ইফতারের কিছুক্ষণ পরেই সেহরী

আন্তর্জাতিকঃ
পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মুসলমানরা রোজা রাখছেন। তবে ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড এলাকায় বসবাসরত মুসলমানরা সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখেন।

সেখানে রাত আসে মাত্র ৫৫ মিনিটের জন্য। ২৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাদের রোজা রাখতে হয়।

রাজধানী থেকে উত্তর দিকের শহরগুলোতে রোজার সময় আরও বেড়ে যায়। ফিনল্যান্ডের উত্তর দিকের বৃহত্তম শহর উলু। সেখানকার রোজাদারগণ ৭ মিনিট কম ২৩ ঘণ্টা রোজা রাখেন। দেশের উত্তরের অন্যান্য শহরে ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইফতার ও সেহেরি সম্পন্ন করতে হয় রোজাদারদের।

ফিনল্যান্ডের রোজার সবচেয়ে কম সময় হলো ২২ ঘণ্টা ১২ মিনিট। রাজধানী হেলসিংকি সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ার কারণে এখানে বসবাসরত রোজাদাররা এ দীর্ঘসময় রোজা রাখেন। দেশটির অন্যান্য এলাকায় রোজার সময় আরও বেশি।

সময়ের দৈর্ঘ্যতার বিষয়টি বিবেচনা করে ফিনল্যান্ডের অনেক মুসলিম পার্শ্ববর্তী দেশের সময় অনুযায়ী রোজা রাখতে শুরু করেছেন। ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় রোজার দৈর্ঘ্য হলে ফিনল্যান্ডের অধিকাংশ মুসলমান পার্শ্ববর্তী দেশের সময়ের সঙ্গে মিল করে রোজা রাখেন।

দেশটির সবচেয়ে উত্তরের শহর ল্যাপল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানরা সবচেয়ে কাছের মুসলিম দেশ তুরস্কের সময় অনুযায়ী তাদের রোজার সময় নির্ধারণ করেন। সে দেশের ইসলামিক স্কলাররা গত বছর তাদের মক্কা অথবা নিকটতম মুসলিম দেশের রোজার সময় অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর তাদের অনেকেই এ সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত স্ক্যান্ডিনেভিয়ানের নর্ডিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড। শীতপ্রধান এই দেশটিতে ৫০ লাখ নাগরিকের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ফিনল্যান্ডে ইসলাম ধর্মের প্রবেশ হয় তাতারিযুগে। তবে ‘৯০-এর দশকের শুরুতে শরণার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

ফিনল্যান্ডে দীর্ঘসময় ধরে সব ধরনের ইসলামী কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছিল। ১৯২৫ সালে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ইসলামী অনুষ্ঠান করার অনুমতি পায় দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ডই সর্বপ্রথম কোনো ইসলামী অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদান করে।
-ডিকে

Print Friendly, PDF & Email
FacebookTwitter