা উদ্যোগ ‘রাইট টু প্রোটিন’ উদযাপন করছে ‘সয়া মাস’।

টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্য বৃদ্ধিতে সয়াবিনের ভূমিকা উল্লেখ করে সয়া-ভিত্তিক খাদ্যসহ পোল্ট্রি, অ্যাকুয়া ইত্যাদি খাতে গুরুত্বারোপ করে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের সকলকে উদ্যোগের অংশীদার হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য, যা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে প্রোটিন-এনার্জি অপুষ্টির (পিইএম) প্রভাব প্রায় ১৭%, যা বিশ্বব্যাপি গড় ১৩% এর চেয়েও বেশি।

এ সমস্যার সমাধান হিসেবে সয়াবিন আমাদের উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন সরবরাহ করে, যা প্রোটিন চাহিদা পূরণে অনস্বীকার্য।

জনসংখ্যার প্রোটিন অবস্থার উন্নতি এবং পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের চাবিকাঠি হলো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্য উদ্ভাবন এবং প্রোটিনের গুরুত্ব প্রচার করা।

সয়াবিন হল একটি বহুমুখী ও পুষ্টিসমৃদ্ধ লেগুম, যার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সয়া খাবারগুলো থেকে উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন পাওয়া যায়, যার মধ্যে প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা নিরামিষ এবং আমিষভোজী উভয়ের জন্যই একইভাবে প্রাণী-ভিত্তিক প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

‘সয়া মাস এপ্রিল ২০২৩’ উদযাপনের মধ্যে দিয়ে সয়াবিনের গবেষণা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হবে এবং বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য আরও নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

এই উদ্যোগটি কৃষি শিল্পে নতুন মাত্রা তৈরি করবে এবং আরও টেকসই, যুগোপযোগী এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যব্যবস্থা তৈরিতে সাহায্য করবে।

নাগরিকদের প্রোটিনের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এবং পুষ্টি নিরাপত্তা পূরণে সয়া ব্যাপক কার্যকর।

উদাহরণস্বরূপ, সয়াবিন তেল অন্যান্য অনেক সাশ্রয়ী মূল্যের উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। সয়া খাবার নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড-সমৃদ্ধ উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন সরবরাহ করে।

সয়া ফিড প্রাণীর প্রোটিন তালিকাকেও আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।

এপ্রিল মাসে ‘সয়া মাস’ উদযাপন সবাইকে এ বিষয়ে আরও সচেতন করবে এবং নারী-পুরুষসহ শিশুদেরও সয়া’র বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে অবহিত করবে।

এটি সয়া-ভিত্তিক কুসংস্কার দূর করবে এবং খাদ্যে প্রোটিনের চাহিদা ও পুষ্টির উন্নতির জন্য এর সম্ভাব্যতা তুলে ধরবে।

সয়া মাসের লক্ষ্য হলো টেকসই কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সয়ার ভূমিকা প্রচার করা, এই পুষ্টিকর খাবারের বৃহত্তর ব্যবহার নিশ্চিতে উত্সাহিত করা এবং টেকসই কৃষি অনুশীলন প্রচার করা, যা দ্বারা কৃষক ও ভোক্তা উভয়ই উপকৃত হবেন।

সয়া মাসের মতো উদ্যোগগুলো আরও টেকসই, যুগোপযোগী এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যব্যবস্থা তৈরির আমাদের চেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter