কর্মসংস্থানঃ

১৯ মার্চ ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বিসিএসে আবেদন করেছেন চার লাখ ৭৫ হাজার জন। নিয়োগ দেওয়া হবে দুই হাজার ১৬৬ জনকে।

পরীক্ষার বেশি দিন বাকি নেই। এই সময়টা বিসিএস প্রত্যাশী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার আগে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে আলোকপাত করেছেন ৩৮তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ মো. আনিসুর রহমান (সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট)।

বিসিএস পরীক্ষার প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। যেহেতু বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষা, সেহেতু একটি কার্যকর ও বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনাই পারে আপনাকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখতে।

সঠিক পরিকল্পনা

এ ক্ষেত্রে প্রথমেই খুঁজে বের করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী আর কোন বিষয়ে দুর্বল। যেসব বিষয়ে আপনি পারদর্শী, সেসব বিষয়ে আপনাকে অ্যাভারেজ থেকে একটু বেশি নম্বর তুলতে হবে। আর দুর্বল বিষয়গুলোতে প্রথমেই সবচেয়ে কমন অংশগুলো আগে শেষ করবেন। যাতে করে এখানে আপনি একটি অ্যাভারেজ নম্বর পেতে পারেন।

যেটা পড়বেন, সেটা খুব ভালো করে পড়বেন। আর যেটা পড়বেন না, সেটা একেবারে বাদ দিয়ে দিন। সেটা না হলে অতিরিক্ত পড়তে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকে। কেননা এখন সময় সীমিত। তবে, যদি ৪৩তম বিসিসিএস-এর প্রস্তুতি নেন, তখন অবশ্যই সব টপিক কাভার করবেন।

এভাবে আপনার দুর্বল পয়েন্টগুলো শনাক্ত করার পর এখন থেকে পরীক্ষার তিন-চার দিন আগ পর্যন্ত সময়কে একটি রুটিনের আওতায় নিয়ে আসুন। আপনি যদি কোনো জব না করে থাকেন তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়া, বিশ্রাম, প্রার্থনা ইত্যাদি অংশ বাদ দিয়ে বাকী সময়কে পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ রেখে রুটিন বানিয়ে ফেলুন। আর চাকরি করে থাকলে, রুটিনকে দুভাগে ভাগ করে ফেলুন। এক. রাতে বা সকালে যখন বাসায় থাকবেন তখন, আর দুই. অফিসে যাওয়ার পথে বা অফিসে কাজের মধ্যে। বাসায় থাকা অবস্থায় একেবারে নতুন মুখস্ত বা যেসব বিষয় বুঝে পড়ার বা অনুশীলন করার বিষয় আছে, সেগুলো পড়ুন। যেমন- গণিত বা গ্রামারের নিয়মগুলো ইত্যাদি। আর অফিসে কাজের মধ্যে মুখস্তের বিষয়গুলো পড়ুন। যেমন- ইংরেজি সাহিত্য, বাংলাদেশ কত সালে কোন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে বা বাংলা ভাষায় আগত বিদেশি শব্দ বা এ জাতীয় যেসব বিষয় আছে। সেটা মোবাইলে ছবি তুলেও পড়তে পারেন বা পকেটে রাখা যায় এমন ছোট নোট প্যাডে লিখে পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই পড়ার জন্য অফিসের ক্ষতি যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।

যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

রুটিন করার আগে ঠিক করুন কোন টপিকগুলো কোন জায়গা বা কোন বই থেকে পড়বেন। যেমন- বাংলা ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বই, সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের জন্য ‘লাল নীল দীপাবলি’ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন:

যেহেতু পরীক্ষা খুব সন্নিকটে, তাই নতুন করে কিছু পড়ার চেয়ে আগে পড়ে ফেলা বিষয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পড়ার সময় একটি আলাদা নোট রাখুন। নোটে বিভিন্ন তথ্য লিখে রাখুন, যা পরীক্ষার আগের দিন চোখ বোলাতে পারেন। সব পড়া পরীক্ষার তিন-চার দিন আগে শেষ করুন। এই তিন-চার দিন রুটিন অনুযায়ী যেসব টপিক শেষ করতে পারেননি, সেগুলো পড়ুন। কেননা রুটিন অনুযায়ী শতভাগ শেষ করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। কিছু বাদ থেকেই যায়।

-কেএম

FacebookTwitter

About Bangla Daily

একটি পরিপূর্ণ বাংলা অনলাইন পত্রিকা। মাতৃভাষার দেশ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সস্প্রচারিত হচ্ছে।

View all posts by Bangla Daily