ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি ২০২০ তালিকায় ‘নগদ’

ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি ২০২০ তালিকায় ‘নগদ’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-কে ২০২০ সালে তাদের অন্যতম সেরা ফিনটেক স্টার্টআপ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’।

স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য আর্থিক খাতে উদ্ভাবন নিয়ে আসা ও বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গ্রুপ ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’।

গত ২০ অক্টোবর ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময়ে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-কে পেমেন্ট শ্রেণিতে সেরা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইন্টারন্যাশাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং একিওন (Accion) এর সহায়তায় মেটলাইফ ফাউন্ডেশন এবং ভিসা ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’ প্রতিষ্ঠা করে। তাছাড়া ব্ল্যাকরক, জার্সি ওভারসিজ এইড এবং কমিক রিলিফ এক্ষেত্রে অর্থায়ন করেছে। ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’ এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করল।

‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’-এর সেরা ৫০ ফিনটেক স্টার্টআপ হিসেবে স্থান পেতে বিশ্বের ১১১টি দেশের ৪০৩টি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে, যেখানে অন্তর্ভূক্তি, উদ্ভাবন, সক্ষমতার মাত্রা এবং মানুষকে আকর্ষণ করার এমন চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সেরাদের বাছাই করা হয়।

নাম ঘোষণা করা এই কোম্পানিগুলো সম্পর্কে ‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’ বলেছে, বাছাইকৃত এই স্টার্টআপগুলো আর্থিকভাবে অনগ্রসর বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে নিয়ে এসেছে এবং তাদের জীবনকে স্বাভাবিকতা প্রদান করেছে।

ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’র এই স্বীকৃতি বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে “ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি”-এর মতো প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-কে তাদের বৈশ্বিক তালিকায় রেখেছে। গত দুই বছর ধরে আমরা আর্থিক অন্তর্ভূক্তির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি; সেক্ষেত্রে এটি আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমেরই একটি স্বীকৃতি।’ তিনি বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কহীন কোটি কোটি মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির মধ্যে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ‘নগদ’ যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে, সেটি নিঃসন্দেহে দেশের সেরা। একইসাথে ‘নগদ’-এর এই সেবা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও আধুনিকতম। ‘‘ইনক্লুসিভ ফিনটেক ফিফটি’’-এর মাধ্যমে সেই স্বীকৃতিও মিলল।’

‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এমন একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘নগদ’-কে দেশের মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আরো উৎসাহী করবে, যেটি খুব দ্রুতই বাংলাদেশকে ক্যাশ-লেস সমাজে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।’

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, প্রযুক্তি এবং আর্থিক সেবাখাতের ৩৫ জন বিশেষজ্ঞের স্বাধীন একটি প্যানেল সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলো বাছাই করেছেন।

এই বাছাই প্রক্রিয়ার মূল বিষয় ছিল কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় স্বল্প আয়ের মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের সেবায় ক্রেডিট, ইনসিওরেন্স, সঞ্চয় ও অন্যান্য সেবা দিতে পারার সক্ষমতা।

‘নগদ’সহ দক্ষিণ এশিয়ার দশটি স্টার্ট-আপের বাইরে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১০টি কোম্পানি, ইউরোপ ও এশিয়ার ৫টি, ক্যারিবীয় ও লাতিন আমেরিকার ৮টি, উত্তর আমেরিকার ৬টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ১২টি কোম্পানি বিশ্ব সেরা ৫০ এর তালিকায় স্থান পেয়েছে।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পর চমৎকার সব সেবার মাধ্যমে এরই মধ্যে ‘নগদ’ নিজেদের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেড় বছরের এই যাত্রায় সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে রাষ্ট্রীয় সেবা ‘নগদ’।
সমাপ্ত

-শিশির

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter